ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফিশারিঘাটে মাছবাজার আজ চালু হচ্ছে!

Protibad-Shova_Fishary-Ghat-19

প্রতিবাদ সমাবেশে ‘চক্রান্তকারীদের’ বিরুদ্ধে মহিউদ্দিন চৌধুরীর হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

নগরের ফিশারিঘাটের পাইকারি মাছবাজার আজ বৃহস্পতিবার থেকে আবার চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। গতকাল বুধবার বিকেলে ফিশারিঘাট পাথরঘাটা ইকবাল রোড চত্বরে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন। সমাবেশে সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় নিজে হাজির হয়ে ফিশারীঘাটে পাইকারি মাছবাজার চালু করবেন বলে জানান।
‘কর্ণফুলী নদীর পাড় থেকে পাইকারি মৎস বাজার ফিশারিঘাটে ফিরিয়ে আনার দাবিতে’ সোনালী যান্ত্রিক মৎস শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেড এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
সমাবেশে মহিউদ্দিন চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘নগরের বিভিন্ন স’ান থেকে আড়তে আসা গাড়ি যদি কেউ বাধা দেয় তাহলে ভয়ানক অবস’ার সৃষ্টি করা হবে।’
‘আমি হাঙ্গামা করতে রাজি নই, জনসভা ডেকে জনগণের কথাগুলো তুলে ধরলাম।, ’ বলেন তিনি।
এসময় তিনি নগরের বাকলিয়া ও কোতোয়ালী থানা পুলিশকে মৎস ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করতে অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে প্রায় চার একর জায়গার ওপর ‘পাইকারি মৎস বাজার’ নির্মাণ করেছে জাতীয় মৎসজীবী সমিতি। ফিশারিঘাট এলাকার বর্তমান পাইকারি মৎস বাজারটি বন্ধ করে সেখানে স’ানান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে ২৫০টি আড়ত (দোকান) তৈরি করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অনুমোদন ছাড়া জোর করে এ মৎস বাজার গড়ে তোলা হয়েছে- এমন অভিযোগ করে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মৎস ব্যবসা ধ্বংস করার জন্যই কয়েকজন আড়তদার মিলে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে অবৈধভাবে মৎস বাজারটি গড়ে তুলেছে। এজন্য ফিশারিঘাটের ব্যবসায়ীদের থেকে ৩০ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে।’
২৫ মার্চের মধ্যে এসব টাকা ফেরত দেওয়ার সময় বেঁধে দিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, ‘কর্ণফুলীর ওই জায়গাটা ওয়াকফ্‌র সম্পত্তি। সেখানে ব্যবসার কোনো পজিশন নেই। জোর করে আড়তদারদের সেখানে নিয়ে গিয়ে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে টাকা নিয়ে ঘরে ফেরার পূর্বেই যেন তাদের টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। সেজন্যই ফিশারিঘাটের ব্যবসায়ীদের সেখানে সরিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা চলছে।’
শহরের ৫০ লক্ষ মানুষের মাছ নিয়ে চক্রান্ত চলছে অভিযোগ করে মহিউদ্দিন উপসি’ত মৎস্য ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কিছু লোক আইনের কথা বলে দাম্ভিকতা ও ক্ষমতার অহমিকা দেখিয়ে কর্ণফুলী পাড়ে এ আড়ত তৈরি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। এই চক্রান্তকারীরা ধরা পড়ে গেছে। এসব চক্রান্তকারী ব্যবসায়ীদের আমি চিনি। আপনারাও চেনেন। তাদের সাথে কিছু গুণ্ডাপাণ্ডা ও কিছু রাজনীতিবিদও ভিড়েছে। আমি তাদের নাম বলছি না, আপনারা সবাই জানেন।’
ছিদ্দিক সওদাগরের সভাপতিত্বে সমাবেশে সোনালী যান্ত্রিক মৎস শিল্প সমবায় সমিতির নেতারা বক্তব্য রাখেন।

পাঠকের মতামত: