ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

লামায় বিএনপি’র উদ্যোগে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন

mail-google-comমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

আজ ৭ নভেম্বর। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের ৩ থেকে ৬ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অনিশ্চিত অবস্থা বিরাজ করছিল। হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি উচ্চাভিলাষী দল সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টের বাসভবনে বন্দি করে এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটালে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহী-জনতার মিলিত বিপ্লবে নস্যাৎ হয়ে যায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী ষড়যন্ত্র। আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসন থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। এদিন সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনেন তৎকালীন সেনাপ্রধান ও স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে।

৭ নভেম্বর সংঘটিত হওয়ার পর প্রতিটি সরকার দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে। কিন্তু ড. ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ দিনের সরকারি ছুটি বাতিল করে এবং দিবসটি পালন করা থেকে বিরত থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আঁতাতের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদে চেপে বসা বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারও তা পালন করছে না। এর আগে ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারও দিবসটি পালন করা থেকে বিরত ছিল। বাতিল করেছিল সরকারি ছুটি। ৭ নভেম্বর সোমবার বিকাল ৪টায় লামা উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন লামা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমির হোসেন আমু।

উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর-রশীদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন লামা পৌর বিএনপি’র সভাপতি আব্দু বর। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লামা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমির হোসেন আমু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি রবিউল আলম ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুদ্দিন, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সোহরাব হোসেন, যুবদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন রফিক, যুবনেতা বাহার উদ্দিন, আবু সুফিয়ান সহ প্রমূখ।

পাঠকের মতামত: