ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়া সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের মাষ্টার রুলের কর্মচারী ইমরু’র খুটির জোর কোথায় ?

pekua-dc-newনিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া:

পেকুয়ায় সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের মাষ্টার রুলের কর্মচারী ইমরু’র খুটির জোর কোথায়?। এমন প্রশ্ন উঠেছে সচেতনমহলের। সে কোন কিছু তোয়াক্কা না করে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সাব রেজিষ্ট্রারী অফিস থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে এসব দলিলের নকল কপি বিক্রয় করে। সরকারী ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত ফি আদায় করে যাচ্ছেন। সে উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রারী অফিসের সরকারী কর্মচারী পরিচয় দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সে একটি দলিলের নকল ৭দিনের মধ্যে দিতে হলে ২২/২৫ শত টাকা এবং ১ মাসের জন্য হলে ১৬/১৮ শত টাকা করে নিচ্ছেন। এসব দলিলের নকলগুলো অফিসের অন্যান্য স্টাফরা না দেখার মত করে অফিসের বাহিরে গিয়ে লোকজনকে দেয়। গত ৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টায় এ প্রতিবেদক মৎস্য অফিসের সহকারী জিয়ার সাথে দেখা করতে উপজেলা পরিষদে গেলে সাব রেজিষ্ট্রারের অফিসের বাহিরে একটি গলির ভিতরে সাব রেজিস্ট্রারের অফিসের মাষ্টার রুলের কর্মচারী সেই ইমরু বান সোলতানা কয়েকজন লোকের সাথে দর কষা কষি করে এবং টাকা গ্রহণ করে এসময় ওই প্রতিবেদক তাদের এহেন কর্মকান্ডের ছবি ক্যামরা বন্দি করলে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে ওই কর্মচারী। কথায় আছে চোরের বর গলা (চোর যখন ধরা খাই তখন তাদের গলার স্বর বড় হয়ে যায়)। এছাড়াও ওই কথিত মাষ্টার রুলের কর্মচারী ইমরু বেগম দায় এড়ানোর জন্য সাংবাদিকদের প্রতি খারাপ মন্তব্য করেন। পরে ইমরু বান সোলতানা নিউজ বন্ধ করতে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এ প্রতিবেদককে ফোন করান এবং নিউজ না করতে অনুরোধ জানান। নিউজ করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন এ প্রতিবেদককে। পরে সে কোন উপায় না দেখে নিউজ বন্ধে বিভিন্ন তদবির শুরু করেন। অভিযোগ উঠেছে ইমরু বান সোলতানা সাব রেজিষ্ট্রারী অফিসের কোন সরকারী কর্মচারী না হয়েও সরকারী কর্মচারীর ভাব দেখিয়ে এলাকার নিরহ গরীব অসহায় মানুষদের কে হয়রানি করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে একটি সিন্ডিকেট করে রাতের পর রাত রেজিষ্ট্রী সম্পাদন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার পরিতোষ কুমার দাশ সপ্তাহে ২ দিনের অফিস করার সুবাধে এ দূর্ণীতিবাজ ইমরু বান সোলতানা বেপরোয়া হয়ে উঠে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সপ্তাহের বাকী ৪ দিন ধরে অফিস ইনচার্জের অগোচরে দূর্ণীতিতে জড়িয়ে যান। অফিসের অন্য কর্মচারীদের তোয়াক্কা না করে এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন। জানা গেছে সে পেকুয়া উপজেলা সাব রেজিস্টার অফিসে যোগদান করার আগেই চকরিয়া উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রারের অফিসে মাষ্টার রুলে কাজ করছিলেন। সেখানেও বিভিন্ন অনিয়ম দূর্ণীতির অভিযোগ তুলে সেই ইমরু বান সোলতানা কে চকরিয়া উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রারের অফিস থেকে পেকুয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারের অফিসে বদলী করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন জেলা সাব রেজিস্ট্রার। সে পেকুয়ায় এসেও পুরানো ইতিহাস না মুছে আরো ইতিহাস গড়াতে মহাব্যস্থ। চকরিয়া ছেড়ে পেকুয়ায় এসে আরো ব্যপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যে লিপ্ত হয়ে যায়। সে প্রতিনিয়ত এলাকার জমির ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দলিল সম্পাদন করার সময় নানা ভাবে হয়রানি করছে। তারপরও পেকুয়ার মানুষ অসহায় হয়ে সাব রেজিষ্ট্রারী সম্পাদন করে। এলাকার সচেতনমহল অভিযোগ করেন ইমরু বান সোলতানা ও তার দু একজন সহকারী পেকুয়া সাব রেজিস্ট্রারের অফিস কে জিম্মী করে রাখছে। তার ইষারাই চলে পেকুয়া সাব রেজিষ্ট্রার অফিস। তার এসব অনিয়মের কারণে তার বিরোধে ফুসে উঠেছে অফিসের অন্যান্য কর্মচারীরা। ঘুষখোর কর্মচারী ইমরু বান সোলতানাকে অবিলম্বে পেকুয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিস থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবী জানান এলাকাবাসী।

 এ ব্যাপারে উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার বাবু পরিতোষ কুমার দাশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। তিনি আরো জানান এক সাংবাদিকের সাথে একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ইমরু নামের এক কর্মচারীর কথাকাটাকাটি হয়েছে। ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 এ ব্যাপারে জেলা সাব রেজিষ্ট্রার আশরাফুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিষয়টি খুবই দু:খজনক। একজন মাষ্টার রুলের কর্মচারী এ ধরণের অনিয়ম করলে আমি খোজখবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

পাঠকের মতামত: