ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এস.আলম গ্রুপের প্রতিনিধিরা মাঠে, পুলিশিং টহল

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় মগনামা ইউনিয়নের দক্ষিন মগনামায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। গত ৫দিন ধরে থেমে থেমে সংঘর্ষ হচ্ছে স্থানীয়দের মধ্যে। এ সংঘাত ও সংঘর্ষ আরো ভয়াবহ রুপ ধারন হওয়ার শংকা তৈরি হয়েছে এলাকায়। এস.আলম শিল্প গ্রুপের লবন চাষের জমি দখলকে কেন্দ্র করে দক্ষিন মগনামা এলাকায় একাধিক সক্রিয় গ্রুপ তৎপর হয়েছে। এর জের ধরে গত বুধবার দিন ব্যাপি একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। এ সময় উভয়পক্ষের আহত হয়েছে অন্তত ১৩জন। ওই ঘটনার সুত্রধরে এ রির্পোট লেখা (গতকাল শুক্রবার ৪.৩০মিনিট পর্যন্ত ) আরো দু’দিন থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়েছে। বিচ্ছিন্ন ঘটনায় এ পর্যন্ত ২০জন কম বেশি আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে প্রশাসন পুলিশিং টহল জোরদার করে। উত্তেজনা প্রশমিত করতে গত বৃহষ্পতিবার দুপুরে পেকুয়ার থানার পুলিশ পরিদর্শক জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া স্থানীয় শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে থানায় বৈঠক করেছেন। পরিস্থিতি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পক্ষদ্বয়কে জমিতে অনুপ্রবেশ না করতে বারন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ওসি ও জমির মালিক এস.আলম শিল্প গ্রুপের পক্ষে এস.আলম শিল্প গ্রুপের ডিরেক্টর মো.আদিল চৌধুরী, মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সদর ইউপির চেয়ারম্যান এম.বাহাদুর শাহ, এস.আলম গ্রুপের মগনামার কার্যকারক মাষ্টার রিদুওয়ানুল হকসহ প্রতিনিধিরা দক্ষিন মগনামা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়দের সাথে সাক্ষাত করেছেন তারা। এদিকে গতকাল শুক্রবার তৃতীয় দফা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ওসংঘর্ষ হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। বুধবারের সৃষ্ট ঘটনায় দক্ষিন মগনামার ৮টি গ্রামের লোকজন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে যান। এ সবের মধ্যে শুদ্ধখালীপাড়া, বেদেরবিলপাড়া, কাদেরবলির পাড়া, চান্দারপাড়া ও কোদাইল্যাদিয়ার মহল্লাবাসিরা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক রশিদ আহমদের পক্ষে মারামারিতে লিপ্ত হন। অপরদিকে কালারপাড়া, মরিচ্যাদিয়া, সাতঘরপাড়া, বোডিংপাড়া ও আফজলিয়াপাড়ার লোকজন মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমের পক্ষে সংঘাতে জড়ান। এতে করে এলাকায় এলাকায় বিভক্ত হয়েছে দক্ষিন মগনামা। এক গ্রামের লোকজন অন্য গ্রাম দিয়ে চলাফেরা বন্ধ করে দিয়েছে। পথ রুদ্ধ করে সড়কে গাড়ি থামিয়ে মোকামে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। এভাবে দু’পক্ষ পক্ষদ্বয়ের মধ্যে ঘায়েল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত বৃহষ্পতিবার মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ে বহু শিক্ষার্থী শ্রেনী কার্যক্রমে অংশ নেয়নি। ভীতি ও ধরপাকড় থাকায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্টানে যায়নি। শুদ্ধখালীসহ বিভিন্ন পাড়ার মানুষ কালারপাড়া দিয়ে লবনমাঠ প্রস্তুতির কাজে যেতে পারছেননা। একইভাবে কালারপাড়ার লোকজন কাজিবাজার আসা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সাতঘরপাড়ার উপর দিয়ে রশিদ আহমদের লোকজন যেতে পারছেনা। তারা বিকল্প সড়ক হিসেবে কোদাইল্যাদিয়া-মটকাভাঙ্গা সড়ক দিয়ে পেকুয়ায় যাতায়ত করছেন। কালারপাড়ার লোকজন পেকুয়ায় যাচ্ছেন কইড়াবাজার-উজানটিয়া জালিয়াপাড়া হয়ে। মগনামার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে ভয়াংকর পর্যায়ে  পৌঁছেছে। এস.আলম শিল্প গ্রুপের জমির দখল-বেদখল নিয়ে এ পরিস্থিতি ও আধিপত্য বিদ্যমান রয়েছে জেলার উপকুলবর্তী মগনামা  ইউনিয়নে। তবে লবন উৎপাদন প্রস্তুতির কাজ উপকুলে শুরু হয়ে গেছে। এস.আলম গ্রুপের ওই জমিতে সংঘাত দেখা দেয়ায় চাষিরা এখনো মাঠে নামেনি।

পাঠকের মতামত: