ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

মাত্র ২৫ হাজারে বনভুমিতে ভবন নির্মানের অনুমোদন!!!

মনির আহমদ, চকরিয়া ::

——————————

চকরিয়ায় মাত্র ২৫ হাজার টাকায় বনভুমিতে বহুতল ভবন নির্মানের অনুমোদন পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের অধিন বারবাকিয়া রেঞ্জের পহরচাঁদা বনবিটের মোহছেনিয়া কাটায় এক প্রবাসী পরিবার দাবী করলেও বরাবরের মত অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট বনবিট কর্মকর্তা সাইফুল। তবে তিনি অস্বীকার করলেও তার উদারতায়  এগিয়ে চলছে ভবন নির্মানের কাজ।

     সরেজমিনে জানা যায়, চকরিয়ার বরইতলী দক্ষিণ মোহছেনিয়া কাটার মনজুর আলম নামের ইটালী প্রবাসীর পিতা বনভুমি দখল করে ৫ তলা ফাউন্ডেশনে বহুতল বসতঘর নির্মান শুরু করেন।গত এক সপ্তাহ ধরে কাজ করে ১২ কক্ষের বসতঘরের বেস ঢালাইয়ের কাজ শেষ করে গত ৫ নভেম্বর। এ খবর পেয়ে সাইফুল নামের পহরচাঁদা বনবিট কর্মকর্তা সহ ৩/৪ জন লোক নিয়ে গত ৬ নভেম্বর সকাল ১১ টায় মনজুর আলমের নির্মানাধীন ঘরে যায়। এবং বনভুমিতে ঘর নির্মানে বাধা দেন। ঘর নির্মান করলে মামলা দিয়ে আটক করার ও হুমকি দেন। বকাঝকা করে চলে যাবার সময় বিটকর্মকর্তা সাইফুল বিকালে অফিসে দেখা করার জন্য হুকুম করেন। মনজুর আলমের স্ত্রী জানায়, এ ঘটনার পর ভিত হয়ে দ্রুত বিট অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করে এক দালালের মাধ্যমে বনবিট কর্মকর্তা সাইফুলকে ২৫ হাজার টাকা দিলে অবশেষে ঘর বাঁধার অনুমতি দেন। এ ঘটনার পর এলাকায় আলোচনার ঝড় উঠেছে। একের পর এক বনভৃমির দখল ও গাছ বিক্রী ও পাকাঘর নির্মানের অনুমতি দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অসংখ্য অভিযোগ  সাইফুলের বিরোদ্ধে। এলাকাবাসী জানান, বনবিট কর্মকর্তা সাইফুলের নির্দেশে ঘরবাড়ী নির্মান সহ সামাজিক বনায়ন ও রিজার্ভের মাদার ট্রী গর্জন গাছ বিক্রী এবং বনভুমির দখল বিকিকিনি বৃদ্ধি পেয়েছে।

  এব্যাপারে বনবিট কর্মকর্তা সাইফুলের সাথে কথা বললে ঘটনাস্থলে যাবার কথা স্বীকার করলে ও টাকা নেবার কথা অস্বীকার করেন।

     সচেতন মহল বলেন, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে সরকারের বনভুমি বিলুপ্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। পহর চাঁদার সচেতন মহল এ ব্যপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।

পাঠকের মতামত: