ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় মায়ের সাথে ছেলের প্রতারনা!

Protarona_1-300x160পেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় বয়স্ক ভাতার কথা বলে জমি রেজিষ্ট্রি দলিলে মায়ের কাছ থেকে নিল স্বাক্ষর ছেলে। মিরাজ সুত্রে প্্রাপ্ত জমি এতিম নাতিন-নাতনিদের নামে হেবা মূলে রেজিষ্ট্রি দলিল সম্পাদনের সিদ্ধান্ত নেয় ৯৩ বছরের বৃদ্ধা এক মহিলা। কিন্তু এতিম নাতিদের বδিত করতে কৌশল অবলম্বন করেন তার ছেলে। রেজিষ্ট্রি বন্ধ রাখতে নষ্টামি ওই ছেলে গর্ভধারিনী মাকে মানসিক প্রতিবন্ধি উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেন। তবে প্রায় ১৩ শতক জমির প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তার ছেলেদের। এর সুত্র ধরে দুর্ধান্ত প্রতারনার মাধ্যমে ছেলে মাকে বয়স্ক ভাতার প্রলোভনে ফেলে অবশেষে স্বাক্ষর নেয় জমি রেজিষ্ট্রি দলিলে। খোদ মায়ের সাথে ছেলের শঠামি ও প্রতারনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্রে ঘৃণা ও ক্ষোভ সδারিত হয়। এঘটনায় পেকুয়ায় তোলপাড় ও চাδল্য তৈরি হয়েছে। এদিকে ছেলের হাতে প্রতারিত শত বছরের বৃদ্ধা মা শঠামির মাধ্যমে নেওয়া রেজিষ্ট্রিকৃত দলিলের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়, পেকুয়া মৌজার ১৩.২৬ শতক জমির মিরাজ সুত্রে মালিক পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বাইম্ম্যাখালী এলাকার মৃত.গুনু মিয়ার স্ত্রী ভেলোয়ারা বেগম (৯৩)। তার ছেলে আবুল হাসেম পিতা-মাতা জীবদ্দশায় মৃত্যু বরন করেন। ওয়ারিশ সম্পত্তি থেকে বδিত হওয়ায় ভেলোয়ারা বেগম তার মৃত সন্তানের ছেলে মেয়েদের নামে প্রাপ্ত অংশ হেবা মূলে রেজিষ্ট্রি দিতে সিদ্ধান্ত নেয়। বিষয়টি জানার পর তার ছেলে মোজাহার আহমদ ও নাতি সাহাব উদ্দিন এনিয়ে বাড়াবাড়ি শুরু করে। একপর্যায়ে সবল ও সুস্থ মাকে মানসিক প্রতিবন্ধি উল্লেখ করে রেজিষ্ট্রি বন্ধ রাখতে অভিযোগ উত্থাপন করেন। পরে ওই ব্যক্তিরা মাকে বয়স্ক ভাতাতে অর্ন্তভুক্তির কথা বলে একটি অলিখিত কাগজে স্বাক্ষর আদায় করেন। এমনকি বিশ^াস যোগাতে তারা বৃদ্ধা ভেলোয়ারাকে ১ হাজার ৩শত টাকা হাতে তুলে দেন। সন্দেহ তৈরি হলে ভেলোয়ারা নাতি আমজাদ হোসেনকে পেকুয়া ইউপি কার্যালয়ে পাঠান। সেখানে বয়স্ক ভাতার রেজিষ্টারে তার নাম অর্ন্তভুক্তি ছিলনা। পরে তিনি নিশ্চিত হন ছেলেরা তার সাথে শঠামি করে কাগজে দলিল সম্পাদনের জন্য এ স্বাক্ষর আদায় করেন। এব্যাপারে বৃদ্ধা ভেলোয়ারা বেগম জানান, আমি এতিম নাতিদের জন্য ওই জায়গা হেবা করতে গত ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর রেজিষ্ট্রি অফিসে যাই। তারা আমাকে পাগল আখ্যায়িত করে রেজিষ্ট্রি ঠেকিয়ে দেয়। চলতি ১১জানুয়ারি আমার ছেলে মোজাহার আহমদ বয়স্ক ভাতার কথা বলে আমার বাড়িতে এসে কাগজে টিপসই আদায় করে। ১৩০০টাকা দিয়েছে আমাকে। বয়স্ক ভাতার টাকা বলেছে। আমি রেজিষ্ট্রি অফিসে যাইনি। কিভাবে তারা আমার জমি রেজিষ্ট্রি করেছে আমি জানিনা। আমি এ প্রতারনা ও শঠামির বিচার চাই। তারা আমার সাথে অবিচার ও অন্যায় করেছে। আমি ওই দলিল বাতিল করতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

###########

পেকুয়ায় চিকিৎসকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় এক পল্লী চিকিৎসককে কুপিয়ে জখম করেছে একদল দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত চিকিৎসকের নাম জসিম উদ্দিন (২৭)। তিনি উপজেলার শীলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া হোসাইনাবাদ এলাকার বাসিন্দা। ওই ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী ওয়াহিদা  জান্নাত বাদি হয়ে গত ১৪জানুয়ারী পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-০৮/১৭। মামলায় জারুলবুনিয়া ঢালারমুখ এলাকার মৃত.মো.হোসাইনের দু’ছেলে মো.ইব্রাহিম, মোস্তাফিজুর রহমান, মোজাম্মেল হকের ছেলে নবী হোসাইন, বুলু সওদাগরের ছেলে আব্দুল জাব্বার ও শেখ আহমদের ছেলে আব্দু ছাত্তারকে আসামি করে। মামলাসুত্রে জানা গেছে গত ১৩জানুয়ারী বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসামিরা জারুলবনিয়া ষ্টেশনে পল্লী চিকিৎসক জসিম উদ্দিনের মালিকানাধিন ফার্মেসীতে হানা দেয়। এ সময় তাকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা মুর্মুষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।

পাঠকের মতামত: