ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বায়তুশ শরফের মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে দর্শক গ্যালারী মাতিয়ে দিল

15439835_1197081677045987_3475500168134575264_n-2-900x540-900x540ইমাম খাইর, কক্সবাজার ::::
বিজয়ের ৪৫ তম বর্ষে জেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে দর্শক গ্যালারী মাতিয়ে দিল কক্সবাজার শহরের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমীর শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত ‘ষড়ঋতুর রঙ্গশালায় বাংলাদেশ।’
অবশ্য, তাদের ভিন্নধর্মী এই ডিসপ্লে এবারের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রথমও হয়েছে।ছয় ঋতু নিয়ে গানের তালে পরিবেশিত ব্যতিক্রমী এই ডিসপ্লে দেখে সন্তুষ প্রকাশ করেছেন খোদ জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন। দর্শক গ্যালারীতে থাকা লোকজনও করতালি দিয়ে অভিভাদন জানায় ডিসপ্লে দলকে।
এ সময় ঘোষণা মঞ্চ থেকে উচারিত হতে থাকে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত করে পৌঁছে দেবে উন্নতির শিখরে। পৌঁছবে দেশ থেকে দেশান্তরে।’
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজার বীর শ্রেষ্ট রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে অবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরে প্রদর্শিত এই ডিসপ্লে সবার নজর কাড়ে। পুরো স্টেডিয়াম মাতিয়ে তুলে ছয় ঋতুর সাজে সজ্জিত ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ৬টি দল।
প্রদর্শিত ডিসপ্লে ‘ষড়ঋতুর রঙ্গশালায় বাংলাদেশ’-এর প্রশিক্ষক ছিলেন দেশের খ্যাতনামা নাট্যকার ও অভিনেতা মুরশেদ কামাল বাদশা।প্রথম হওয়ার পর তার অনুভূতি জানতে চওয়া হলে বাদশা বলেন, আজকে আমার খুব ভাল লাগছে। আমার নির্দেশানায় পরিবেশিত ডিসপ্লে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। একজন শিক্ষকের এর চেয়ে বেশী খুশি ও অনন্দের কিছু থাকতে পারেনা।বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স’র মহাপরিচালক আলহাজ্ব এম.এম সিরাজুল ইসলাম ফলাফলের জন্য প্রশিক্ষক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বায়তুশ জব্বারিয়া একাডেমী প্রতি বছরের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সফলতা দেখিয়ে আসছে। এবছরও শিক্ষার্থীরা তাদের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখেছে।তবে, এবারের ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘ষড়ঋতুর রঙ্গশালায় বাংলাদেশ’ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। শুধু প্রতিযোগিতার জন্য নয়, ডিসপ্লে-তে আবহমান বাংলার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এরই মাধ্যমে ছয় ঋতুর বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠেছে।
মহান বিজয়ের ৪৫ তম এই দিবসে বায়তুশ শরফের এই অয়োজনের সার্বিক বিষয়ে তদারক করেন প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ করিম।

এতে সার্বিক সহায়তা করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা) মু. তৈয়ব, সহকারী প্রধান শিক্ষক (প্রাত) আবদুল মালেক, মাওলানা শাহাব উদ্দিন মাহমুদ, শিক্ষক রেজাউল করিম, আনজুমান আরা, শাহীনুল আলম, ইমতিয়াজ হাসান, মাওলানা শফিউল আলম প্রমুখ।

 

পাঠকের মতামত: