ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

205020asad_kalerkantho_picস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। আইনী জটিলতার কারণে কানাডা ও আমেরিকায় পলাতক দুই ঘাতককে দেশে ফিরিয়ে আনা বিলম্বিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনী প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা চলছে। শিগরিই খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে হত্যা মামলার রায় কার্যকর করা হবে বলে তিনি জানান।
আজ বিকেলে ধানমন্ডির বিলিয়া মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন : মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস নির্মূলের নিদান শীর্ষক’ এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংবাদিক ও গবেষক শাহরিয়ার কবির।
বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন রিজিওনাল এন্টি টেরোরিস্ট রিসার্স ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী সিকদার, ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিট ল এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, বিশিষ্ট নাট্যকার রামেন্দু মজুমদার, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমুখ।
স্বরাষ্টমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে একাত্তর ও পঁচাত্তরের পরাজিত শক্তি ধর্মকে ব্যবহার করে জঙ্গিবাদের নামে সন্ত্রাস করছে। বাংলাদেশে কোন আইএসের অস্তিত্ব নেই। যারা ধর্মের নামে সন্ত্রাস করছে তারা স্থানীয় জঙ্গি হিসেবে পরিচিত বলে ইতোমধ্যে অনেক তথ্য জানা গেছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ আজ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে।
‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন : মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস নির্মূলের নিদান শীর্ষক’ মূল প্রবন্ধে শাহরিয়ার কবির বলেন, ’৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা প্রতিশোধ নিয়েছিল। জামায়াতে ইসলামী ও তাদের অর্থের উৎস বন্ধ করতে না পারলে এদেশে জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে না।
মূল প্রবন্ধে তিনি দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

পাঠকের মতামত: