ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় আবাসিক এলাকায় অবৈধ গ্যাস ব্যবসা

gassবিশেষ প্রতিবেদক, পেকুয়া :::

অপরিকল্পিতভাবে মজুদ করা মাত্রাতিরিক্ত চাপের গ্যাস সিলিন্ডারে যেকোনো মূহুর্তে হতে পারে বিস্ফোরণ ! এতে পাশ্ববর্তী আবাসিক এলাকার দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানিও ঘটতে পারে।

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সদরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভ্রাম্যমান সিএনজি রিফুয়েলিং ষ্টেশন বসিয়ে চলে আসা গ্যাসের অবৈধ ব্যবসা সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন পেট্রোবাংলার অধীনে জিটিসিএল’র গ্যাস পাইপ লাইন স্থাপনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ মাহমুদুর রহমান।

স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে পেকুয়া উপজেলা সদরের চৌমুহনী এলাকার উত্তর পাশে গড়ে উঠা জনবহুল আবাসিক এলাকায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে অনুমোদনহীন এই গ্যাস ব্যবসা। অনিরাপদভাবে গ্যাস সঞ্চালন করা gasহচ্ছে সিএনজি চালিত গাড়িতে। উক্ত আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন এনজিও, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অফিসসহ রয়েছে প্রায় কয়েক শতাধিক আবাসিক ফ্লাট। যেখানে ছোট ধরণের বিস্ফোরণে ঘটে যাবে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা। অরক্ষিতভাবে গ্যাস বিক্রির কারনে বর্তমানে আবাসিক এলাকাটি চরম ঝুকিঁতে রয়েছে।
পেকুয়া ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন লিডার আবুল হোসেন বলেন, এভাবে গ্যাস বিক্রি ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক প্রদত্ত অগ্নিনির্বাপক ছাড়পত্রও তাদের নেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিলিন্ডার থেকে গ্যাস সঞ্চালন করার সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গ্যাসের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আবার অনেক সময় গ্যাস নিতে আসা পরিবহন চালকরা ধুমপান করেন। এতে যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থা উত্তোরণের লক্ষ্যে অবৈধ গ্যাস ব্যবসা বন্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করার দাবি তাদের।

পেকুয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের সক্রিয় অভিযান হ্রাস পাওয়ার সুবাদে বিগত বছর খানেক ধরে উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ন জনসমাগম স্থানে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কতিপয় সদস্যদেরকে ম্যানেজ করে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে এ অবৈধ গ্যাস ব্যবসা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ট্রাকের ওপর করে এভাবে গ্যাস ব্যবসা করতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রানালয়ের কোন ধরণের অনুমতিপত্র নেই। এমনকি পরিবেশ ছাড়পত্র বা ফায়ার সার্ভিসের নিরাপত্তা ছাড়পত্রও নেই। কিন্তু এসব কিছু ম্যানেজ করে চলতে হচ্ছে তাদের। এমনকি এক গাড়ি গ্যাস চট্টগ্রাম বা কুমিল্লা থেকে পেকুয়া আনতে পথে পথে সকল থানা পুলিশকে ম্যানেজ করতে হয়। অনুরূপভাবে পেকুয়া সদরে এ ব্যবসা করতেও বিভিন্ন সংস্থাকে ম্যানেজ করতে হচ্ছে তাদের।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মারুফুর রশিদ খাঁন এ ব্যবসা সম্পূর্ণ অবৈধ উল্লেখ করে বলেন, সময়ের সল্পলতার কারনে অভিযান পরিচালনা করা যাইনি। তবে যে কোন মুহুর্তে এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পাঠকের মতামত: