ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ার বাজারগুলোতে কেমিক্যাল মেশানো ফলের সমাহার

mangoএম.জুবাইদ. পেকুয়া:

পেকুয়ার বাজারগুলোতে মৌসুমী ফলের সমাহার। জৈষ্ঠ্য ও আষাঢ় মাসকে মধু মাস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ সময় নানান রকমের ফল পাওয়া যায় বাজারে। পেকুয়ার আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী (পেকুয়া বাজারসহ) উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট-বাজার ও ষ্টেশনে জমে উঠেছে ফলের বাজার। কিন্তু ফলের মধ্যে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যাল। প্রতিদিন টন টন ফল কিনছে ক্রেতারা। তবে ফলে ফরমালিনের ব্যবহার ধরা পড়েছে পেকুয়ায়। স্থানীয় উৎপাদিত মৌসুমী ফল পেকুয়ায় আগেভাগে শেষ হয়ে গেছে। অন্য বছরগুলোতে মাস দু’য়েক স্থানীয় ফল বাজারে পাওয়া যেত। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় মোরায় তীব্র প্রভাবে আবহাওয়া বৈরী ছিল। প্রচন্ড বাতাসে আম, লিচু, জাম, জামরুল, আতাসহ নানান জাতের ফল ঝরে যায়। এতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিসমাপ্তি ঘটে স্থানীয় ফলের। স্থানীয় উৎপাদিত ফলে কোন ধরনের বিষাক্ত কেমিক্যাল প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয়না। বাজারে শুভা পেয়েছে নানান জাতের আমের। বর্তমানে আমের সমাহার দেখা যাচ্ছে বাজারগুলোতে। উত্তর বঙ্গের রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে উৎপাদিত ফল আম পেকুয়ার বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে। পেকুয়া বাজারে সড়কের দু’পাশ দখল করে বিপুল অংশে মৌসুমী ফলের রমরমা বাজার। ক্রেতা শফিক, মামুন, জসিম, সুজন, জয়নাল, আবুল কালাম, নজরুল, ছাবেকুন্নাহার, সাবিনা, কলি, ইছমত আরা জানায় সব ফলে ফরমালিন। নাম শুনেছি ফরমালিন। বাজার থেকে আম কিনে বাড়িতে খাওয়ার সময় সন্দেহ হলে কাটা আম পানিতে কিছুক্ষন চুবিয়ে রাখি। এরপর দেখি পানি গুলো কালো হয়ে গেছে। বাহিরে সুন্দর তাজা দেখালেও ভিতরের মাজা আধাকাচা ও শক্ত। আম খেতে ভয় পাই। লোকজন বলছে ফরমালিন পেটে গেলে কঠিন রোগ হয়। যারা ফলের নামে বিষ খাওয়াচ্ছে এদের বিরুদ্ধে শাস্তি চাই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানায় ফরমালিন ছাড়া ফল কোথায় পাব। আমরা ওষুধ মেশাইনা। কেনার সময় ফলে এসব ফরমালিন মেশানো থাকে। বারবাকিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাকের হোসেন জানায় বাজারে সব ফলে ফরমালিন। দু’দিন আগে খাওয়ার জন্য দু’কেজি আম কিনি। সন্দেহ হলে কাটা আম পানিতে রাখলে কালো হয়ে যায় পানি। প্রশাসনের ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা দরকার। পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি.এর সভাপতি হাজ্বি আকতার আহমদ, সেক্রেটারী মো.মিনহাজ উদ্দিন জানায় লোকজন ফরমালিনের কথা বলছে। আমরা চাইনা কোন ব্যবসায়ী মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলুক। জড়িত থাকলে এদের বিরুদ্ধে শাস্তি হোক। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনার জোর দাবি করছি। পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা.মুজিবুর রহমান জানান ফরমালিনযুক্ত খাবার খেলে শরীরে নানা কঠিন রোগ ব্যাধি হয়। বিষাক্ত কেমিক্যালের কারনে মানবদেহের কিডনি, লিভার ও গ্যাষ্ট্রো জনিত সমস্য দেখা দেয়। এমনকি মরন ব্যাধি ক্যান্সারেও আক্রান্ত হতে পারে।

পাঠকের মতামত: