ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় ইউপি সদস্যকে জনতার ধোলাই!

pekua,,mail-google-comপেকুয়া প্রতিনিধি :::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক একর ৬০শতক জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় এক ইউপি সদস্যকে গনধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পাউবোর নিয়ন্ত্রনাধীন ভোলা খালের জেগে উঠা চরে গত কয়েক বছর ধরে লবন উৎপাদন হচ্ছিল। পাউবো ওই জায়গা লবন চাষীদের অনুকুলে লিজ দেয়। চলতি মৌসুমে লবন উৎপাদনের জন্য মাঠ প্রস্তুতির কাজ করছিল লবন চাষী। এসময় যুবদল নেতা ও ইউপি সদস্য নেতৃত্বে গুটি কয়েক চাঁদাবাজ চক্র চাষীর কাছ থেকে টাকা দাবি করে। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের হামলায় ওই ইউপি সদস্য ও যুবদল নেতা আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, গতকাল শুক্রবার ২৮ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকায়। আহত নুর মোহাম্মদ মাদু মগনামা ইউপির ১নং ওয়ার্ড সদস্য ও একই ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বলে জানাগেছে। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, ঘটনার দিন দুপুরে ভোলা খালের বাজার পাড়া অংশে জেগে উঠা চর পাউবো থেকে লিজ নিয়ে স্থানীয় আবুল হোসেনের ছেলে ও ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি নোমান উদ্দিন বিগত ৫ বছর ধরে লবন উৎপাদন করছিলেন। জায়গার ভোগ দখলদার নোমান উদ্দিন ওইদিন মাঠ প্রস্তুতির কাজ করছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ মাদুসহ কয়েকজন লোক ওই স্থানে গিয়ে কাজে বাধা দেয়। এসময় নোমান উদ্দিনের নিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিককে ইউপি সদস্য মারধর শুরু করে। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এসময় শ্রমিকদের হামলায় নুর মোহাম্মদ মাদু সামান্য আহত হন। এঘটনার জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানার এস.আই কামরুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয়রা জানায়, পাউবো থেকে ওই জায়গা অংশীদারিত্বে ভিত্তিতে লিজ নেয় চার জন। ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আজিম বাবুল, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন এম.এ, কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি আফতাব উদ্দিন বাবুল ও ১নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি নোমান উদ্দিনের নামে পাউবো ওই জায়গা লিজ দেয়। নোমান উদ্দিন দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ওই জায়গা ভোগ করছেন। ওই স্থানে তার বসতবাড়িও আছে। জায়গা রক্ষনাবেক্ষন করে আসছেন ওই যুবলীগ নেতা।

এব্যাপারে যুবলীগ নেতা নোমান উদ্দিন জানায়, যুবদল নেতা মাদু মেম্বার মাতাল অবস্থায় এসে আমার দু শ্রমিক কবির হোসেন ও রেজাউল করিমকে মারধর করে। সে কয়েকদিন ধরে আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় হাতাহাতি হয়েছে। নোমানের স্ত্রী আরমিন জানায়, মাদু মেম্বার বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। প্রায়ই সময় আমাকে গালমন্দ করে।

কৃষকলীগের সাবেক উপজেলা সভাপতি আফতাব উদ্দিন বাবুল জানায়, নোমানকে পাচঁ বছর ধরে ওই জায়গা লাগিয়ত করে আসছি। মাদু মেম্বার ও সে চাচা ভাতিজা।

তবে ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ মাদু চাঁদা দাবির কথা অস্বীকার করে জানায়, আমি বাবুল চৌধুরীর কাছ থেকে ওই জায়গা আগাম নিই। কাজ না করতে নিষেধ করলে তাদের সাথে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। আমরা পরস্পর আত্মীয়। নোমান আমার জেড়াতো ভাইয়ের ছেলে।

পেকুয়া থানার এস.আই কামরুল জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। উভয়পক্ষকে শান্তি ভঙ্গ না করতে তাগিদ দেওয়া দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: