ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় প্রবাসিকে আটকিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে!

ovijogপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় এক সৌদি প্রবাসিকে আটকিয়ে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের বিরুদ্ধে। জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল প্রবাসির সাথে তার প্রতিবেশির। এনিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে মামলা রুজু করে। এর সুত্র ধরে ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, ইউপি সদস্য আজম উদ্দিন প্রকাশ আজু গ্রাম পুলিশ নিয়ে একটি দোকান থেকে প্রবাসিকে পরিষদে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় ৪ঘন্টা আটকিয়ে প্রবাসির উপর চালানো হয় নির্যাতন। ভয় ভীতি দেখিয়ে চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর তার কাছ থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাকে রাতে স্থানীয়দের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। প্রবাসিকে আটকিয়ে জোরপুর্বক টাকা আদায়ের এ ঘটনা জানা জানি হলে সর্বত্রে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সোমবার (১৭অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের লালজান পাড়া ব্রীজ সংলগ্ন ষ্টেশন থেকে প্রবাসিকে তুলে নিয়ে যায় চেয়ারম্যান। প্রবাসির নাম আলমগীর (৩২)। তিনি লালজান পাড়া এলাকার নুরুল কাদেরের ছেলে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় বসতভিটার ৮শতক জায়গা নিয়ে আলমগীর ও প্রতিবেশি মৃত.রশিদ আহমদের ছেলে আব্দুল করিমের মধ্যে বিরোধ চলছিল। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে শালিস বৈঠক হয়। জায়গা পরিমাপ করে সিমানা নির্ধারন করে দেয় শালিসকাররা। কিন্তু আব্দুল করিম বিচার অমান্য করে জায়গা জোরপুর্বক দখলে নেয়। এনিয়ে আব্দুল করিম ও ভাতিজা নাছির উদ্দিনের মধ্যে মারামারি হয়। প্রবাসি আলমগীর জানায় আমাকে লালজানপাড়া ব্রিজ থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, আজু মেম্বারসহ অপরিচিত লোকজন হঠাৎ এসে সিএনজিতে তুলে পরিষদে নিয়ে যায়। একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে শারীরিক নির্যাতন চালায় চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ ও মারধর করে। টাকা না দিলে আমাকে অস্ত্র দিয়ে পুলিশে দেয়ার হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে বাড়িতে খবর দিয়ে এক লাখ টাকা চেয়ারম্যানকে দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুক্ত হই। আমি দেড় মাস আগে দেশে আসি। আমার বাবাও সৌদি আরবে আছে। প্রবাসির স্ত্রী নিলুফা আকতার জানায় আমার স্বামীকে তুলে নিতে এর দু’দিন আগে ছৈয়দ নুর চেয়ারম্যান, আজু মেম্বারসহ লোকজন বাড়িতে আসে। তারা তন্ন তন্ন করে আমার স্বামীকে খোঁজছিল। ভাগ্য ভাল ওইদিন আমার স্বামীকে পাইনি তারা। আলমগীরের মা সাজেদা বেগম জানায় এর আগে আমার ছেলের কাছ থেকে চেয়ারম্যান ৪০হাজার টাকা নেয়। ওইদিন এক লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে চেয়ারম্যানের নির্যাতন থেকে উদ্ধার করেছি। যুবলীগ নেতা ও প্রবাসির ভগ্নিপতি এম.আকতার হোছাইন জানায় তুলে নেয়ার খবর পেয়ে আমি চেয়ারম্যানকে ফোন দিই। তিনি আমার সাথে অকথ্য ভাষায় কথা বলে। টাকা ছাড়া ছেড়ে দেয়া হবেনা। আমি বিষয়টি রাজনৈতিকবর্গকে জানাই। তারা প্রশাসন ও ইউএনওকে এবিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অবহিত করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে। রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর এর কাছে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত: