ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

আলীকদমে বিদ্যালয় নির্মাণ কাজে দুর্নীতির তদন্ত অনুষ্ঠিত

durnitiআলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি ::

এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলীর নির্দেশে বান্দরবানের আলীকদমে পিডিপি-৩ এর আওতায় নির্মাণাধীন ২টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ সোমবার অনুষ্ঠিত এ তদন্ত দলের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম এলজিইডি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশীষ কুমার, নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রাঃ শিঃ ও প্রশিঃ) আবু তালেব, বান্দরবান এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ হোসাইন। এছাড়াও তদন্ত দলের সাথে ল্যাব টেকনিশিয়ান, উপজেলা প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ‘আলীকদমে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ শীর্ষক সংবাদ ‘চকরিয়া নিউজ ডটকম’সহ  বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশের পর প্রধান প্রকৌশলীর নির্দেশে গঠিত তদন্ত দল আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) বিদ্যালয় দু’টি নির্মাণ কাজের তদন্ত করেন। এ সময় তদন্ত দল নির্মাণ কাজের খুঁটিনাটি দেখেন এবং বেইজ ও সিঁড়ি ভেঙ্গে ঢালাইয়ের নমুনা সংগ্রহ করেন।

তদন্তকালের একটি বিদ্যালয়ের সভাপতি উপস্থিত থাকলেও অন্য বিদ্যালয়ের সভাপতি অনুপস্থিত ছিলেন। আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নুরুল ইসলাম জানান, তদন্ত দল আসার বিষয়টি তাদেরকে জানানো হয়নি। খবর পেয়ে তিনি তদন্তস্থলে এসে অভিযোগ জানান তদন্ত দলকে।

উল্লেখ্য যে, উপজেলার অসতি পাড়া ও আমতলী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণে এলজিইডি গত ৯ জুন টে-ার আহ্বান করে। দুই বিদ্যালয়ের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১ কোটি টাকা। অসতি পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ‘মার্মা এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে। আমতলী পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ পেয়েছে ‘মেসার্স ইউটিমং কনস্ট্রাকশান’। কাজ পাওয়ার পর এ দু’টি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদারের কাছে চড়ামূল্যে বিক্রি করে দেন।

অভিযোগ উঠেছে, উচ্চমূল্যে কাজ ক্রয় করায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্থানীয় ঠিকাদাররা নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই দুর্নীতির আশ্রয় নেন। এ নিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ও ২৬ অক্টোবর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এ নিয়ে চকরিয়া নিউজসহ কয়েকটি  পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পায়।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী হেলালুর রহমান বলেন, তদন্ত দল দু’টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ থেকে বেইজ ও সিঁড়ির ঢালাইয়ের অংশ ভেঙ্গে নিয়ে গেছেন। ফলাফল পরবর্তীতে জানানো হবে।

পাঠকের মতামত: