ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় কবরস্থানের জায়গা ব্যক্তির নামে বন্দোবস্ত

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া

চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি ছৈয়দ আহমদ সওদাগরের বিরুদ্ধে কবরস্থান ও পানি চলাচলের জায়গা নিজের নামে বন্দোবস্ত নেয়ার গুরুতর অভিdokholযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর মসজিদের কবরস্থানের বেদখল হওয়া এসব জমি উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে এলাকাবাসির পক্ষে সফিউল আলম নামের একব্যক্তি ইতোমধ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসক চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদেশের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এব্যাপারে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমিকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে বাদি ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী গ্রামের মরহুম আলহাজ ফজল করিমের ছেলে সফিউল আলম দাবি করেন, অভিযুক্ত ছৈয়দ আহমদ সওদাগর ১৯৮২-৮৩সালে ডুমখালী মসজিদ কমিটির অর্থসম্পাদক ও পরবর্তীতে সভাপতি পদে দায়িত্বে ছিলেন। ওইসময় তিনি কমিটির অন্য সদস্যদের অগোচরে মসজিদের কবরস্থান ও জনগনের চলাচলের প্রায় ১৭শতক জায়গা গোপনে নিজের নামে বন্দোবস্ত করে নেয়। অথচ জেলা প্রশাসকের এক নম্বর খাস খতিয়ানে উল্লেখিত জায়গা এখনো মসজিদের কবরস্থানের জায়গা হিসেবে চিহিৃত রয়েছে।

অভিযোগের বাদি ও মসজিদ কমিটির অপরাপর সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, জালিয়াতির মাধ্যমে মসজিদের কবরস্থানের জায়গা নিজের নামে বন্দোবস্ত নেয়ার পর ইতোমধ্যে অভিযুক্ত ছৈয়দ আহমদ ও তার লোকজন দখলের চেষ্টা করলে ঘটনাটি মসজিদ কমিটির নজরে আসে। পরে খবরা-খবর নিয়ে ঘটনাটি জানতে পেরে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে কবরস্থানের বেদখল হওয়া এসব জমি উদ্ধারে আইনী সহায়তা চেয়ে চলতি বছরের ৭মার্চ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় সফিউল আলম।

অভিযোগের বাদি সফিউল আলম জানান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে এব্যাপারে তদন্তের জন্য চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদেশের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এব্যাপারে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমিকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

এলাকাবাসি জানিয়েছেন, ডুমখালী মসজিদের অধীনে ১৭টি সমাজ রয়েছে। এসব সমাজে প্রায় সাড়ে পাঁচশত পরিবারের ৪হাজার জনগনের বসবাস। কবরস্থানের ওই জায়গা মুলত চার হাজার মানুষের দাফনের একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু মসজিদ কমিটির দায়িত্ব পালনের সুযোগে জালিয়াতির মাধ্যমে কবরস্থানের এসব জায়গা ছৈয়দ আহমদ সওদাগর নামের ওই ব্যক্তি নিজের নামে বন্দোবস্ত করে নেয়ায় বর্তমানে এলাকার লোকজনের মাঝে দাফনের ব্যবস্থা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসি বেদখল হওয়া কবরস্থানের জায়গা উদ্ধারে প্রশাসনের কাছে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। #

পাঠকের মতামত: