পেকুয়া প্রতিনিধি ::
পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের পাউবো নিয়ন্ত্রিত বেড়িবাঁধের কাক পাড়া পয়েন্টে গত ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে বিলীন হওয়া ৪০ চেইন বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় আগামী বর্ষা মৌসুমে সাগরের পানিতে আবারো প্লাবিত হবে মগনামাবাসী। বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় চরম হুমকির মূখে পড়েছে কাকপাড়ার একটি আশ্রয় কেন্দ্র ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত বর্ষা মৌসুমেও কাকপাড়ায় বিলীন পাউবোর ওই বেড়িবাঁধের অংশ দিয়ে সাগরের জোয়ারের পানি প্রবেশ করে মগনামার বিভিন্ন জনবসতি ও স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সামনের বর্সা মৌসুমের আগেই বেড়িবাঁধ সংস্কার না করলে আবারো সাগরের পানিতে ভাসতে হবে মগনামাবাসীকে। সংষিøষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারের অবহেলার কারণে কাকপাড়ার ওই বেড়িবাঁধ সংস্কার হচ্ছে না।
মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম ১৮ জানুয়ারী স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিয়মকালে বলেন, কাক পাড়া এলাকার বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক। সামনের বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গা ওই বেড়িবাঁধ পয়েন্ট দিয়ে আবারো সাগরের পানি প্রবেশ করে পুরো মগনামাই প্লাবিত হবে। এতে এই এলাকার একমাত্র ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়ন কেন্দ্র ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের অসংখ্য বসতঘর সাগরবক্ষে চলে যেতেও পারে। তিনি বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়ার জন্য পাউবোর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো দাবী জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান, বিগত বর্ষা মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর কারণে মগনামার পশ্চিমাংশে পুরো বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় কাঁকপাড়া অংশে। সরকারী উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও পাউবোর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় মগনামার কাঁকপাড়া অংশ পরিদর্শন করেছিল। পরে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে কাকপাড়ার বিধ্বস্ত অংশ সংস্কারের জন্য পাউবোর পক্ষ থেকে কার্যাদেশ দেওয়া হলেও ঠিকাদারের অবহেলার কারণে এখনো কাজ শুরু করেনি। এ নিয়ে স্থানীয়রা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহেদুল্লা ও জায়েদুল হক বলেন, ওই এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দুই বছর সময় বেধে দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি)। তাই স্থায়ী বেড়িবাঁধ ঠেকসইভাবে নির্মাণ করতে সময় নিয়ে কাজ করতে হবে তাদের। আগামী বর্সা মৌসুমের আগে বেড়িবাঁধের ওই অংশের কাজ সম্পন্ন না করলে আবারো প্লাবিত হবে মগনামা।
বাাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মগনামা ইউনিয়নের কাকপাড়া অংশের বিধ্বস্থ বেড়িবাঁধ পয়েন্টে বাঁধ আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই শেষ করা হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: