ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

১২ হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ টন, অধিক মূল্য পাওয়ার আশায় পুরোদমে লবণ উৎপাদনে পেকুয়ার চাষীরা

এম.জুবাইদ. পেকুয়া:
চলতি মৌসুমের আগে লবণের অধিক মূল্য পাওয়ায় এবার পুরোদমে আগাম চলতি মৌসুমের জন্য ১২হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদনের কাজ শুরু করেছে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার প্রান্তিক লবণ চাষীরা। উপজেলার মগনামা, উজানটিয়া, রাজাখালী ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের আংশিক এলাকার প্রায় ৫-৬ হাজার চাষী লবণ উৎপাদন শুরু করছে বলে তথ্য নিয়ে জানা গেছে। পেকুয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসূত্রে জানা যায়, পেকুয়া উপজেলার প্রায় ৬ হাজার চাষী চলতি মৌসুমে ১২ হাজার একর জমিতে ৪ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করে মাঠে নেমেছে। চলতি নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে লবণ উৎপাদন শুরুর লক্ষ্যে মাঠ পরিচর্যা পুরোদমে আরম্ভ করেছেন তারা। ডিসেম্বর নাগাদ লবণ উৎপাদন শুরু করে তা উৎপাদন করবে ২০১৭সালের এপ্রিল পর্যন্ত। স্থানীয় মগনামা কৃষক নুরুলনবী, রাজাখালীর কৃষক আহমদ হোছাইন, উৎানটিয়ার কাউচার হামিদ জানান, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের লবণ মৌসুমে উৎপাদিত লবণের দাম মানানসই ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষীরা লাভবান হয়েছিল। সরকার প্রান্তিক পর্যায়ে লবণের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ায় সারা দেশের ন্যায় পেকুয়ার প্রায় ৬হাজার লবণচাষীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছিল। রাজাখালী ইউনিয়নের প্রান্তিক লবণচাষী আব্দুল কাদের, মোসলেহ উদ্দিন, কালা বদ, ঠান্ডা মিয়াসহ অনেক লবণচাষী জানায়, গত মৌসুমে সরকার বিদেশ থেকে লবণ আমদানি না করায় এবং সরকারিভাবে উপকূলীয় এলাকার লবণ চাষীদের বাঁচাতে লবণ নীতিমালাসহ দাম বৃদ্ধি করায় আমরা এ মৌসুমে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বেশি নিয়ে মাঠে নেমেছি। তারা আরো জানায়, উপজেলায় দুই ধরনের পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদন করা হয়। এর মধ্যে একটি হলো সনাতন পদ্ধতিতে কালো লবণ উৎপাদন অপরটি হলো পলিথিনের মাধ্যমে সাদা লবণ উৎপাদন। পলিথিন পদ্ধতিতে চাষীরা লাভবান হওয়ায় এখন এ পদ্ধতিতে লবণ চাষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দীর্ঘদিন পর বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম মণপ্রতি প্রায় ৩৫০থেকে ৪০০টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এ দাম অব্যাহত থাকলে পুরোদমে লবণ উৎপাদনে স্থানীয় চাষীরা আরো সক্রিয় হবেন বলে জানান। পেকুয়া উপজেলা লবণচাষী সমিতির সভাপতি সিরাজুল মোস্তাফা জানান, চাষীদের পলিথিন পদ্ধতিতে লবণচাষ করার জন্য আরো উৎসাহিত করতে পারলে চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদনের মাত্রা আরো বেড়ে যাবে। তাতে করে দেশে লবণের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

পাঠকের মতামত: