ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় স্থানীয়দের উপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় অস্ত্রসহ ৫ রোহিঙ্গা আলেকিন সদস্য আটক

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি ॥

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী এক নাম্বার রোহিঙ্গা বস্তিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ পাঁচ আলেকিন সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এরা মিয়ানমারের উগ্রপন্থী সন্ত্রাসবাদি আলেকিন গ্রুপের সদস্য বলে দাবী রোহিঙ্গাদের। রোহিঙ্গাদের হামলায় স্থানীয় ৪ জন বাসিন্দা গুরুতর আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে স্থানীয় ৫ জন বাসিন্দা। এ সময় রোহিঙ্গারা স্থানীয়দের উপর গুলিবর্ষণও করেছে দাবী করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য। শুক্রবার রাত ১২ টায় বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের খেলার মাঠ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে বালুখালীতে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মাঝে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, বালুখালী ১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নলকূপ স্থাপন করা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে রোহিঙ্গাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাইকে মাইকিং করে সংঘবদ্ধ ভাবে স্থানীয়দের উপর হামলা চালায় রোহিঙ্গারা।

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনো অন্তত ৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা নিখোঁজ রয়েছে বলে এলাকার লোকজন তাকে অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।

নিখোঁজ স্থানীয় ৫ জন বাসিন্দাকে উদ্ধারে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল। আহত ব্যক্তিদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবছার জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে ডাকাত পড়েছে বলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর রোহিঙ্গারা পরিকল্পিতভাবে স্থানীয়দের ওপর গুলিবর্ষণ ও এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এই সময় রোহিঙ্গারা একাধিকবার গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানান তিনি ।

তিনি আরো জানান, স্থানীয়দের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ পাঁচ আলেকিন সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এরা মিয়ানমারের উগ্রপন্থী সন্ত্রাসবাদি আলেকিন গ্রুপের সদস্য বলে দাবী রোহিঙ্গাদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বালুখালী পানবাজারের পশ্চিমে অবস্থিত এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পটিতে আকর্ষিক গুলাগুলির খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তি গ্রামের লোকজনও সড়কে বেরিয়ে আসে। কিন্তু সন্ধ্যা ৫টার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় গ্রামের লোকজন সেই দিকে পা বাড়াননি। স্থানীয় কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, মধ্যরাতের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রধারীদের দৌড়াদৌড়ি এবং গুলিবর্ষণের খবর তারা পেয়েছেন। তারা আরও জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পটিতে মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করা বেশকিছু অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বরাবরই রয়েছে।

পাঠকের মতামত: