কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ নেতা আবদুল হামিদ ফয়সাল গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ১৩ জানুয়ারী রাত সাড়ে ৭টার দিকে শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি পশ্চিম টেকপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল করিমের পুত্র। প্রথমে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশংকা জনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এলাকায়। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত জেলা ছাত্রলীগ নেতা ফায়সালকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে তার পেটে গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সূত্রে জানা গেছে, বাহারছড়ার মোবারক নামে এক যুবক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়ের বাসার সামনে চিৎকার চেচাঁমেচি করে পালিয়ে যায়। পরে ফয়সালসহ কয়েকজন বাহারছড়ায় মোবারকের খোঁজ নিতে যান। এসময় তাজরমুল্লুক সড়কের সামনে মোবারকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত ফয়সালকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অবস্থা আশংকাজনক চিকিৎসকেরা তাৎক্ষনিক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইশকিতয়াক আহমদ জয় বলেন, মোবারক নামের ওই যুবক অহেতুক সকালে তার বাসার সামনে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে পালিয়ে যায়। পরে ফয়সালসহ ছাত্রলীগের কয়েকজনকে পাঠিয়েছিলাম তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য। এসময় অতর্কিত অবস্থায় মোবারকের ছোঁড়া গুলিতে ফয়সাল আহত হয়। সে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য। তার অবস্থা অত্যন্ত আশংকাজনক। আর মোবারক নামের ওই যুবক ছাত্রলীগ করে না বলে দাবী করেন ইশতিয়াক।
ইশতিয়াক আহম্মদ জয় বলেন, হামলাকারীকে সহজে ছাড় দেয়া হবে না। আগামী ১৫ জানুয়ারী রবিবার কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে অনুষ্টিতব্য জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত শিক্ষার জন্য সমাবেশ বানচাল করতে এ ধরনের একটি অনাকাংঙ্খিত ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা কোন রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত না থাকলেও তৃতীয় কোন শক্তির ইন্দনে বখাটে মোবারক নামের এক যুবকের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে শহরের এধরনের ঘটনা সংগঠিত করার দৃষ্টতা দেখিয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ধৈয্যের সাথে তা মোকাবেলা করার অনুরোধ জানিয়ে জেলা সদর হাসপাতাল চত্ত্বরে তিনি বলেন, প্রশাসন এই সব দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী বাহারছড়া এলাকার মোবারক ও সাদ্দামের নেতৃত্বে আরো ১৫/২০ জন দুর্বৃত্ত এই হামলা চালায়। তারা শহরে ছিনতাই, ডাকাতি, জমি দখল, ইয়াবা ব্যবসাসহ নানা অপরাধ করে আসছে। ওই বাহিনীর হাতে একাধিক নিরহ মানুষ হামলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগে জানা যায়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মারুফ ও ডাঃ এসবি শর্মা জানান, গুলিবিদ্ধ ফয়সালের তলপেটে গুলি লেগেছে। এতে রক্তক্ষরণ হয়েছে প্রচুর। অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশী অভিযান চলছে।
পাঠকের মতামত: