ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

নিরাপত্তা জোরদার চকরিয়া-পেকুয়ার বৌদ্ধ পল্লীতে

Police bestoniনিজস্ব সংবাদদাতা, চকরিয়া-পেকুয়া ::

মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ সীমান্তে বিরাজ করছে উত্তেজনা। দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের টহল জোরদার রয়েছে। এ অবস্থায় মিয়ানমারের ভিতরে থেমে নেই হতাহতের ঘটনা। ফলে, যেকোনো উপায়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই ১২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। আটক হয়েছে নামমাত্র। পুশব্যাক হয়েছে তিন শতাধিক। সংঘর্ষ অব্যাহত থাকায় আলোচনা-সমালোচনার পাশাপাশি কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলাতেও কমবেশি উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারই জের ধরে দু’উপজেলার ২৩টি বৌদ্ধপল্লীর নিরাপত্তায় পুলিশী টহল বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গা ঠেকাতেও তৎপর রয়েছে পুলিশ।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলায় ১১টি মন্দির ও ১১টি বিহার এবং পেকুয়ায় ১টি বৌদ্ধবিহার রয়েছে। পেকুয়া উপজেলা বারবাকিয়া রাখাইন পল্লীর সভাপতি থোইং সিং রাখাইন বলেন, আমরা এখানে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ খ্রিস্টান একসাথে সব পূজা-পার্বন করে থাকি। আশাকরি তেমন কোনো সমস্যা হবে না। পুলিশ এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছে।
চকরিয়া উপজেলা ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্ট ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির প্রতিনিধি মাস্টার মংয়াই রাখাইন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের ঘটনায় আমরা খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম। প্রশাসন সেই উদ্বিগ্নতা দুর করেছে। মন্দির ও বিহারগুলোতে পুলিশী টহল বাড়িয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারও সার্বক্ষণিক নজরদারি করছেন। আশা করি তেমন কোন সমস্যা হবে না।

পাঠকের মতামত: