ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বাঁশখালীর কালীপুরে লিচুর বাম্পার ফলন

lichuকল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা, বাঁশখালী :::

বাঁশখালীর কালীপুরের সুস্বাদু লিচু একনামে পরিচিত সর্বত্র। প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা কালীপুরের লিচু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। কালীপুরে এবার লিচুর বাম্পার ফলন হলেও লিচু বিক্রির শুরুতে দামটাও চড়া হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় লিচুর উৎপাদন হলেও কালীপুরের লিচুর সুনাম ছড়িয়ে রয়েছে সারা দেশে। তাই কালীপুর বাজারে ব্যবসায়ীরা এখন ভিড় জমাচ্ছেন শুধু লিচু সংগ্রহের জন্য। এখানে বিভিন্ন প্রকারের লিচুর সমারোহে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কদর বেড়েছে বাঁশখালীর কালীপুরের এই সুস্বাদু লিচুর। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান করে সরবরাহ করা হচ্ছে কালীপুরের লিচু। অপরদিকে কালীপুরের লিচু ছাড়াও বাঁশখালীতে পুকুরিয়া, সাধনপুর, বৈলছড়ি, চাম্বল, শীলকূপ ও পুঁইছড়ি এলাকায় বিপুল পরিমাণ লিচু চাষ হয়ে থাকে। লিচুর ফলন সম্পর্কে জানতে চাইলে, কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, বাঁশখালীতে এবার ৫শ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষাবাদ হয়েছে। আগাম লিচু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাইকারি ব্যবসায়ীরা নিয়ে যাচ্ছে। কালীপুরের লিচুর প্রচুর চাহিদা চারা কলম। এখন চট্টগ্রাম জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকরা চারা রোপনের মাধ্যমে ফলন ফলাচ্ছেন।

তারা লাভবানও হচ্ছেন। এদিকে গতকাল সরজমিনে পরিদর্শনকালে কথা হয় পূর্ব কোকদন্ডী এলাকার এক লিচু ব্যবসায়ীর সাথে। তিনি বিগত ১১ বছর ধরে প্রতি মৌসুমে লিচু ব্যবসা করে আসলেও এবার আশানুরূপ সফলতা অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়াও বাজার পরিদর্শনকালে দেখা যায়, প্রতি হাজার লিচু আড়াই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত দরে ক্রয় করে নিচ্ছে। উন্নত জাতের লিচুর মধ্যে বোম্বাইয়া, কলিকাতা, চায়না৩ লিচুর ফলন বাঁশখালীতে ভাল হয়। আবহাওয়ার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় বোম্বাইয়া ও চায়না৩ লিচু ফলন কম হয়েছে। কালীপুর এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান পোকার আক্রমণে লিচুর ফলনে অনেকাংশে ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া অনাবৃষ্টিতেও লিচুর তি হয়। এবার চাহিদা অনুযায়ী দাম পাওয়া যাচ্ছে। নিজেদের পরিবারে খাওয়ার পরেও গত দুই দিনে ২২ হাজার টাকার লিচু বিক্রি করা হয়েছে। কালীপুর রেজিষ্ট্রি অফিস সংলগ্ন স্থানে বিভিন্ন গ্রাম থেকে বাগানের মালিকরা লিচু বিক্রির জন্য এসেছে। তারা দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারী দামে লিচু সংগ্রহ করতে আসা ব্যবসায়ীদের কাছে চড়া দামে লিচু বিক্রি করছে। কয়েকজন লিচু চাষীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি টিলা জমিতে লিছু চাষাবাদ করা হয়। লিচুর চাহিদা থাকা স্বত্বেও কৃষকরা সরকারিভাবে সুযোগ সুবিধা না পাওয়াতে এবং ব্যাংক ঋণের অভাবে চাহিদা মেটাতে পারছেন না। কৃষকদের সরকারি পৃষ্টপোষকতা প্রদান করলে অনাবাদি জমিগুলোতে লিচু বাগান তৈরির মাধ্যমে কৃষি বিপ্লব ঘটানো সম্ভব হবে।

 

পাঠকের মতামত: