ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সৌন্দর্য্যরে লীলাভুমি পর্যটন নগরী টেকনাফ

গিয়াস উদ্দিন ভুলু , টেকনাফ ::::
m%e0%a7%9c
কক্সবাজার জেলায় আগত হাজার হাজার দেশী-বিদেশী পর্যটকদেরকে হাত ছানি দিয়ে ঢাকছে সৌন্দর্য্যরে লীলাভুমি পর্যটন নগরী টেকনাফ। কারন বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত অপরুপ সৌন্দয্যে ঘেরা পর্যটন নগরী খ্যাত টেকনাফ উপজেলায় রয়েছে ভ্রমন পিপাষু পর্যটকদের হরেক রকমের বিনোদন স্পট। এই উপজেলাটির চারিদিকে প্রাকৃতিক পাহাড়ে সৌন্দর্যের অপরূপ সৃষ্টিতে ঘেরা। এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট। রয়েছে পর্যটকদের আকৃষ্টিত করার মত বেশ কয়েকটি বিনোদনের স্থান। যেমন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমাটিন, ছেরাদ্বীপ, জল্যারদ্বীপ, নেচার পার্ক, কুদুম গুহা, অমর প্রেমের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ। তার পাশাপাশি কক্সবাজার জেলার দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতটি এই উপজেলায়। প্রায় ৭০ কিলোমিটার জুড়ে দুরত্ব এই দীর্ঘতম টেকনাফ সমুদ্র সৈকত। বলতে গেলে এত বড় সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর কোথাও নেই। বর্তমানে এই সৈকতের উপকুল দিয়ে তৈরী হচ্ছে কোটি কোটি ব্যয়ে মেরীন ড্রাইভ সড়ক, এই সড়কের শেষ মাথায় হাজার কোটি ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে বাংলাদেশের সর্ব বৃহত পর্যটন স্পট এক্সক্লোসিভ ট্রুরিস্ট জোন, এর মধ্যে টেকনাফ পৌরসভার আওতাধিন চৌধুরী পাড়া এলাকায় নাফনদীর উপর শত কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরী হয়েছে বিশাল এক বিনোদন মুলক জেটি। বর্তমানে এই জেটিটি দেখার জন্য প্রতিদিন দেশী-বিmaiদেশী ও স্থানীয় জনসাধারণসহ শত শত  মানুষের আগমন ঘটছে। এই উপজেলার পশ্চিম দিকে রয়েছে বিশাল বঙ্গোপসাগরের উপকুল, আর পুর্ব দিকে রয়েছে অপূর্ব দৃশ্যে ঘেরা বিশাল এক অপরুপ নাফনদী। এই নাফনদীর প্রায় ৫০ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে রয়েছে পাশ^বর্তীদেশ মিয়ানমার রাখাইন রাজ্য। প্রতিদিন এই উপজেলার সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষ সকাল বেলা নাফনদীর ঢেউয়ের তালে তালে সূর্যোদয়ের মনোরম দৃশ্য উপলদ্বি করা যায়।  তার পাশাপাশি বিকাল বেলা বঙ্গোপসাগরের গভীর পানিতে সূর্যাস্তের ডুবে যাওয়া মনোরম দৃশ্য চোখে পড়ে। এই দৃশ্য গুলি বিশ্বের অন্য কোথাও আর দেখা যাবেনা। চারদিকে প্রাকৃতিক সবুজ পাহাড়ে ঘেরা। যা একবার দেখলে বার বার দেখতে ইচ্ছে করবে। টেকনাফ পৌরশহরে মডেল থানা প্রাঙ্গনে অবস্থিত অমর প্রেমের চির স্বাক্ষী ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ। বিংশ^শতাদ্বিতে ঘটে যাওয়া একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও ১২ বছর বয়সী মাথিনের আতœত্যাগের সেই করুন কাহিনীর প্রেমের ইতিহাস। যে মাথিন অসম প্রেমকে অমর করতে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে রচনা করে গেছেন অমর প্রেমের স্মৃতি কাব্য। প্রতি বছর শত শত পর্যটক ও স্কুল পড়–য়া যুবক-যুবতীরা এই মৌসুমে প্রেম প্রিয়সী মানুষের পদভারে মুখরিত হয় এই ঐতিহাসিক মাথিনের কূপটি। পর্যটকদেরকে আকৃষ্টিত করার মত অন্যতম দর্শনীয় স্থান টেকনাফ ন্যাচার পার্ক। তার পাশাপাশি টেকনাফ উপজেলার উপকুল এলাকা বাহারছড়া ইউনিয়নে রয়েছে দেশের সর্ব বৃহৎ এক গর্জন গাছের বাগান। এই বাগানটির একটু ভিতরে গেলেই চোখে পড়বে পাহাড়ী ঝর্ণার মনোরম দৃশ্য গুলো।

পাঠকের মতামত: