ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বাঁশখালীতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর গ্রুপে সংঘর্ষ : গুলিবিদ্ধ ৪

বাঁশখালী প্রতিনিধি :::Untitled-1 copy

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কাথারিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কাথরিয়া দিঘীর পাড়া এলাকায় সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইবনে আমিন ও জয়নাল আবেদীন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর গ্রুপের লোকজনের মধ্যে প্রায় ৭-৮ রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৪ জনসহ আহত হয় অন্তত ১০ জন। আহতদের মধ্যে মো. জাশেদ (৩০), মরিয়ম বেগম (৩৭), আজগর হোসেন (৩০), নুরুল ইসলামকে (৪৬) গুলিবিদ্ধ ও আশংকাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় অপরাপর আহতরা বাঁশখালী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করছে। 

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালীর কাথারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইবনে আমিন ও বর্তমান চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন গ্রুপের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এলাকায় গোলাগুলি ও অস্ত্রবাজীর মাধ্যমে আতংক সৃষ্টি করে আসছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ঐ দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর গ্রুপের লোকজন ওই এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া চালিয়ে দিনদুপুরে নানান অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটন করে আসলেও রাজনৈতিক তৎপরতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও  অভিযোগ করেন এলাকাবাসীরা। এরই মধ্যে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টার দিকে আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ওই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর গ্রুপের লোকজন। এতে উভয় গ্রুপের লোকজনের মধ্যে প্রায় ৭-৮ রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনাও ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয় ৪ জন এবং আহত হয় অন্তত ১০ জন। সংঘর্ষের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বাঁশখালী থানার এসআই উৎপল চক্রবর্ত্তী ও এএসআই পলাশ কুমার সিংহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইবনে আমিন বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে পারিবারিক ভাবে জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে। তিনি এ বিষয়ে আর কিছু বলেননি।

অপরদিকে কাথারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার প্রতিপক্ষ ইবনে আমিন গ্রুপের লোকজন আমার সমর্থিত এই সব লোকের উপর হামলা চালিয়ে মারধর ও গুলি করে তাদের আহত করে। বিগত কয়েকমাস যাবৎ এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয়ে করে আসছে সে। 

এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আমি ছুটিতে থাকার দরুন ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে পারতেছি না। 

পাঠকের মতামত: