ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় পানি আটকানো নিয়ে মসজিদ কমিটি-এলাকাবাসির দ্বন্ধ

পেকুয়া প্রতিনিধি ::03

পেকুয়ায় পানি আটকানো নিয়ে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসির মধ্যে দ্বন্ধ প্রকট আকার ধারন করেছে। পানি চলাচলের নাশি আটকিয়ে দিয়েছে একটি পক্ষ। এতে করে সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা চইরভাঙ্গা গ্রামের বিপুল অংশ পানিতে তলিয়ে যায়। বাড়িঘর ও পুকুর পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। পানি চলাচল রুদ্ধ হওয়ায় এলাকাবাসিরা ফুঁেস উঠেছে। এদিকে চইরভাঙ্গা এলাকায় পানি চলাচল ও প্রতিবন্ধকতাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতি কৃত্রিম চলবদ্ধতায় পরিনত হওয়ায় স্থানীয় এক পক্ষ অপর পক্ষকে দোষছেন। এনিয়ে মসজিদ কমিটি ও মহল্লাবাসি পরষ্পরকে দায়ি করেছেন। তারা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসন বরাবরে। মঙ্গলবার দুপুরে পেকুয়া থানা পুলিশ চইরভাঙ্গা পরিদর্শন করেছেন। জানা গেছে সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা চইরভাঙ্গা এলাকায় একটি পানি চলাচলের নাশি আটকিয়ে দেয়া হয়েছে। লীজপাড়া চইরভাঙ্গা সড়কের উত্তরপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন স্থানে একটি নাশি রয়েছে। উত্তরপাড়া জামে মসজিদ সম্প্রসারন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। স্থানীয় আবুল কাসেম, নুরুল আলম, নুরুল আবছার, শাহাব উদ্দিন, কাইসার, জাহানারা বেগম, মুর্শিদা বেগম, হাছিনা বেগম, হাবিব উল্লাহসহ এলাকাবাসিরা জানায় লীজপাড়া চইরভাঙ্গা সড়কের মসজিদের পাশে^ পানি চলাচলের নালা রয়েছে। সড়ক উপর একটি নাশিও আছে। ওই নাশি দিয়ে এলাকার পানি প্রবাহ পশ্চিমের খালে গিয়ে পড়ে। শত বছর ধরে নাশিটি সচল রয়েছে। মসজিদ সম্প্রসারন কাজ বাস্তবায়ন হওয়ায় নাশিটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পানি চলাচলের বিকল্প পথ না থাকায় চইরভাঙ্গায় প্রায় দু’শ পরিবার পানি বন্দি রয়েছে। স্থানীয়দের পক্ষে গোলাম ছোবহানের ছেলে শাহাব উদ্দিন বাদি হয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি অভিযুক্ত করেছেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাষ্টার আহমদ শফিকে। এদিকে মসজিদ কমিটির পক্ষে পৃথক অভিযোগ উথ¥াপন করেছেন একই বিষয়ে। মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাষ্টার আহমদ শফি জানায় মসজিদের জায়গা জবর দখল করা হয়েছে। গোলাম ছোবহানের ছেলে শাহাব উদ্দিন পানি চলাচল পথ আটকিয়েছেন। ওই ব্যক্তি নালা ভরাট করে তৈরি করেছে বসতবাড়ি। তার কারনে চইরভাঙ্গার বিপুল জনগোষ্টি পানি বন্দি রয়েছে। মসজিদ সম্প্রসার কাজ চলছে। মসজিদের জায়গায় স্থাপনা নির্মান কাজ আরম্ভ করেছি আমরা। শাহাব উদ্দিন দায় এড়াতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছি। পেকুয়া থানার এসআই কামরুল হাসান জানায় আমি ওই স্থানে গিয়েছিলাম। পানি আটকানো হয়েছে। শতশত মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। আগে পানি নিষ্কাশন করতে হবে। পরবর্তীতে অন্য সিদ্ধান্ত।N

পাঠকের মতামত: