ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় মৎস্য ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন

পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় মৎস্য ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করেছে দুবৃর্ত্তরা। এর জের ধরে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের দশেরঘোনা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ৩ অক্টোবর গভীর রাতে বিষ প্রয়োগের এ ঘটনা ঘটে রাজাখালী ইউনিয়নের দশেরঘোনা এলাকায়।
মৎস্যচাষীরা জানায়, চলতি বর্ষা মৌসুমে ৭ জন দরিদ্র মৎস্য চাষী বেকারত্ব দুরীভূত করতে দশেরঘোনা এলাকায় একটি চিংড়ি ঘের আগাম নেন তারা। জৈষ্ট্য মাস থেকে ওই ঘেরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। চলতি বাংলা কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময়ে চিংড়ি ঘেরের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। প্রায় ৭ একরের ওই মৎস্য ঘেরের মালিক কালা মুন্সী বাড়ির আলী নেওয়াজ খান চৌধুরী। দশেরঘোনা এলাকার মোহাম্মদ ইব্রাহীম, নুরুল ইসলাম, হোসেন আহমদ, নুরুল আবছার, আবদুল মতলব, মুহাম্মদ হানিফসহ স্থানীয় কয়েকজন চাষী ওই ঘেরটি মালিকের কাছ থেকে মৎস্য চাষের জন্য বর্ষা মৌসুমে আগাম নিয়েছে। মাটি খনন, জমি আগাম মাছের পোনা অবমুক্ত করন, রক্ষনাবেক্ষনসহ এ পর্যন্ত চাষীরা প্রায় ৪ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। স্থানীয়রা জানায়, ওই দিন রাতে একটি চক্র ঘেরে কীটনাশক প্রয়োগ করে। সকালে অসংখ্য মাছ পানিতে ভেসে উঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কীটনাশকের ক্ষতিকারক প্রভাব দ্রুত ঘেরের সর্বত্রে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরা পড়ে ওই ঘেরে।
তারা জানায়, সবিক্রন নামের একটি শক্তিশালী গ্রুপের কীটনাশক ঘেরে প্রয়োগ করা হয়েছে। সকালে ঘেরের মধ্যে ২৫০ মিলি ওজনের সবিক্রন বিষের একটি বোতল ঘেরের পানিতে ভাসছিল। সেটি উদ্ধার করেছেন মৎস্য খামারীরা। অনুসন্ধানে প্রত্যক্ষ করা গেছে, কীটনাশকের উৎকট দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে গেছে। সবিক্রন বহু জাতিক কৌম্পানী সিনজেনটা বাংলাদেশ বাজারজাত করে। সাইপারমেথ্রিন ও প্রপনোফসকিউ উপাদানে সংমিশ্রন। সাইপারমেথ্রিন দ্রুত স্পর্শক ও প্রপনোফসকিউ পাকস্থলী ও প্রবাহমান গুনসম্পন্ন শক্তিশালী কীটনাশক। এটি প্রয়োগের ফলে দ্রুত মাছসহ প্রাণীজগতে বিস্তার ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে দ্রুত সময়ে প্রাণীজ নিধন হতে সক্ষমতা বিরাজ করে। স্থানীয়রা জানায়, একটি চক্র ঘেরে চাঁদা দাবী করছিল। চাষীরা অপরগতা প্রকাশ করছিল। এ নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। চাষী নুরুল আবচার জানায়, ক্ষিপ্ত হয়ে ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে। কোরাল, ট্যাংরা, বাটা, চিংড়িসহ অসংখ্য মাছ মরা পড়ে। সকালে প্রায় ৪ মণ মাছ ধরা হয়েছে। অধিকাংশ মরা মাছ। আর কিছু কিছু মুমূর্ষু অবস্থায় এলোমেলোভাবে ভাসা অবস্থায় জাল দিয়ে ধরা হয়েছে। আমাদের ভবিষ্যত শেষ করে দিয়েছে ওই চক্র।

পাঠকের মতামত: