ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

পেকুয়া থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ‘কথিত’ ক্যাশিয়ার কাসেমের বেপরোয়া চাঁদাবাজী!

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::chadabazi mamla

কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানা পুলিশের ম্যাচ ম্যানেজার কাম ক্যাশিয়ার কাসেম এর বেপরোয়া চাদাঁবাজীতে ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছে পেকুয়ার ছোট বড় ব্যবসায়ী ও সাধারন জনগন। পুলিশের দাপট দেখিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পেকুয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদাবাজী করছে বলে জানা গেছে। অতিষ্ঠ অনেকে চাদাঁবাজির স্থল থেকে বেধেঁ রেখে উত্তম-মধ্যম দিয়ে প্রশাসনের কাছে দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে পেকুয়া থানা পুলিশ দায় এড়াতে বলছে, পেকুয়ায় কাসেম নামে তাদের কোন ম্যাচ ম্যানেজার নাই। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোয়াখালী গ্রামের আবুল কাসেম পেকুয়া থানার ক্যাশিয়ার পরিচয়ে পেকুয়া চৌমুহুনী, পেকুয়াবাজারসহ উপজেলার আরো বিভিন্ পয়েন্টে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি অব্যাহত করছেন। চাাঁদাবাজির ডালপালা বিস্তৃতি করতে কাসেম তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পেকুয়া চৌমুহুনীতে একজন ও বাজারে ১জন লোক নিয়োগ দিয়ে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা উত্তোলন করছেন। পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চাাঁদাবাজি করে এক সময়ের দূর্ধর্ষ অপরাধী কাসেম এখন পাকা বাড়ী নির্মান করছেন। স্থানীয়রা জানান, থানা পুলিশের ক্যাশিয়ার কাসেমের সাথে পেকুয়ার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে বিশেষ দহরম মহরম সম্পর্ক রয়েছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পর্ক থাকার সুবাধে কাসেম প্রতিনিয়িতই ইয়াবার বেচাকেনা করছেন বলেও জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে কাসেম পেকুয়া থানা পুলিশের ক্যাশিয়ার পরিচয় দিয়ে পেকুয়ার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে চাঁদাবাজী অব্যাহত রাখলেও পেকুয়া থানার ওসি ও উর্দ্ধতন পুলিশ বিভাগ তার বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, ক্যাশিয়ার কাসেম পেকুয়া থানা পুলিশের নামে দীর্ঘদিন ধরে পেকুয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদাবাজী করছেন বেপরোয়াভাবে। আর তা দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছে পেকুয়া থানা পুলিশ। পেকুয়া থানা পুলিশের আসকারায় কাসেম থানার পুলিশের ম্যাচের বাজারের কথা বলে সর্বত্র চাঁদাবাজি করছে। জানা যায়, ইটভাটায় পাহাড়কাটা মাটি সরবরাহ দিয়ে, ভেজাল মসল্লা ভ্যবসায়ী, সিলিন্ডার ভর্তি অবৈধ সিএনজি গ্যাস ব্যবসার গাড়ী, ভ্যানগাড়ী, গাছ ও লাকড়ী বাহী ট্রলি, টমটম, ও লবণ বাহী গাড়ী পেকুয়ায় ভিতর চললে মাসিক ৩ শত থেকে এক হাজার, চিংড়ী পোনা, মালবাহী গাড়ী রাস্তার উপর থামিয়ে তার দাবীকৃত চাদাঁ আদায় করে হচ্ছে। এ ছাড়া পাহাড় কাটার জন্য আগ্রহী ব্যক্তিদের সাথে আঁতাত করে থানা প্রশাসন ম্যানেজ করার কথা বলে পাহাড় কাটায় সম্পৃক্ত মাটি বহন কারী ট্রাক/ডাম্পার থেকে ৩শ-থেকে ৫শত টাকা করে আদায় করছে। এভাবে সে এবং প্রতিটি সেক্টরে তার নিয়োজিত লোক দিয়ে প্রতিমাসে আদায় করছে ২-৫ লক্ষ টাকা।

প্রতি মাসে নির্ধারিত মাসোহারা দেবার পর বাজারে ব্যবসায়ীরা গাছ-বাঁশ ও লাকড়ী বিক্রি করে তবুও কারনে-অকারনে লাকড়ী বিক্রেতা, স’মিল ও ক্ষুদে কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা দাবী করে। টাকা দিতে রাজী না হলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। তাদের চাদাঁবাজীর ফলে পেকুয়ার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতি ঘঠছে। অভিযোগ রয়েছে, সড়কের বিভিন্ন মোড়ে দাড়িয়ে পুলিশী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বৈধ-অবৈধ পরিবহনকৃত লাকড়ী ও কাঠের গাড়ী থেকে ৩শ থেকে ১০০০টাকা, এ ছাড়া অবৈধ চোরাই কাঠের গাড়ী পার করে দিতে ১০ থেকে ১৫হাজার টাকা আদায় করে থাকে ক্যাশিয়ার কাসেম। উল্লেখ রয়েছে চকরিয়ার কাটচোর সিন্ডিকেটের সাথে রয়েছে তার বুঝাপড়া। রাতের আধাঁরে কোন সময় কিভাবে কোন পথে চোরাই মালামাল পরিবহন হবে তার টাইম ঠিক করে ও ক্যাশিয়ার। মাসিক আদায় ছাড়া ও ইয়াবা টেবলেট বিক্রেতা, মদ, হেরোইন বিক্রেতা, ফুটপাতের হকার,মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেট, লাইসেন্স বিহীন অবৈধ টেক্সী,জীপ থেকে লাখ লাখ টাকা চাদাঁ আদায় করে থাকে এই ক্যাশিয়ার। টাকা না পেলে বিভিন্ অজুহাতে থানায় ডেকে এনে মিথ্যা মামলায় ঢুকানোর হুমকি ১০/১৫হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। আলাপকালে ক্যাশিয়ার কাসেম জানায়, তার অবৈধ আয়ের টাকা থেকে পুলিশের ম্যাচের বাজার খরচ নির্বাহ করা হয়। তার বিরুদ্ধে লিখেও কেউ কিছু করতে পারবেনা। ওসির নির্দেশেই তিনি সব করছেন। এখানে তিনি কাউকে পরোয়ানা করেনা।

পেকুয়া থানার যোগ্য ক্যাশিয়ার আবুল কাসেমের বেপরোয়া চাদাঁবাজীকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনসাধারনের মাঝে চাপাঁ ক্ষোভ বিরাজ করছে। অতিষ্ঠ অনেকে চাদাঁবাজির স্থল থেকে বেধেঁ উত্তম-মধ্যম দিয়ে প্রশাসনের কাছে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ জরুরী হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) মো. জহিরুল ইসলাম খান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাসেম নামে ব্যক্তি আমি থানায় যোগদান করার পূর্বৈ ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্বরত ছিল। আমি আসার পর পেকুয়া থানায় কাসেমকে ক্যাশিয়ারের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দিয়েছি। এখন পেকুয়া থানা পুলিশের ক্যাশিয়ার নামে কোন কাসেম দায়িত্বে নাই। কেউ পুলিশের নামে চাঁদাবাজী করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাঠকের মতামত: