ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পেকুয়া থানার দাপুটে সেই এসআই তৌহিদ পুলিশ লাইনে ঘটনার প্রতিবেদন দেবে তদন্ত কমিটি

ফলোআপ——————–

image-64822-1487252210
নিজস্ব প্রতিবেদক :::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সদরের চৌমুহনি এলাকায় বৃহস্পতিবার টুনকো অপরাধের অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে মাঝ রাস্তায় গাড়ি চালককে কানধরে সিজদা দিতে বাধ্য করার দায়ে অভিযুক্ত সেই দাপুটে পুলিশের এসআই তৌহিদুল ইসলামকে জেলা পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর ঘটনাটি জানতে পেরে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ড.একেএম ইকবাল হোসেন এদিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অফিস আদেশের মাধ্যমে অভিযুক্ত এসআই তৌহিদুল ইসলামকে পেকুয়া থানা থেকে ক্লোজ করেন। একই সাথে ঘটনাটির প্রকৃত কারণ উৎঘাটন এবং অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নৈতিক কর্মকান্ডের ব্যাপারে সুচারুভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেল) কাজী মতিউল ইসলামকে নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার।
জানতে চাইলে শুক্রবার বিকালে তদন্ত কমিটির প্রধান ও সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মতিউল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর পর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত এসআই তৌহিদুল ইসলামকে পেকুয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।  তাকে জেলা পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত কার্যক্রম চলছে।
আজ (শনিবার) জেলা পুলিশ সুপারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পেকুয়া উপজেলা সদর চৌমুহনী  চৌরাস্তর মোড়ে মীর কাশেম নামের এক ট্টাক চালককে টুনকো অভিযোগে প্রকাশ্যে মাঝরাস্তায় কানধরে সিজদা করতে বাধ্য করেন পুলিশের ওইএসআই। গাড়ি চালক মীর কাশেম কক্সবাজার সদর উপজেলার নাজিরার টেক এলাকার নুরুল আলমের ছেলে। ভুক্তভোগী গাড়ি চালক মীর কাশেম বলেন, আমি কক্সবাজার থেকে মালবোঝাই ট্রাক  গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে পেকুয়া চৌমুহনী এলাকায় আমাকে পেছন থেকে ডাক দিয়ে থামাতে বলে এক লোক। কাছে আসতে দেখলাম তিনি পুলিশের লোক। পুলিশ দেখে আমি গাড়ি থেকে নামতেই তার গায়ে গাড়ি লাগার অযুহাতে আমাকে প্রকাশ্যে রাস্তায় কানধরে সিজদার নির্দেশ দেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা। এতে আমি আপত্তি করলে তিনি অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমাকে সিজদা দিতে বাধ্য করে।
এদিকে পেকুয়া উপজেলা সদরে লঘু অপরাধের অভিযোগে প্রকাশ্যে রাস্তায় গাড়ি চালককে এ ধরণের শাস্তি দেয়ার ঘটনায় পেকুয়া, চকরিয়াসহ পুরো কক্সবাজার জেলায় সমালোচনার ঝড় বইছে। জনমনে পুলিশের ভাবমুর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। #

পাঠকের মতামত: