ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় পাহাড় কাটার দায়ে স্কেভেটর জব্দ

pekua,,পেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় পাহাড় কাটার দায়ে স্কেবেটর জব্দ করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ। গত ২০ আগষ্ট রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দিন রাতে পেকুয়া থানার এস,আই উত্তম কুমারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ভারুয়াখালীতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ভারুয়াখালী কবরস্থান মোড়া নামক স্থান থেকে মাটি কাটার আধুনিক যন্ত্র (স্কেভেটর) জব্দ করে। স্থানীয়রা জানায়, একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে ভারুয়াখালী এলাকায় পাহাড় কর্তন করছিলেন। পাহাড়ের লাল মাটি পাচার করে ওই চক্র শ্রেনী পরিবর্তন কাজে জড়িত। স্কেভেটরের সাহায্যে পাহাড় কেটে মাটি গাড়ীতে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে তারা। এতে করে বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালীতে পাহাড় নিধন যজ্ঞে মেতেছে। স্থানীয়রা জানায়, বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটা এলাকার তোতা মিয়ার পুত্র জয়নাল আবেদীন, ছনখোলার জুম এলাকার মৃত শাহ আলমের পুত্র তারেক, পাহাড়ীয়া এলাকার ফিরোজ আহমদের পুত্র মইদুর রহমান পাহাড় কাটায় জড়িত। তারা স্কেভেটর দিয়ে রাতে পাহাড়ে মাটি কাটছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ পাহাড় কাটার দায়ে সেটি জব্দ করেছেন। বারবাকিয়া ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

###############

পেকুয়ায় লবন দিয়ে গাছ হত্যা!

পেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় লবন দিয়ে ৫ টি গাছ হত্যা করেছে একটি চক্র। জায়গা দখলে নিতে সবুজ বৃক্ষ নিধনের কু মানসে এ চক্র লবণ প্রয়োগ করেছে। এ দিকে গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা। লবণ পানিতে মিশিয়ে গাছে প্রয়োগ করে। এতে করে কৃষকের বাগানের পাঁচটি বৃহৎ আকারের কাঠাল গাছকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার জের ধরে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া দুর্গম আধারি পাহাড়ি এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ও জনপ্রতিনিধি পর্যায়ে নাশকতার এ বিষয়টি অবহিত করেছেন গাছের মালিক। উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের আধারী এলাকায় সম্প্রতি লবণ দিয়ে গাছ হত্যার এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, চট্রগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের আওতাধীন শিলখালীর জারুলবুনিয়া উত্তর আধারী এলাকায় বনবিভাগের জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। শিলখালীর আলেকদিয়া পাড়ার মৃত আজিজুল হকের পুত্র মাহমুদুল করিম গং পাহাড়ের ওই অংশ ১৯৬৫ ইং সালে আবাদ করে। তারা বনবিভাগের জমি চাষ আবাদি করে। সে সময় থেকে জমিতে ফসল উৎপাদন ও পাহাড়ে পান উৎপাদন করছিলেন। বনবিভাগ তাদেরকে উপকারভোগী নির্বাচিত করে। ৬০ এর দশকে পাহাড়ে ফলজ গাছ সৃজন করে। উপকারভোগী হিসেবে ২০০৪ সালে বনায়ন সৃজন করে তারা। মাহমুদুল করিমের ওয়ারিশগন ওই জায়গা রক্ষনাবেক্ষন করছিলেন। এ দিকে ওই জায়গা জবরদখল নিতে আলেকদিয়াপাড়া এলাকার মৃত সোলতান আহমদের ছেলে নুরুচ্ছফা গং তৎপরতা করছেন। তারা সম্প্রতি পাহাড়ী জায়গা দখলে নিতে একটি কুড়েঘর তৈরী করে রাতে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বনিবনা চলছিল। এ দিকে মাহমুদুল করিম গং পাহাড়ে ফলজ গাছ রোপন করে প্রতি বছর কর্মসংস্থান ও দারিদ্র বিমোচন সহায়তা করছে। তারা বাগানে অসংখ্য কাঠাল ও বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ রোপন করেন। কিছু কিছু গাছ বৃহৎ আকারে হয়েছে। সম্প্রতি নুরুচ্ছফা গং জায়গা দখলের কু মানসে ৪ টি গাছে নাশকতা চালায়। তারা করত দিয়ে গাছ সাটাই করেছে। অভিনব পন্থায় গাছ নিধন করতে গাছে করাত দেয় তারা। এমনকি ক্ষতস্থানে লবণ পানিতে মিশিয়ে গাছে প্রয়োগ করে। এতে বাগানের ৫ টি কাঠাল গাছ হত্যা হয়েছে। গাছের সবুজ অংশ শুকিয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানায়, এরা খুবই কৌশলী। বিশেষ কায়দায় গাছ হত্যা করছে। লবণ পানির মিশ্রণ হওয়ায় গাছগুলি মরে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তুষার ইমরান ও আ’লীগ নেতা রিদুয়ান নাজেরী জানায়, বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক। জায়গার শক্রতামি কিন্তু গাছের কি দোষ ছিল। যে গাছ হত্যা করেছে সে শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডার। তার বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় নাশকতা মামলা রয়েছে। এখন ওই কায়দা পাহাড়ে করছে।

##################

পেকুয়ায় টমটম মালিক সমিতির সদরের কার্যালয় উদ্বোধন

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় টমটম মালিক সমিতির সদর ইউনিয়নের কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল ২১ আগস্ট বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আন্নরআলী মাতবরপাড়ায় এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক এস,আই কামরুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ফিতা কেটে মাতবরপাড়ায় টমটম মালিক সমিতির কার্যালয় উদ্বোধন করেছেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক জালাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ হাসেম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষকলীগ নেতা মাষ্টার নিজাম উদ্দিন, মহিউদ্দিন, নেজাম, মনির, ভেট্রো, ফরিদ, বাহার উদ্দিন প্রমুখ। কার্যালয়ের উদ্বোধন ও দাপ্তরিক কার্যক্রমে শুভ সুচনা লগ্নে মাতবরপাড়ার এলাকার মোর্শেদুর রহমান সার্বিক তত্তাবধান করেন। টমটম মালিক সমিতি সদর ইউনিয়নের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোর্শেদুর রহমান জানায়, টমটম মালিকদের অধিকার প্রতিষ্টার জন্য আমরা উদ্যেগ নিয়েছি। মালিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এ সমিতি কাজ করবে।

পাঠকের মতামত: