ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষ : শাটল ট্রেন বন্ধ

cuবিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত এক নেতাকে জোর করে পরীক্ষায় অংশ নেয়াতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং জিরো পয়েন্ট এলাকায় সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চট্টগ্রাম শহরে চলাচলকারী শাটল ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

 প্রায় ৬ মাস আগে শৃঙ্খলাজনিত কারণে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আবদুল্লাহ আল কায়সার শাকিলকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 একই ঘটনায় চবি শাখা ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য শাকিলসহ মোট ৪ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।

ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিভাগের চতুর্থ বর্ষের প্রথম পরীক্ষা (কোর্স নং-৪০১) আজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। শৃঙ্খলাজনিত কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক ছাত্রকে বহিষ্কার করেছিল। তাকে পরীক্ষা দেওয়াতে শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সকালে বিভাগে এসে জড়ো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে শুরুতে তারা চলে যায়।

 কিছুক্ষণ পর আবার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে সেখানে আসে জানিয়ে আবুল কালাম বলেন, ‘তখন পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর পরীক্ষা স্থগিত করতে আমরা বাধ্য হই। ঘটনার বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুল বলেন, একই ঘটনায় বহিষ্কৃত অন্য ছাত্ররা অন্য বিভাগে ঠিকই পরীক্ষা দিয়েছে। শাকিলকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেয়ায় তার সহপাঠীরা পরীক্ষা বর্জন করেছে। পুলিশ গিয়ে তাদের বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ধাক্কাধাক্কির পর ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।

 হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক এসআই আলাউদ্দিন বলেন, তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করায় বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে। ইটে আঘাতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।

 এদিকে সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় রেল স্টেশন এলাকায় রেললাইনের ফিস প্লেট তুলে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

 aচবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. মামুন বলেন, বিভিন্ন সময় বহিষ্কার হওয়া ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা পরীক্ষা দিয়েছে। তাহলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কেন পরীক্ষা দিতে পারবে না?

পাঠকের মতামত: