চকরিয়া প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ ও কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাতীয় পার্টি (জেপি)’র প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক জেলা চেয়ারম্যান ও সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা এএইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ। ২৯ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় চিরিংগা সিটি সেন্টারস্থ চকরিয়া প্রো ক্যাডেট কলেজ প্রাঙ্গনে উক্ত সভা করা হয়।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের ভেতরে অতিউৎসাহি কিছু হাইব্রিড আওয়ামীলীগ নির্লিপ্তভাবে পেশি শক্তি প্রয়োগ করে ব্যালট পেপারে আনারসের উপর প্রকাশ্যে সিল মেরে ভোট আদায় করেছে। যার কারণে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ ভোট কেন্দ্রে ৮১টি ভোটের মধ্যে ৮১টি ভোটই প্রতিদ্বন্দ্বি আনারস প্রতীকে পড়েছে। ওই কেন্দ্রে একটি ভোটও কি আমি পাই না?
তিনি বলেন, ভোটের পূর্বে চকরিয়া থানা সেন্টারে জনৈক এক আইনজীবির বাসা থেকে আনারস প্রতীকের জন্য কালো টাকার ছড়াছড়ি করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রের ভেতরে ভোটাররা সন্ত্রাসের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ায় এ ধরণের নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ। আমার পেশি শক্তি কিংবা কালো টাকা নাই, কিন্তু মানুষের প্রতি আত্মবিশ^াস ও ভালবাসা রয়েছে।
সালাহউদ্দিন মাহমুদ বলেন, কক্সবাজার জেলায় বর্তমান এবং অতীতে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের ইচ্ছে ছিল নতুন করে যেন কোন নেতৃত্ব সৃষ্টি না হয়। এরপরও কক্সবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন জানাই। আমি কক্সবাজারবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। ২৬বছর ধরে ক্ষমতার বাহিরে ছিলাম। এখন মনে করেছি মানুষের জন্য কিছু করবো। এখন থেকে জনগণের কাতারে থেকে আমৃত্যু রাজনীতি ও সমাজসেবায় সম্পৃক্ত থেকে কাজ করে যাবো। এসময় উপস্থিত দলীয় নেতৃবৃন্দ সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং চকরিয়ার কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: