ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

শিক্ষক যখন ছাত্র অপহরণকারী! ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী॥ আটক ২, ছাত্র উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার. পেকুয়া :::

মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণ করছে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষক। আর অপহরণের ঘটনায় অপহরণকৃত ছাত্রসহ শিক্ষক ও তার সহকারীকে আটক করছে পুলিশ। জানা যায় গত ৯ নভেম্বর বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পেকুয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুইয়া ও এ এস আই আব্দু রহিমের নেতৃত্বে সঙ্গী ফোর্স চকরিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে চকরিয়া থানা এলাকা থেকে অপহরণকৃত মাদ্রাসা ছাত্র রিদুয়ান উল্লাহ (৮)সহ অপহরণকারী ওই শিক্ষক মৌ; আব্দু মোনাফ, নুর উদ্দিনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন কক্সবাজার তালিমুল কোরআন নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষক মৌ: আব্দু মোনাফ(৪৫), পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম উজানটিয়া এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের পুত্র নুর উদ্দিন(৩৫)। উদ্ধারকৃত মাদ্রাসা ছাত্র রিদুয়ান উল্লাহ(৮)। সে ভারুয়াখালী গুচ্ছ পাড়া এলাকার মো: রশিদের পুত্র। উদ্ধার হওয়া ছাত্রের মা জানান মৌ: আব্দু মোনাফ আমার পুত্রকে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে মাদ্রাসা থেকে গত ২ দিন আগে নিয়ে যায়। পরে অনেক খোজাখুজি শুরু করলে এক পর্যায়ে আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একটি নাম্বার থেকে ফোন করে আমার পুত্র কে পেতে চাইলে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। পরে কক্সবাজার সদর থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ মোবাইল ট্যাকিং করে জানতে পারে অপহরণকারীরা পেকুয়ায় অবস্থান নিয়েছেন। পরে ওই ছাত্রের মা পেকুয়ায় এসে থানা পুলিশকে অবগত করেন। পরে পুলিশ অপহরণকারীকে খোঁজতে শুরু করে। পুলিশের কড়া নজর ধারী দেখে অপহরণকারী সুকৌশলে চকরিয়া উপজেলা ফাড়ি জমায়। শেষ পর্যন্ত কোন উপায় না দেখে চকরিয়া থানা এলাকার অবস্থান নেয়। এ ব্যাপারে অপহরণকারী ছাত্রের মা শামীমা বেগম বাদী হয়ে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার নং ৭/৯.১১.১৬ইং।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুইয়া আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান আটককারীদের বিরুদ্ধে অপহরণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

################

পেকুয়া কলেজের শিক্ষকের উপর হামলার জের: কর্তৃপক্ষের সাথে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের জরুরী সভা, হামলাকারীদের বহিস্কার

স্টাফ রিপোর্টার. পেকুয়া:

অসৎ উপায় অবলম্বনের দায়ে এক ছাত্রকে নির্বাচনী পরীক্ষার হল থেকে বহিষ্কারের জের ধরে ৩ শিক্ষকদের উপর ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতাদের সাথে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। জরুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি লায়ন মজিবুর রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতর্্া মারুফুর রশিদ খাঁন, জেলা আ’লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট কামাল হোছাইন, জেলা আ’লীগের সদস্য এস এম গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, জেলা আ’লীগের নেত্রী উম্মে কুলছুম মিনু, উপজেলা বি এন পির সভাপতি ও সদর ইউপির চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ, উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি মাহাবুব ছিদ্দিকী, উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আজম খাঁন, সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন। এতে শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান, অধ্যাপক মো: আলী, অধ্যাপক আজম খান, আবুল হাসেম, বাবু মংখেরিই রাখাইন, সন্তাষ বিশ্বাস, ড,জাকিরসহ সাংবাদিকবৃন্দরা প্রমুখ। সভার শুরুতে বক্তারা উক্ত ঘটনা নিয়ে জড়িত ছাত্রদের নিন্দা জানায়। তাদের কে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবীর জানান। কঠোর হস্তে দমন করা হলে ভবিষ॥তে এর পরিণাম শুভ হবে না বলে হুশিয়ারী করেন রাজনৈতিক নেতারা। সভায় নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। শিক্ষকদের থেকে ও নানা ধরণের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। শেষ পর্যন্ত সুষ্ট তদন্ত করার দাবীর প্রেক্ষিতে সভা থেকে পুনরায় ৭ সদস্য বিশিস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আর এ কমিটিতে আহবায়ক করা হয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাফুজুর রহমানকে। ২ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সভায় ঘটনার স্বাক্ষী দেওয়ায় কলেজ ছাত্রী কনিকাকে ওই ছাত্ররা হুমকি দেওয়ার বিষয়ও তুলে ধরেন তার পরিবার। বিষয়টি গুরুত্বর সাথে দেখার সিদ্ধান্ত হয়। হামলাকারীরা কোন অবস্থাতে নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে পারবে না বলে উপস্থিত সকলেই একমত পোষন করেন। তাদেরকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত হয়। ওই দিন ঘটনার পর পর নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর থেকে কলেজে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। ঘটনার পর থেকে শিক্ষকদের হামলাকারী ছাত্রদলের এই কর্মীদের শাস্তি কি হবে তা চেয়ে আছে সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী। কিন্তু ঘটনার একদিন পর ৮ নভেম্বর আগের মত সকাল ৯ টায় কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা তাদের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে আসে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন জিয়া কলেজে ২য় বর্ষের নির্বাচনী পরীক্ষা কেন্দ্রে পুলিশ দিতে ওসিকে নিদের্শ দেন। অবশেষে পুলিশ পাহারায় ২য় বর্ষের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে ঘটনার পর দিন থেকে হামলাকারী ছাত্র ও তাদের অভিভাবকরা উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দ্বারস্ত হয়ে বিভিন্ন আকুতি মিনতি জানায়। শেষ পর্যন্ত তাদের আকুতি মিনতিতে অসহ্য হয়ে ওই হামলা কারী ৯ ছাত্রকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের নিদের্শ দেন উপজেলা প্রশাসন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুর রশিদ খাঁন জিয়া কলেজের নির্বাচনী পরীক্ষা পরিদর্শনে যান। এদিকে বিকালে এ ঘটনা নিয়ে হামলাকারী ৯ ছাত্র ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে এক জরুরী বৈঠক করেন কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান। ওই বৈঠকে হামলাকারী ছাত্রদের অভিভাবকরা বৈঠকে উপস্থিত সকলের সামনে ওই ছাত্রদের সাষান এবং ভবিষ॥তে এ ধরণের ঘটনা আর করবে বলে আকুতি জানান। পরে আহত শিক্ষকদের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থন্ াকরেন।

শিক্ষকের উপর হামলাকারী যে দলের হোক না কেন কঠোর শাস্তির দাবী জানান সচেতনমহল। ঘটনার দিন থেকে ঘটনার মূল রহস্য অনুসন্ধানে দেখা যায় এ ঘটনার পিছনে শিক্ষক গ্র“পিংই মুল কারণ। অভিভাবকরা জানিয়েছেন জিয়া কলেজে দীর্ঘ দিন ধরে ইংরেজী ও আইসিটি বিষয়ের প্রাইভেট নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে গ্র“পিং হয়ে আসছে। আর এ ঘটনার মূল নায়ক সাজিয়েছে সালাহউদ্দিন মাত্র এর পিছনে ইন্ধিন দিয়ে যাচ্ছে শিক্ষকদের অপর একটি গ্র“প। সঠিক তদন্ত করে দূষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে ওই ৯ ছাত্রকে ছাত্রাবাস থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান ৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এতে ক্ষুদ্ধ শিক্ষকরা।

থানা সূত্রে জানায় অভিযোগের ভিত্তিতে হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনায় আহত শিক্ষকরা হলেন, কলেজের ইংরেজী প্রভাষক মোহাম্মদ আলম, বশির আলম ও জীববিদ্যা প্রদর্শক এনামুল হক। ঘটনার ২ দিন পার হয়ে গেলেও কোন ধরনের তদন্ত করার উদ্যোগ নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ।

গত ৬ নভেম্বর সকাল ১০ টার দিকে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নে অবস্থিত পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও আহত শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, গত ৩ নভেম্বর থেকে কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষা ২য় দিন শনিবার ইংরেজী প্রথমপত্র পরীক্ষায় মানবিক বিভাগের মিনার হোছাইন (রোল নং-৮২) নামের এক ছাত্রকে অসৎ উপায় অবলম্বনের দায়ে ১ দিনের জন্য হল থেকে বহিস্কার করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে আবাসিক ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং ৩য় দিন ইংরেজী ২য় পত্র পরীক্ষা শুরুর আগে ১০/১২ জন উশৃঙ্খল ছাত্র লাঠিসোটা নিয়ে হামলার প্রস্তুতি নেয় উচ্চস্বরে বকাঝকা করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে। এসময় পরীক্ষার হলের দায়িত্বরত শিক্ষকরা ছাত্রদের শান্ত থাকতে বললে ২য় বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন উশৃঙ্খল ছাত্র শিক্ষকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ছাত্ররা শিক্ষক বশির আলম ও মোহাম্মদ আলমকে মাটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে মারধর করে। পরে ক্ষুদ্ধ ছাত্ররা শিক্ষক মিলনায়তনে হামলা চালিয়ে জীব বিদ্যা বিভাগের প্রদর্শক এনামুল হককে মারধর করে এবং মিলনায়তনে ভাংচুর চালায়। এসময় শিক্ষক এনামুল হকে মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হন। ঘটনার সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা দিগ¦দিক ছুটাছুটি করতে থাকে এবং ছাত্রীদের মধ্যে কান্নাকাটি পড়ে যায়। পরে পেকুয়া থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ ঘটনাস্থালে উপস্থিত হলে বিক্ষুব্দ ছাত্রদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে শুনে পুলিশকে নিরবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পেকুয়া থানার এস আই বিমল কান্তি দেবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কলেজে আইন-শৃংখলা বিঘœ হবার খবর পেয়ে আমরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি তবে কি কারণে ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে ছাত্ররা বলছে তাদের অহেতুক বহিস্কার বা পরীক্ষায় চাপাচাপি করা হচ্ছে আর শিক্ষকরা বলছেন কেন হামলা হয়েছে তা আমরা বুঝে উঠতে পারছিনা।

প্রত্যক্ষদর্শী ২য় বর্ষের ছাত্র এমরান খান, ছাত্রী কনিকা সহ বেশ কয়েকজন বলেন, আমরা যখন পরীক্ষার হলে যাচ্ছিলাম তখন সালাহউদ্দিন, কমল, নাছির, ইউসুফ সহ ১০/১২ জন ছাত্র লাটিসোটা হাতে নিয়ে প্রথমে হলের গ্রীল বন্ধ করে দেয় তারপর হৈচৈ করে স্যারদের উপর হামলা চালায়। আহত শিক্ষক বশির আলম, মোহাম্মদ আলম ও এনমুল হক বলেন, ইংরেজী প্রথম পত্র পরীক্ষায় এক শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই অধ্যক্ষ মো: ওবায়দুর রহমান এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিক্ষককের উপর ন্যক্কারজনক হামলা কলেজের ইতিহাসে এ প্রথম। তিনি জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের ও হামলায় জড়িত ৯ ছাত্রকে কলেজ ও ছাত্রাবাস থেকে সাময়িক বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যাদের নামে থানায় অভিযোগ দেয়া হয় তারা হলো, ২য় বর্ষের ছাত্র সালাহউদ্দিন, মিনার হোসেন, ইব্রাহীম খলিল, রেজাউল করিম, খোরশেদ আলম, আরিফুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, জয়নাল আবেদীন ও আবদুর রহমান জয়। তিনি জানান, এঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। কলেজ শিক্ষককরা শিক্ষককদের উপর ন্যক্কারজক এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।এ ব্যাপারে জানতে অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই ছাত্ররা পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানান এবং বৈঠকের কথা ও জানান।

#######################

পেকুয়ার ইউএনও’র বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে এক কিলোমিটার জুড়ো মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার. পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়ার ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খানের বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে এক কিলোমিটার জুড়ে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হযেছে। গত ৯ নভেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত উপজেলার প্রাণকেন্দ্র কলেজ গেইট চৌমুহুনী চত্বরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক, পেশাজিবী ও সূশীল সমাজের গণ্যমান্যদের স্বতঃস্ফুর্ত হাজারো মানূষের অংশগ্রহনে প্রায় আধ ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী অনুষ্টিত হয়। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচীতে পেকুয়া সদর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ আজাদ এমইউপি, উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা এম.শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, শিলখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোঃ নুরুল হোসাইন, টইটং ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা এম. জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা এড. কামাল হোসাইন, পেকুয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বিডিআর(অবঃ) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা মহিলা জাতীয় পার্টির সভানেত্রী আসমাউল হোসনা সহ গণ্যামান্য নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে স্বঃ স্বঃ এলাকার হাজার হাজার হতাশ ও বিক্ষুদ্ধ জনতা যোগদান করেন। মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহনকারীরা এলাকায় কর্মরত বর্তমান সৎ, নিষ্টাবান, আন্তরিক, পরিশ্রমী ও নিবেদীতপ্রাণ ইউএনও হিসাবে পরিচিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুর রশিদ খানের বদলীর আদেশে তারা ছাড়াও এলাকার সর্বস্তরের মানূষ হতাশ ও উদ্বিগ্ন জানিয়ে অভিলম্বে নিঃশর্তে সরকারের আকষ্মিক এ আদেশ প্রত্যাহারের জোর দাবী ও আহব্বান জানান। এদিকে, ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খানের বদলীর আদেশ প্রত্যাহার দাবীর প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানিয়ে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জেলা জাতীয় পার্টি(এরশাদ) সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ ইলিয়াছ এমপি’র নির্দ্দেশে জেলা মহিলা জাতীয় পার্টির সভানেত্রী আসমাউল হুসনা, পেকুয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এস.এম.মাহাবুব ছিদ্দিকী, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম.দিদারুল করিম, সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক বিডিআর(অবঃ) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও রাজাখালীর জাপা নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক মোঃ সাহাবউদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য হোসাইন শহীদ সাইফুল্লাহর নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী সচেতন নাগরিক সমাজের আহুত মানববন্ধন কর্মসূচীতে বিভিন্ন ব্যানার, পোষ্টার, পেষ্টুন নিয়ে যোগদান করে ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খানের বদলীর আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের উর্ধ্বতন মহলের সু’দৃষ্টি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পাঠকের মতামত: