ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামে আড়াই মাসে দুই ছাত্রসহ ১৯ খুন

চট্টগ্রামে হঠাৎ করে খুন, ছিনতাই, গুপ্তহত্যা, অপহরণ ও ধর্ষণসহ সব ধরনের অপরাধ বেড়ে গেছে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে গত আড়াই মাসে ১৯টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে ৪১টি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যেগুলো বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেছে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম।

চট্টগ্রামে স্কুলছাত্র আদেল এবং মাদ্রাসাছাত্র ইসমাম হায়দার খুনের ঘটনা নগরজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এ দুই ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থী ও সাধারণ লোকজন। এর বাইরেও ছাত্রলীগ-যুবলীগের আধিপত্য বিস্তার, টেন্ডার সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং ফুটপাত বাণিজ্যকে ঘিরে নগরীতে প্রতিদিন লেগে আছে সংঘাত-সংঘর্ষ।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্র জানায়, চলতি বছরের আড়াই মাসে (জানুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ) মহানগরীতে ১৯টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৭টি, ফেব্রুয়ারিতে ৮টি এবং চলতি মার্চ মাসে ৪টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে ৪১টি অজ্ঞাত লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেছে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৯ জন এবং চলতি মাসে (১৪ মার্চ) ৭ জন। খাল, নালাসহ নানা পরিত্যক্ত স্থান থেকে এসব লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। এসব লাশের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম বেওয়ারিশ হিসেবে এসব লাশ দাফন করেছে।

এছাড়া নগরীতে প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০টি করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হচ্ছে। একইভাবে ঘটছে অপহরণের ঘটনাও। নগরীর লালখান বাজার এলাকায় যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে ত্রাসের রাজত্ব চালাচ্ছে স্থানীয় সন্ত্রাসী পিচ্চি হানিফ। তার নেতৃত্বে ওই এলাকায় চলছে নীরব চাঁদাবাজি। এছাড়া অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়, ছিনতাইচক্র, জুয়া ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণসহ নানা অপকর্ম হচ্ছে পিচ্চি হানিফ বাহিনীর নেতৃত্বে। তার বিরুদ্ধে থানা পুলিশের কাছে অসংখ্য অভিযোগ গেলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর যুগান্তরকে বলেন, ‘চলতি বছরের (আড়াই মাসে) যেসব খুনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তা পর্যালোচনা করে দেখা যায় এর বেশিরভাগই হয়েছে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে। এসব ঘটনা পুলিশের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

পাঠকের মতামত: