ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

লামা ছিঁচকে চোরের উপদ্রব

churiমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা প্রতিনিধি ঃ

সম্প্রতি সময়ে বান্দরবানের লামা পৌর এলাকায় ছিঁচকে চোরের উপদ্রব বেড়েছে। প্রতিনিয়ত কারো না কারো ঘরের মোরগ, হাঁস, ছাগল, কবুতর, গাছের সুপারী, ডাব, ক্ষেতের সবজি, ঘরের ব্যবহৃত জিনিস পত্র, কারেন্টের ভাল্ব, মোবাইল, ল্যাপটপ, টিভি, টমটম-রিক্সার মালামাল, বাই সাইকেল ও মোটর সাইকেল চুরি হচ্ছে। চরম অনিশ্চয়তায় মধ্যে রাত্রি যাপন করছে সাধারণ মানুষ। ভাল নেই লামা বাজারের ব্যবসায়ীরা। তালা ভেঙ্গে গ্রীল কেটে নিয়ে যাচ্ছে সবকিছু।

লামা পৌরসভা এলাকায় যার সাথেই কথা বলা হয় সেই বলে তার কষ্টের কথা। কিছু না কিছু খোয়া গেছে সবার। উঠতি বয়সের ছেলেদের নেশার টাকা জোগাড় এই চুরির মূল কারণ হিসেবে মনে করছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া পৌর এলাকার চেয়ারম্যান পাড়া, মধুঝিরি ও চম্পাতলীর কয়েকজন সংঘবদ্ধ চোর দ্বারা এইসব অপরাধ গুলো সংগঠিত হচ্ছে। নানান সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক সময় মূল্যবান জিনিস হারিয়ে নিরব থাকেন লোকজন। অপরদিকে একেরপর এক চুরি করে দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোর সিন্ডিকেট।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চম্পাতলী এলাকায় সম্ভ্রান্ত ১পরিবারের ৩টি রাজহাসঁ, বেশ কয়েকটি মোরগ, ব্যবহৃত জামা-কাপড় চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল। খবর নিয়ে দেখা যায় গত ১ সপ্তাহের মধ্যে পৌর এলাকায় প্রায় ৩০/৩৫টি পরিবার থেকে কবুতর, মোরগ, হাসঁ ও ব্যবহৃত জিনিস পত্র চুরি হয়েছে। বিচার দিয়ে উল্টা হয়রানী হতে হয় বলে আইনী পদক্ষেপ নেয়নি কেউ। বিগত দিনে যাদের নামে মামলা হয়েছে তারা জামিনে বেড়িয়ে এসে পুনরায় পুরোদমে করে যাচ্ছে অপরাধ। পৌর পিতা সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা কামনা করেন পৌর এলাকার জনগণ।

এ বিষয়ে লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, লামা বাজারে চুরি বন্ধে আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে কয়েকজন নৈশ প্রহরী নিয়োগ করেছি। পুলিশ, আনসার, ভিডিপি ও গ্রাম পুলিশকে সাথে নিয়ে সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিধানে আরো পদক্ষেপ নেয়া হবে।

লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, যে কোন চুরি ঘটনা শুনার সাথে সাথে আমরা মামলা নিয়ে হারানো জিনিসপত্র উদ্ধারে কাজ করছি। ইতি মধ্যে অনেক সরকারী- বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের চুরির মালামাল উদ্ধার হয়েছে। লামা থানায় চুরির প্রায় শতাধিক মামলা আছে।

পাঠকের মতামত: