বাঙ্গালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ট নেতৃত্বে ১৯৭১সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি লাল সবুজ পতাকা অর্জন করতে সক্ষম হয়। এরপর ১৯৭৫সালের ১৫ আগষ্টের কালোরাত্রে বিশ্বাসঘাতকদের চক্রান্তে স্ব-পরিবারের শাহাদাৎ বরণ করেন জাতির পিতা। দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৪৫বছর আগে। কিন্তু স্বাধীনতার এতদিন পরও দেশের প্রভৃতি স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা জাতির জনকের অবদানকে বারবার অস্বীকার করেছে। এমনকি ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের দিনে বিএনপির নেত্রী জন্মদিন পালন করে অনেকটা উপহাস করে আসছে।
তবে এমন বাস্তবতা ভেঙ্গে এবারই প্রথম কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার এক প্রভাবশালী বিএনপি নেতার মুখে শুনা গেলে জাতির জনকের জয়গান। বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দেয়ার পেছনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা অন্তত পক্ষে স্বীকার করেছেন এ বিএনপি নেতা।
গতকাল সোমবার সকালে চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার। এতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ এসএম মঞ্জুর। তিনি আবার বিএনপির রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত। বর্তমানে তিনি চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও খুটাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে দায়িত্বে রয়েছেন।
আলোচনা সভার প্রত্যক্ষদর্শী অনেক শ্রোতা দাবি করেন, অনুষ্টানে সভাপতির বক্তব্যে কলেজের অধ্যক্ষ বিএনপি নেতা এসএম মঞ্জুর বলেন, বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশের লাল সবুজ পতাকা এনে দেয়ার পেছনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যতেষ্ট অবদান রেখেছেন। তার জন্ম না হলে সেইদিন বাংলাদেশ স্বাধীন হতো কিনা সন্দেহ ছিল। এসময় তিনি জাতির জনক সম্পর্কে আরো শ্রুতিমুধুর জয়গান তুলে ধরেন।
এদিকে উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থেকে এ বিএনপি নেতা জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্টানে বক্তব্য দেয়ার ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দিনভর নানা গুঞ্জন দেখা দেয়। তবে অনেকে দাবি করেন, এসএম মঞ্জুর বিএনপির রাজনৈতিক দলের নেতা হলেও পেশাগত ভাবে তিনি ওই কলেজের অধ্যক্ষ। আবার অনুষ্টানটি কলেজের পক্ষ থেকে আয়োজন করায় তাকে নিয়ম মোতাবেক সেখানে বক্তব্য রাখতে হয়েছে।
পাঠকের মতামত: