ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

সেপ্টেম্বরে শুরু হচ্ছে কক্সবাজার রেল লাইনের কাজ

rel duha-coxচকরিয়া নিউজ ডেস্ক :::

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-ঘুনধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বর্ষা শেষে সেপ্টেম্বর-অক্টোরব মাসে শুরু হচ্ছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ১৫শ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তায় অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প।

আশা করা হচ্ছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচকতা তৈরি পাশাপাশি পর্যটনশিল্পের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের কাজ আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে শুরু হবে। প্রকল্পের টাকার সংস্থান হয়ে যাওয়ায় আগামী মাসে আমরা ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দিতে পারবো। এখন বর্ষা, বর্ষার পরপরই কাজ শুরু হবে। ২০১০ সাল থেকে আমরা টাকা যোগার করার জন্য চেষ্টা করছি। এখন টাকার সংস্থান হয়ে গেছে।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৮ হাজার ২০ কোটি টাকা। ডুয়েল গেজের এ রেললাইন দু’টি প্যাকেজে বাস্তবায়ন হবে। প্রথমে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এবং পরে কক্সবাজার থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত। দোহাজারী থেকে রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার প্রথম দফায় বাস্তবায়ন হবে। এ প্রকল্পের নির্মাণকাল নির্ধারণ করা হয়েছে তিন বছর। রেলওয়ে কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২০২০ সালের শুরুতেই পুরোপুরি চালু হবে বহুল আলোচিত এ রেলযোগাযোগ।

জানা গেছে, মূল প্রকল্পের জন্য মোট চার কিস্তিতে এডিবি ১৫শ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান। প্রথম কিস্তির ৩০০ মিলিয়ন ডলার প্রদানের জন্য গত মাসের ২১ তারিখ এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। প্রথম কিস্তির কাজ বাস্তবায়নের পর দ্বিতীয় কিস্তির ৪০০ মিলিয়ন ডলার, তৃতীয় কিস্তির ৫০০ মিলিয়ন ডলার এবং চতুর্থ কিস্তির ৩০০ মিলিয়ন ডলার ছাড় দেবে এডিবি। এ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে সাড়ে ২২শ’ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের টাকা দিয়েছে সরকার এবং মূল প্রকল্পের টাকা দেবে এডিবি।

প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে এই লাইন শুরু হবে। এরপর চন্দনাইশের অল্প অংশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া, চকরিয়া, রামু, কক্সবাজারের ঝিলংজা পর্যন্ত যাবে এই রেললাইন।

 

পাঠকের মতামত: