ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়া থানার ওসি অবৈধ অস্ত্রধারী ও অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক

বার্তা পরিবেশক :
কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় উপজেলার পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্রধারী ও পেশাদার সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং লালন পালনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় সকল শ্রেণীর মানুষের মুখে একটি কথা প্রতিধ্বনি হয় যে, ‘পেকুয়া থানার ওসি সাহেব নগদ ঘুষ ছাড়া কোন কাজই করেন না। নিজের ঘুষ বানিজ্য সম্প্রসারিত, নির্বিঘœ ও জমজমাট করার জন্য তিনি ডজনখানেক দালালও শর্তানুযায়ী নিয়োগ করেছেন।
পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সেখানে উল্লেখ করেছেন, ওসি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া তার (আলমগীর) চুক্তিতে চাষাবাদের জন্য বর্গা নেওয়া লবণ মাঠে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে শ্রমিকদের তাড়িয়ে দিয়েছেন। এক পর্যায়ে অস্ত্রধারীরা ওসির পৃষ্ঠপোষকতায় তার লবণ মাঠ দখল করে নিয়েছে। এ পর্যায়ে ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ করে প্রতিকার চাইলে ওসি সরাসরি ৯ কানি জমির লাগিয়াতের টাকা ঘুষ হিসেবে দাবী করেন। শুধু ঘুষ দাবী করেই ওসি বসে থাকেননি, উক্ত লবণ মাঠ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আলমগীরকে একাধিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেল খাটানোর ও হুমকি দিয়েছেন।
এদিকে জানা গেছে, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে মোহাম্মদ আলমগীর কর্তৃক ওসির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছেন চকরিয়া সদর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মোহাম্মদ মতিউল ইসলাম। তদন্তের অংশ হিসেবে এএসপির চকরিয়া কার্যালয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অভিযোগকারী মোঃ আলমগীর ও অভিযুক্ত ওসি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়ার বক্তব্য শোনেন তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মতিউল ইসলাম।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামীলীগ নেতা ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীরের লবণ মাঠের বিষয়টি সুরাহা করার জন্য পেকুয়া থানার ওসিকে অনেক গণমান্য ব্যক্তি অনুরোধ করলেও ওসি তা কর্ণপাত না করে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের পক্ষে অবস্থান নেন।
ওসি মোস্তাফিজ ভুঁইয়া নগদ ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করেন না। তিনি তা নিয়োজিত দালালের কথা ছাড়া এক কদমও নড়েন না। পেকুয়া থানাকে অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ বানিজ্য ও দালালদের মহা আখড়ায় পরিণত করেছেন। ওসির চাহিদা পূরণ করতে পারলে সাত খুনও যেন জায়েজ হয়ে যায় এমন অবস্থা বিরাজমান পেকুয়া থানায়। ওসির বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্যের দীর্ঘ লিখিত ফিরিস্তি এএসপি বরাবরে পেশ করেছেন তৃণমূল জনপ্রতিনিধি মোহাম্মদ আলমগীর।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য ওসি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন। তিনি বলেন, মোঃ আলমগীর লবণ মাঠকে কেন্দ্র করে যা দাবী করছেন তা সবৈধ মিথ্যা, লবণমাঠগুলো কোনকালেও তার দখলে ছিলো না। তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যথাযথভাবে তদন্ত করার জন্য সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করেন। দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত: