ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে ওরা ৫২ জন ।। এমএলএম পদ্ধতিতে ইয়াবা ব্যবসা !

yabaaঅনলাইন ডেস্ক ::

চট্টগ্রামে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ মাত্র ৫২ জনের হাতে। তবে ৫২ জনের নেতৃত্বে আছে আবার ২৮৪ জন। তাদের মধ্যে ৪৯ জন নারী। আর সারা দেশে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে মাত্র ২২৪ জন। অভিযান চলুক, মাদক বিক্রেতা ধরা পড়ুক কিংবা চালান আটক হোক, কোন কিছুতেই এদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয় না। অধিকাংশ সময় ধরা পড়ে খুচরো বিক্রেতা। মাঝে মধ্যে সিন্ডিকেটের এক দু’জন ধরা পড়ে। মাদক স্পটগুলোর আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে খুনের ঘটনাও ঘটছে হরহামেশাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি বলেছেন, মাদকের সহজলভ্যতার কারণে তা সহজেই নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, মিয়ানমার ইয়াবা তৈরি করে, ভারত করে ফেনসিডিল। কিন্তু আমরা কোনো মাদক তৈরি করি না। অথচ এর কুফল ভোগ করছি আমরা। গত ১৫ জুলাই র‌্যাব , চট্টগ্রাম সদর দপ্তরে মাদকদ্রব্য ধ্বংস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফেনসিডিল আসা বন্ধে ভারত সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলে সেখানে আমরা কিছুটা সফল হয়েছি। তারা বিভিন্ন সীমান্তে ফেনসিডিল উৎপাদন বন্ধ করেছে। তারা সীমান্তে বেশ কড়াকড়ি করছে যাতে ফেনসিডিল না আসে। এর ফলে ভারত সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিল আসা আমাদের দেশে অনেকখানি কমে গেছে। মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে কোন সুফল পাওয়া না গেলেও ইয়াবা রোধে তবু আশাবাদী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, মাদকের ভয়াবহতা রুখতে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে। মানুষদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে দেশের প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে অফিস আছে এই অধিদপ্তরের। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলছি। ভয়াবহতা সম্পর্কে তাদের জানাচ্ছি। তারা অব্যাহতভাবে বলে যাচ্ছে আমাদের সঙ্গে কাজ করবে, সহযোগিতা করবে। কিন্তু আমরা সুফলটা পাচ্ছি না। আশা করি একদিন ইয়াবাটা যেন মিয়ানমার থেকে না আসে সেজন্য তারা সহযোগিতা করবে। জানা গেছে, ভৌগোলিক এবং অবস্থানগত দিক থেকে মাদক পাচারকারীরা চট্টগ্রামকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে। মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা সারাদেশে পাচারের একমাত্র রুট চট্টগ্রাম। সড়ক ও নদীপথে কক্সবাজারের টেকনাফ, কক্সবাজার থেকে ইয়াবা চট্টগ্রামে আসছে। পাশাপাশি মিয়ানমার হয়ে নদীপথে আসছে ফেনসিডিল, কোকেন এবং বিদেশী মদ। অপরদিকে ভারত থেকে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আনা ফেনসিডিল চট্টগ্রামে আসছে সড়ক এবং রেলপথে। চট্টগ্রামে যত গাঁজা আসে তার ৮০ ভাগই আসে রেলপথে। দেশী মদ হিসেবে পরিচিত চোলাই মদ আসে তিন পার্বত্য জেলা থেকে। নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে আঞ্চলিক অথবা জাতীয় পর্যায়ে মাদক চোরাচালানি, মাদক বিক্রেতা ও মাদক স্পট সংক্রান্ত একাধিক তালিকা করা হয়েছে। তালিকা হয়, কয়েকটি স্থানে অভিযান চলে, ধরাও পড়ে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে মূল হোতারা বরাবর থেকে যায় আড়ালেই। অভিযোগ রয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায় ঝামেলা থেকে বিরত থাকতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়মিতভাবে মাসোয়ারা দিয়ে আসছে। আর এজন্য বহাল রয়েছে এসব মাদক সিন্ডিকেট।

বছর খানেক আগে সরকারিভাবে দেশের মাদক চোরাচালানিদের একটি তালিকা করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিজিবি, কোস্টগার্ড এবং চারটি গোয়েন্দা সংস্থার বিভাগ ওয়ারি করা এ তালিকায় ২২৪ জন মাদক চোরাকারবারির নাম রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ৫২ জন। কয়েক বছরের ব্যবধানে তারা মাদকবাণিজ্য করে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য সম্পদের মালিক। তাদের অনেকের সন্তান পড়ালেখা করছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারা গডফাদার হিসেবে থেকে বর্তমানে উঠতি তরুণতরুণীদের দিয়ে মাদকবাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। মাদকব্যবসায় ব্যবহার করছেন দামি গাড়ি। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের তালিকায় এই ৫২ জনের নেতৃত্বে মাদক ব্যবসায় জড়িতদের সংখ্যা ২৮৪। স্থানীয় থানা, আটক মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এ তালিকা তৈরি করে পুলিশ। এ তালিকায় রয়েছে ৩৫ জন নারী। তারা ২৪৮টি জায়গায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সিএমপি সূত্র ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিএমপির কোতোয়ালি থানার ৫৪ টি জায়গায় মাদক ব্যবসা করছে ৯৬ জন। সদরঘাট থানার চারটি জায়গায় মাদকবাণিজ্য চলছে। বাকলিয়া থানা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে ২৪ জন। খুলশী থানার পাঁচ মাদক বিক্রেতা নিয়ন্ত্রণ করেন ২৬টি মাদকের স্থান। তাদের নিয়ন্ত্রণে আরো ২৬ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাতজন মাদক ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করে ১৩ মাদকের স্থান। হালিশহর থানায় চার মাদক ব্যবসায়ী ১৪টি স্থানে মাদক বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করেন। পাহাড়তলীর মাদকের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন ১৪ জন মাদক ব্যবসায়ী। ডবলমুরিং থানার ১০ জন মাদক ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করে ২০ স্থানের মাদকের বাজার। বন্দর থানার ছয়টি স্থানে মাদকের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন তিনজন মাদক ব্যবসায়ী। আকবর শাহ থানার ১৯টি স্থানে মাদক বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করেন ২২ জন। ইপিজেড থানায় ১৫ জন ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করেন মাদকের বাজার। পতেঙ্গা থানার মাদক ব্যবসায়ী ৭ জন। কর্ণফুলী থানায় সাতজন মাদক ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করেন দশটি মাদকের স্থান। মাঝে মধ্যে দুই একটা মাদকের চালান ধরা পড়লেও অধরা থেকে যাচ্ছেন গডফাদার। এসব মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একশ্রেণীর কর্মকর্তাদের রয়েছে সখ্য। অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও সরকারি দলের লোকজনের মদদে এসব ব্যবসায়ী মাদক বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। যার কারণে অনেক সময় প্রশাসনও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে সাহস পাচ্ছে না।

পুলিশ এবং প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নগরীর মাদক ব্যবসায়ীােদর মধ্যে ৪৯ জনই নারী। অনেকে মাদকসহ একাধিকবার হাতেনাতে ধরা পড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। কারাভোগও করেছেন দীর্ঘ দিন। এর মধ্যে ঢেবারপাড় এলাকায় ২ জন, পাহাড়তলী ডেবারপাড়ে ৪ জন, হালিশহর থানার ঈদগাহ এলাকার ১ জন, হালিশহর স্ক্র্যাপ কলোনিতে ১ জন, ছোটপুল কাঁচাবাজার এলাকার ১ জন, কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় ২ জন, পাহাড়তলী রেলস্টেশন বাজার ও কলোনিতে ৩ জন, বিআরটিসি মার্কেটে ২ জন, কাপ্তাই রাস্তার মাথা ৮নং পুল সংলগ্ন এলাকার ১ জন, নতুন রেলস্টেশন আরএনবি ব্যারাকে ১ জন, স্টেশন রোডের জঙ্গিশাহ মাজারের সামনে ১ জন, ধোপার মাঠ বস্তিতে ২ জন, আইস ফ্যাক্টরি রোডে ২ জন, আকবর শাহ এলাকায় ৪ জন, গোসাইলডাঙ্গায় ১ জন, হাজারী গলিতে ১ জন, রাহাত্তারপুল এলাকায় ৩ জন, মিয়া সওদাগর পুল সংলগ্ন এলাকার ৩ জন, মাদারবাড়ি পানির ট্যাংকিতে ১ জন, এনায়েতবাজার, কদমতলী শুভপুর রেল লাইন ১ জন করে নারী মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এ প্রসঙ্গে বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে মাদক ব্যবসায় অনেক নারী রয়েছে। আইনী ঝামেলা এড়াতে তাদের স্বামীরা স্ত্রী ও মেয়েকে দিয়ে এ ব্যবসা করায়। পাশাপাশি অনেক নারী আছে যারা সরসরি এ ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ছয়সাত হাত ঘুরে মাদক যায় খুচরা বিক্রেতা ও মাদকসেবীর কাছে। এ কারণে মূল হোতারা ধরা পড়ে না। তবে চট্টগ্রাম কারাগারে মাদক আইনে বন্দী অন্তত ১০ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় অপরাধী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা না পেলে যেকোনো এলাকায় মাদক ব্যবসা করা কঠিন।

সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ীরা চার স্তরে থাকে। এরমধ্যে সাধারণত ৪নম্বর স্তরের লোকজনই বেশি ধরা পড়েন। মাঝেমধ্যে দ্বিতীয় স্তরের কেউ কেউ ধরা পড়লেও ১ম ও ২য় স্তরের মাদক ব্যবসায়ীরা কখনোই ধরা পড়ে না। এদের চিহ্নিত করাও বেশ কঠিন বলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন। এসব কারণে মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বহাল তবিয়তে থেকেই তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারছে।

পণ্য বিপণনের মতো এমএলএম পদ্ধতির মাধ্যমে ইয়াবাসেবী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী বেড়ে চলেছে। কৌশলে সেবনের আগ্রহ তৈরি করে প্রথমে কাঙিক্ষত ব্যক্তিকে বিনামূল্যে ইয়াবা সেবন করায় কারবারীরা। এরপর তাকে নিজের প্রয়োজনে ইয়াবা কিনতে বাধ্য করায়। শেষ পর্যন্ত নিজের চাহিদা পূরণ করে বাকিটা বিক্রির ফাঁদে ফেলে। এর পেছনে জড়িত আছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটও। কক্সবাজার টেকনাফ রুট ধরে ইয়াবার অধিকাংশ চালান নগরীতে ঢুকলেও, তার একটি বড় অংশ চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকায়। এক্ষেত্রে স্থলপথের চেয়ে রেলপথই আদর্শ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে চোরাচালানিদের কাছে।

রেলপথে উল্লেখযোগ্য কোন চালান ধরা পড়েছে, এমন নজির নেই। উল্টো অভিযোগ রয়েছে রেল পুলিশ (জিআরপি) ও রেল নিরাপত্তা বাহিনীর প্রত্যক্ষ বা পরো ইন্ধনেই ট্রেন হয়ে উঠেছে মাদক চোরাচালানের নির্ভরযোগ্য বাহন। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে চড়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার পিস ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র। খোদ জিআরপি থানাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অপরাধের নানা স্পট। ৫০ গজের মধ্যেই রমরমা ভাবে চলছে গাঁজার স্পট ও দুইশ গজ দূরে রয়েছে ফেন্সিডিল, ইয়াবা ও হেরোইন স্পট। আর রেল নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যারাকের ঠিক বিপরীতেই রেল শ্রমিক লীগ অফিসের আড়ালে চলে রমরমা জুয়ার ব্যবসা। রাত বাড়লে আনাগোনা বাড়ে পুলিশ সদস্যদের । আসে মোবাইল চোরদের অনেকেই। মাদক সেবন চলে, সাথে চলে জুয়া আর চোরাই মোবাইল কেনা বেচা। স্টেশন ঘিরে অপরাধের স্বর্গরাজ্যের দখল নিতে খুনের ঘটনাও ঘটছে। অবৈধ কাঁচা টাকার প্রলোভনে নিত্য নতুন বাজার বাহিনী গঠন করে একসময়ের সহযোগীকে খুন করতেও দ্বিধা করছে না প্রতিপক্ষ।

অভিযোগ রয়েছে, মাদকাসক্তদের সুস্থ, সুন্দর জীবনে ফিরিয়ে আনতে সরকারিবেসরকারি বিভিন্ন ‘মাদক নিরাময় কেন্দ্র’ কাজ করছে। সরকারিভাবে সারাদেশে মাত্র ৪টি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় নিরাময় কেন্দ্র কম হওয়ার ফলে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের নামে গড়ে তুলেছে বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র। আর সরকারের যথাযথ তদারকি ও নজরদারি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের উপরি কামাইয়ের লোভে এসব মাদক নিরাময় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু। মাদকাসক্তদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে পরিবারের সদস্যরা এসব চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠিয়ে নানা রকম উৎকণ্ঠায় থাকেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীতে অবৈধ অর্ধশত মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র আছে। এগুলোকে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখিয়ে কেউ কেউ সমাজসেবা অধিদফতর বা সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের থেকে সনদ নিয়ে কেন্দ্র পরিচালনা করছেন। এসব কেন্দ্রে চিকিৎসা সুবিধা বলতে কিছু নেই, আছে অভিযোগ আর অভিযোগ। রোগীর ওপর শারীরিক নির্যাতন, মাদকের ব্যবসা পরিচালনা ও রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো অর্থ আদায় করার অভিযোগ তো রয়েছেই।

মাদক ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি তাদের সুপথে ফিরিয়ে আনতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নগর ও জেলা পুলিশ। সিএমপির কর্মকর্তারা জানান, যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তারা ফিরে আসলে সিএমপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও তারা রুজিরোজগারের ব্যবস্থা করতে রিকশা বা সেলাই মেশিন দিয়ে সিএমপি সহযোগিতা করবে। বিভিন্ন ছোট ছোট ব্যবসার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করানো হবে। সিএমপির এমন পরিকল্পানায় নগরীর কয়েকটি থানাও ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিয়েছে তাদেরকে চাকরির ব্যবস্থা করার। বায়েজিদ থানার ওসি মো. মহসিন বলেন, আমার থানা এলাকায় কোনো মাদকব্যবসায়ী যদি ফিরে এসে কোনো চাকরি করতে চায়, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করবো। এজন্য এসব মাদকব্যবসায়ীদের বায়েজিদ থানায় যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: