ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থায়ী ক্যাম্পাস চালু হচ্ছে শিগগির

co-m-c-cকক্সবাজার প্রতিনিধি :::

কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী (নতুন) ক্যাম্পাস চালু হচ্ছে শিগগিরই। কলেজের জন্য নির্মিত ছয়তলার প্রশাসনিক ভবন, ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ভবন হস্তান্তর করবে গণপূর্ত বিভাগ।
কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম বলেন, ভবন বুঝে পেলে চলতি ডিসেম্বর মাসের শেষে কিংবা নতুন বছরের শুরুতে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে। সাত বছর ধরে এই মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের একটি ভবন।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১২ সালের শুরুর দিকে কক্সবাজার শহরতলির ঝিলংজা এলাকায় ৩০ দশমিক ৫৮ একর জমিতে মেডিকেল কলেজের ছয়তলার স্থায়ী ক্যাম্পাস ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ‘ডেল্টা ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি দেওয়া হয়। কার্যাদেশ অনুসারে, চলতি ২০১৬ সালের জুন মাসে এই ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে সময় লেগেছে আরও পাঁচ মাস বেশি।
কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী পলাশ তালুকদার বলেন, মূল প্রশাসনিক ভবন ও দুটি হোস্টেলের অবকাঠামোগত সব কাজ শেষ। সীমানা দেয়াল ও বিদ্যুৎসংযোগের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে সৌন্দর্যবর্ধন ও নলকূপ স্থাপনের কাজ। কয়েক দিনের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন হবে। তবে জমি নিয়ে জটিলতার কারণে কলেজ ভবনের উত্তর পাশের সীমানা দেয়ালের কিছু অংশের কাজ থেমে আছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডেল্টা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. সজীব মিয়া বলেন, সব কাজ সম্পন্ন করতে আরও ১০ দিন লাগতে পারে। কাজ শেষ হলেই কর্তৃপক্ষের কাছে ভবন বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তের কাজে ব্যস্ত সময় কাটছে শ্রমিকদের। প্রায় কাজ শেষ হয়ে এসেছে।
কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম বলেন, মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস ভবনের কাজ সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি তাঁকে অবগত করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আসবাবসহ যাবতীয় সরঞ্জাম সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আসবাব চলে আসবে।
গণপূর্ত বিভাগ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল আমিন মিয়া বলেন, ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। কলেজের সঙ্গে নার্সদের জন্য ডরমিটরি নির্মাণের পরিকল্পনাও আছে।’

পাঠকের মতামত: