ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পেকুয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ সংষ্কার

20170727_124826নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :::

পেকুয়ায় জোয়ারের পানি আটকিয়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধের বিলীন অংশ মেরামত করেছেন এলাকাবাসী। এতে করে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব, দক্ষিণ ও উত্তর অংশের বিপুল জনগোষ্টী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার মত পরিস্থিতির উত্তরন সাধিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা আলেকদিয়াকাটা নামক স্থানে স্বেচ্ছাশ্রমে সংষ্কার কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে পাউবো নিয়ন্ত্রিত বেড়িবাঁধে। গত ২৫ জুলাই সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে একইদিনে সদর ইউনিয়নের আলেকদিয়াকাটা এলাকায় বেড়িবাঁধের তিনটি পৃথক স্থান বিলীন হয়। এতে ভোলাখালের ¯্রােতের পানি সরাসরি লোকালয়ে প্রবেশ করে। ফলে সদর ইউনিয়নের বিপুল এলাকা প্লাবিত হয়। আলেকদিয়াকাটা ফসলী জমিতে শত শত কৃষক আমন ফসল উৎপাদনের জন্য বীজতলা তৈরী করে। নার্সারীর বাগান রয়েছে ২০-৩০ পয়েন্টে। দারিদ্র বিমোচনের জন্য কিছু উদ্দেমী যুবক নার্সারী ব্যবসার দিকে ঝুকছিলেন। তারা জৈষ্ট্য মাসের শুরুতে হাজার হাজার চারা উৎপাদন করছিলেন। বেড়িবাঁধ বিলীন হওয়ায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নার্সারীর মালিকরা। এ দিকে বৃহস্পতিবার স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন অংশ মেরামত কাজ শেষ করেছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শতাধিক গ্রামবাসীরা বেড়িবাঁধ সংষ্কার করতে কোদালসহ মাটি কাটার সরঞ্জামাদি নিয়ে ওই স্থানে জড়ো হন। কঠোর পরিশ্রম করে তারা বেড়িবাঁধ সংষ্কার করে আটকিয়ে দিয়েছেন নদীর জোয়ারের পানি। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার জাকারিয়ার নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা বাঁধ সংষ্কার করেছেন। স্থানীয়রা জানায়, বর্তমান ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতা রিদুয়ান বেড়িবাঁধ সংষ্কার কাজে বাধা দেয়। এ সময় গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হন। এক পর্যায়ে ক্ষেপে গিয়ে ওই ইউপি সদস্যকে ধাওয়া দেয় তারা। শিলখালীর হাজিরঘোনা এলাকার মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানায়, আমরা সবাই এ কাজে সহায়তা করেছি। আমি দিয়েছি একশটি বস্তা। জাকারিয়া মেম্বার দিয়েছেন ৩শ টি বস্তা। এগুলোতে মাটি ভরাট করা হয়েছে। সাবেক ইউপি সদস্য জকরিয়া জানায়, আমিসহ সেলিম উদ্দিন, ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মোজাম্মেল ও শিলখালীর গ্রাম পুলিশ আবুল কালাম এ কাজের নেতৃত্ব দিয়েছি। বড় কথা হচ্ছে এলাকাবাসীরা নিজেদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে সক্ষম হয়েছেন। শিলখালী ও সদরের পাশর্^বর্তী দুই ইউনিয়নের মানুষ এ কাজ বাস্তবায়ন করেছেন।

############

পেকুয়ায় জঙ্গি প্রতিরোধ কমিটির কার্যালয়ের সাইনবোর্ড সরিয়ে নিলেন বিএনপির সভাপতি!

পেকুয়া প্রতিনিধি :

পেকুয়ায় সন্ত্রাস ও জঙ্গি প্রতিরোধ কমিটির প্রধান কার্যালয়ের সাইনবোর্ড গুটিয়ে দিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম, বাহাদুর শাহ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খোদ ক্ষমতাসীন দল আ’লীগ সহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পেকুয়ায় গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উত্তেজনা দেখা দেয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত সন্ত্রাস ও জঙ্গি প্রতিরোধ কমিটির কার্যালয়ের টাঙ্গানো সাইনবোর্ডটি উঠিয়ে ফেলায় পেকুয়া উপজেলা সন্ত্রাস ও জঙ্গি প্রতিরোধ কমিটি এ ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও বর্বরোচিত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের ইউপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সন্ত্রাস ও জঙ্গি প্রতিরোধ কমিটির ৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান জানায়, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের পরিত্যক্ত ভবনটিতে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গি প্রতিরোধ কমিটির উপজেলার প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত করতাম। বর্তমানে পানি সম্পদ অধিদপ্তর আধুনিকায়ন করা হয়েছে। উপজেলার নিকট স্থায়ী অফিস সম্প্রসারন করা হয়েছে। ভবন ও কার্যক্রম একই স্থানে চলছে। আমরা দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সাইনবোর্ডও টাঙ্গিয়েছি। বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ এসে সাইনবোর্ডটি তুলে নেয়। তার পরিষদের গ্রাম পুলিশ দিয়ে সাইনবোর্ডটি উঠিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে তারা সাইন বোর্ডটি পায়ে পিষ্ট করে। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিল। সদর ইউনিয়ন সন্ত্রাস ও জঙ্গি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আজম খান জানায়, বিষয়টি জেনেছি। এটি দু:খজনক। বাহাদুর শাহ ভবনটি এক বিএনপি সমর্থিত শাহজাহান নামের মাছ ব্যবসায়ীকে দেড় লক্ষ টাকা সেলামী নিয়ে ভাড়া কন্টাক করেছে। সন্ত্রাস জঙ্গি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম জানায়, তারা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। বাহাদুর শাহের এত বড় দু:সাহস কোথায়। সাইনবোর্ডটি প্রকাশ্যে উঠিয়ে বাজারে পদদলিত করেছে। এ বিষয়ে আমি আমার দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলব। তারা যে ভাবে সিদ্ধান্ত দেন সেভাবে আমরা কাজ করব। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ জানান, ভবনটি এখনও কাউকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। তারা দখল করতে এ সাইনবোর্ডটি টাঙ্গিয়েছেন। আমি গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে সেটি অপসারন করেছি। পদদলিত করা হয়নি। সন্ত্রাস ও জঙ্গি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কে সে বিষয়ে আমার জানা নেই।

##############

পেকুয়ায় মাদক সেবনকারী হামলায় আহত-১

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় মাদক সেবনকারীর হামলায় এক যুবক আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানাযায়, আহত যুবক আব্দু ছমত(৩০) পেকুয়া সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী উত্তর পাড়া এলাকার গোলাম ছোবহানের পুত্র। বর্তমানে পেকুয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় গোঁয়াখালী মামা-ভাগিনার দোকান নামক এলাকায়। স্থানীয়রা জানান, আহত আব্দু ছমতের স্ত্রীর বড়ভাই উজানটিয়া ইউনিয়নের ছালেহ আহমদের পুত্র শফিকুল ইসলাম বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে মৃত জাফর আহমদের পুত্র স্থানীয় চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী বখতিয়ার উদ্দিন প্রকাশ বত্তু গতিরোধ করে শফিকুল ইসলাম থেকে নগদ টাকাসহ তার ব্যাবহৃত মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি বোনের স্বামী আব্দু ছমতসহ উত্তর পাড়ার সমাজ প্রতিনিধিদের অবগত করেন শফিকুল ইসলাম। পরদিন সকালে আব্দু ছমত, উত্তর সমাজ কমিটির সহসভাপতি মোস্তাক ও সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বখতিয়ার উদ্দিনের বাড়িতে আসে। চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী বখতিয়ার উদ্দিন বত্তু বিষয়টি অস্বিকার করে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। স্থানীয় সমাজ কমিটির প্রতিনিধিদের সামনে বখতিয়ার উদ্দিন ক্ষুদ্ধ হয়ে আব্দু ছমতের উপর হামলা চালায়। এতে আব্দু ছমত গুরুতর আহত হয়। সমাজ প্রতিনিধির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মনজুর আলম জানান, এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

#############

পেকুয়ায় মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকী।

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় মাদ্রসা ছাত্রী অপহরণ মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকী অব্যাহত রেখেছে মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামীরা। এতে চরম নিরাপত্বা হীনতায় ভোগছে অপহহৃত ছাত্রীর পরিবার। জানাযায়, বিগত দু’বছর পুর্বে ২৮মে ২০১৫ সালে মাগনামা শাহ্ রশিদিয়া মাদ্রাসায় পড়–য়া ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী নুরুন্নেছা(১৪) মাদ্রসা থেকে বাড়ি ফিরার পথে অপহরণ হয়। এখনো পর্যন্ত কোন খোঁজ মেলেনি অপহহৃত মাদ্রসার ছাত্রী নুরুন্নেছার। অপহরণের বিষয়ে এলাকার কিছু চিহ্নিত চরিত্রহীন, নারীলোভী, ইভটিজার অপহরনের ঘটনায় জড়িত থাকায় ৩জনের নামোল্লেখ করে অপহৃত নুরুন্ন্ছোর মা লাইলা বেগম বাদী হয়ে জেলা জজ (কক্সবাজার) নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং সিপি ৯৬৬/১৬। মামলায় আসামীগনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরওয়ানা জারী করেন বিজ্ঞ আদালত। এরপর থেকে আসামীগন দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক থাকলেও বিগত কয়েক মাস পূর্ব থেকে এলাকায় বিচরণ করছে প্রকাশ্যে। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এলাকায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীর প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা, এনিয়ে এলাকায় চলছে নানান গুঞ্জন। এদিকে আসামী ওসমান গনি, বাচ্চু, কাইছার অপর একজন নুরুচ্ছফা সংগবদ্ধ হয়ে মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত হুমকী ধুমকী প্রদর্শন করিতেছে। মামলার বাদী লায়লা বেগম জানান, গতকয়েক দিন পূর্বে রাতের অন্ধকারে বসত বাড়িতে আগ্নেঅস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমাকে, আমার ছেলে শফিউল আলম(২২) ও আমার পরিবারের সবাইকে প্রাণে হত্যা করবে বলে হুমকী দেয় আসামীরা। গতাকাল বৃহষ্পতিবার সকালে আমার ছেলে শফিউল আলম(২২)কে গতিরোধ করে বেধড়ক মারধর করে। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্বাহীনতায় দিন যাপন করছি। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুদৃষ্টি কামনা করছি।

পাঠকের মতামত: