ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় প্রবাসিকে মামলায় ফাঁসালেন সেই চেয়ারম্যান!

mamla.পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় সৌদি প্রবাসি আলমগীরকে মামলায় ফাঁসালেন রাজাখালী ইউপির সেই চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর। জায়গার বিরোধ চলছিল দু’পক্ষের মধ্যে। কিন্তু প্রবাসি ঘটনায় কোন পক্ষের সাথে জড়িত নেই। প্রতিবেশিদের একটি বিরোধকে কেন্দ্র করে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর তাকে ঘায়েল করতে সচেষ্ট হন। এর সুত্র ধরে ওই চেয়ারম্যান গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রবাসিকে দু’দফা পরিষদে আটকিয়ে পৃথক দু’অংকে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা আদায় করে। প্রবাসির কাছ থেকে টাকা বের করতে ওই চেয়ারম্যান পরিষদের কক্ষে আটকিয়ে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। জানা গেছে গত দেড় মাস আগে প্রবাসি আলমগীর দেশে আসেন। জানা গেছে রাজাখালী ইউনিয়নের লালজানপাড়া এলাকার মৃত.রশিদ আহমদের ছেলে আব্দুল করিম ও তার ভাতিজা মৃত.শামসুল আলমের ছেলে নাছির উদ্দিনের মধ্যে বসতভিটার জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। ওই ঘটনায় আরমান নামে এক ব্যক্তি আহত হন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসিত হয়। পরে আলমগীর দেশে ফিরলে আব্দুল করিম বিষয়টি নিয়ে পরিষদে ফের বিচার দেন। এর আগে আলমগীর সাথে আব্দুল করিমের মধ্যেও জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল। আব্দুল করিম চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের অনুগত লোক। জানা গেছে দেশে ফেরার পর প্রবাসির কাছ থেকে চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর এক লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু প্রবাসি টাকা দেয়নি চেয়ারম্যানকে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান প্রবাসি আলমগীরকে দু’দফা তুলে নেয়। ১ম দফায় ৪০হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন। গত ১৭অক্টোবর সন্ধ্যায় লালজানপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন ষ্টেশন থেকে চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর লোকজন নিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক লাখ টাকা নিয়ে ওই প্রবাসিকে ছেড়ে দেয়। ওই ঘটনা এলাকায় জানা জানি হলে তোপের মুখে পড়ে চেয়ারম্যান। এতে অধিক ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর কৌশলে গত ১৯অক্টোবর তার অনুগত আব্দুল করিমকে বাদি করে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রবাসি আলমগীরকে আসামি করে। প্রবাসি আলমগীর জানায় অহেতুক হয়রানি করতে চেয়ারম্যানের ইন্ধনে বাদি আমাকে মামলায় জড়ায়। এটি চক্রান্তের ফাঁদ। সম্পুর্ন ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান নিজেই এ মামলাটি বাদিকে দিয়ে করিয়েছে। অথচ কৌশলে মামলার তদন্তভার নিজে নিয়ে নেয় চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর। তার কাছে তদন্ত হলে প্রতিবেদন নিশ্চিত নিরহ লোকজনের বিরুদ্ধে যাবে। ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। চিকিৎসা সনদে সামান্য আঘাতে কথা উল্লেখ আছে। মামলায় দেখানো হয়েছে তার অঙ্গহানির কথা। যা মামলা ও চিকিৎসা সনদের মধ্যে ব্যাপক গরমিল।

পাঠকের মতামত: