ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় মহাসড়কে হেলে পড়েছে হাই ভোল্টের বৈদ্যুতিক খুটি দূর্ঘটনার আশংকা

mailএফ এম সুমন, পেকুয়া ::::

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার এবিসি মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে মারাত্মক ভাবে হেলে পড়েছে  ৩৩ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক খুটি।যার ফলে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের দক্ষিণ পাশে হরিণাফাড়ি রাস্তার মাথা থেকে শুরু করে ৮-১০ টা খুটি মারাত্মক ভাবে এবিসি মহাসড়কের উপরে হেলে পড়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই বৈদ্যুতিক খুটিতে রয়েছে ৩৩হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ।যেটা  মেইন লাইন চকরিয়া থেকে সরাসরি পেকুয়া সাব স্টেশনে এসেছে। এই ব্যাস্ততম মহাসড়ক দিয়ে নিয়মিত গাড়ি যোগে যাতায়াত করছেন দশ – বার হাজার যাত্রী। এবং কি স্থানীয় পথচারী ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী তো রয়েছেই।যার ফলে যেকোন সময় বড় রকমের দুঘটনা ঘটতে পারে।এই ছাড়া ও টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা বাজারে আনোয়ারা- চকরিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেষে চরম ঝুকিপূর্ণ ভাবে প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছে আরো একটি বৈদুতিক খুটি। অথচ এই ঝুকিপূর্ণ খুটিটি সরাতে আগ্রহী নয় সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা।

খুটিটির সাথে যে কোন মূহুর্ত্তে সংঘর্ষ হতে পারে ওই সড়কে দ্রুত গতিতে চলাচল করা দূরপাল্লার গাড়ির। এতে বড় ধরণের প্রাণ হানীর ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীরা। তাই, উক্ত এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের পাশাপাশি যানবাহন চালক ও যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা গেছে, আঞ্চলিক মহাসড়কের সস্প্রসারণ কাজ বিগত কয়েক বছর পূর্বে শেষ হয়। সড়কের সম্প্রসার কাজ শুরু হওয়ার ফলে বৈদ্যুতিক খুটি গুলো সরানোর কাজ চলে। ইতিমধ্যে সড়কের পাশে প্রায় বৈদ্যতিক খুটি সরানো হলেও উক্ত খুটিগুলি  অদৃশ্য কারণে সরানোর হয়নি অধ্যাবদি।ফলে এই ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করছেন

আনোয়ারা- চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী সহ উপকূলীয় এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

এব্যপারে পল্লী বিদ্যুৎ চকরিয়া পেকুয়া শাখার ডিজিএম আব্দু সামাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এগুলো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এখন মোটামুটি সেভ অবস্থায় আছে তবে আমরা খুব শিগগিরই এর সংস্কার করবো।তবে এখন খুটি গুলো নিরাপদ বলে তিনি দাবি করেন। এই ব্যাপারে পেকুয়া অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার খোরশেদ আলম বলেন, খুটি গুলো গোড়া নরম তাই কাজ করা যাচ্ছে না। শুকনো হলে দ্রুত এইগুলা সোজা করা হবে। তবে দ্রুত সংস্কার দাবি করছেন স্থানীয়রা।

পাঠকের মতামত: