ঢাকা,বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় চাল নিয়ে চালবাজি: বিআর ২৮ চাল বিক্রী হচ্ছে মিনিকেট নামে

চকরিয়া প্রতিনিধি:  চকরিয়ায় চালের বস্তা জালিয়ত করে বিআর ২৮ ধানের চালকে মিনিকেট বলে চালিয়ে অতিরিক্ত মোনাফা লাভের অভিযোগ উঠেছে। অথচ ২৫ কেজি’র বস্থার ১৬ শত টাকার একই চাল পাশের দোকানে সাড়ে ১৪ শত টাকায় কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। এতে প্রতারিত হচ্ছে সাধারন নিরীহ ভোক্তা সাধারন।

সরেজমিনে চাউলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, চকরিয়া সহ আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন দোকানে সরবারহ করা ২৫ কেজির চালের প্লাষ্টিক বস্তায় মিনিকেট চাল লেখা দেখা যায়। মেসার্স মাহমুদ ট্রেডিং নামের সাপ্লাই করা সিলে মিনিকেট চাউল, লাঙ্গল মার্কা, রাব্বি সুপার, EXPORT QUALITY প্রোঃ হাবিবুর রহমান, মোবাইল ০১৭১৪-০৪৭৭৭৩ মোকাম: আশুগঞ্জ বাজার, বি-বাড়ী,য়া পরিবেশক মেসার্স মাহমুদ টেডিং, মগবাজার, চকরিয়া, কক্সবাজার মোবাইল: ০১৮১৯-৬৩৯৩১০ লিখা থাকলেও বাইরের লেখার সাথে ভিতরের চাউলের আদৌ মিল নাই।

এসব চাউল লোকাল মিলিং করা বিআর ২৮ ধানের মোটা চাউল। মোট কথা ১৬ শত টাকার ২৫ কেজির বস্তায ২৮ ধানের চাউল। অথচ একই চাউল লোকাল বস্তায় বিক্রী হচ্ছে সাড়ে ১৪ শত টাকা। তাছাড়া চকরিয়ার মগবাজারে এ নামের কোন চাল মিল নাই এমন কি ওই নামের কোন প্রতিষ্টান ও নাই। খবর নিয়ে জানা যায়, জেলা চাউল মিল মালিক সভাপতি ফজল করিম ও তার ভাই মাহমুদুল করিমের মালিকানাধীন চকরিয়ার মগবাজারস্ত মেসার্স সোনালী অটো রাইচ মিল ও নিউ জনতা অটো রাইচ মিল থেকেই ভুঁয়া নাম ও মার্কার চাউলের এসব বস্তা বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।

যে কারনে ক্রেতা ও ভোক্তা সাধারন প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। নুরুল কবির নামের বয়োবৃদ্ধ এক ব্যক্তি জানান, বিভিন্ন নামীদামী চালের ব্রান্ডের বস্তায় মনোগ্রাম মার্কা জালিয়ত করে কমদামের চাউলকে মিনিকেট বলে চালানোর ফলে একদিকে যেমন মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অন্যদিকে ঠকছে ভোক্তা সাধারন। সাধারন ভোক্তারা প্রতি বস্তায় ঠকছেন ১৫০ টাকা করে।

এ ব্যাপারে ডিলার ফজল করিমের ভাই মোহাম্মদুল করিম বলেন, চট্টগ্রাম শহরের চাক্তাই ও আশুগঞ্জ থেকে চাউল এনে প্যাকেট বিক্রী করেন তারা।

এ প্রতারনার বিরোদ্ধে ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্রেতা সাধারন।

 

পাঠকের মতামত: