ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মহসিন কলেজ রক্তাক্ত ।। ছাত্রলীগের দুগ্রুপে সংঘর্ষে আহত ৮ ।। চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগ নেই!

songarsচট্রগ্রাম প্রতিনিধি :::

মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মাঝে ফের সংর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৭/৮ জন আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুর ২টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ সংঘর্ষ কলেজের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আশপাশের সড়কে প্রায় আধ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ ছিল।

পুলিশ এসে ধাওয়া দিয়েও নিবৃত্ত করতে না পারায় পরে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া দুই গ্রুপের এক পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর এবং অপর পক্ষ বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চকবাজার থানার ওসি নুরুল হুদা ভূঁইয়া আজাদীকে বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করলে তারা পালিয়ে যায়। সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া দুই গ্রুপের এক পক্ষ সাবেক মেয়রের আর অপর পক্ষ বর্তমান মেয়রের অনুসারী বলে শুনেছি। অবশ্য, আহতের খবর পান নি বলে জানান ওসি। তবে দুইজনকে হাসপাতালে আনা হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম। সাইফুল ও বোরহান নামের ওই দুই শিক্ষার্থীর আঘাত ততটা গুরুতর নয় বলেও জানান তিনি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে চন্দনপুরা এলাকার ছাত্রলীগ নেতা নামধারী ও বর্তমান মেয়রের অনুসারী রউফের অনুসারীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় মহসিন কলেজের ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর (সাবেক মেয়রের অনুসারী) সঙ্গে তাদের বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। দুপুর দুইটার দিকে পুলিশ গিয়ে প্রথমে ধাওয়া দেয়। এতেও নিবৃত্ত করতে না পারায় পরে লাঠিচার্জ শুরু করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের সময় আশপাশের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।

এদিকে, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের কোন কার্যক্রম নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ৪ আগস্ট কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ এবং চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোনপ্রকার কার্যক্রম নেই। সুতরাং এই দুটি কলেজে সংঘটিত যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ভার ছাত্রলীগ নিবে না।

পাঠকের মতামত: