ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ফলোআপ… পেকুয়া কলেজের দুই শিক্ষকের প্রাইভেট বানিজ্যে নিয়ে বিরোধ: ৯ শিক্ষার্থী বহিস্কার

ফলোআপ…
পেকুয়া প্রতিনিধি ::::

pekua-pic-riaz-06-11-2016কক্সবাজারের পেকুুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজে দুই শিক্ষকের প্রাইভেট বানিজ্যে নিয়ে অর্ন্তকোন্দলের জের ধরে সংগঠিত অপ্রীতিকর ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘটনার সুষ্টু ও নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়াই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ৯ জন নিরীহ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করেছে। ফলে এলাকার শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আর পেকুয়া কলেজের বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজ কর্তৃপক্ষের এহেন নগ্ন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে কয়েকদিনের মধ্যেই কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দিয়েছেন। বহিস্কারের শিকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন চরম অনিশ্চতার মধ্যে পড়েছে। ঘটনার ২ দিন পেরিয়ে গেলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ সংগঠিত ঘটনার সুষ্টু তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করতে নিজস্ব উদ্যোগে কোন তদন্ত কমিটি গঠন করেনি। গত রোববারের অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে কলেজের একাধিক শিক্ষকের ইন্দন ছিল বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে। সচেতন মহলের দাবী, যে সব কলেজের শিক্ষক কলেজের শিক্ষার্থীদের ইন্দন দিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নিরপেক্ষ তদন্তের তাদের মুখোশ উন্মোচন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রসঙ্গত: গতকাল ৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পেকুয়া জিয়া কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজের প্রাইভেট বানিজ্য ও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে থেকে এক শিক্ষার্থীকে বহিস্কারের ঘটনায় কয়েকজন কলেজ শিক্ষকের সাথে দ্বাদশ শ্রেণীর কয়েকজন ছাত্রর সামান্য কথাকাটি হয়। এসময় কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়।

পেকুয়া জিয়া কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কলেজ ক্যাম্পাসে সরকারী ভবন ব্যবহার করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার কোন ধরনের তোয়াক্কা না করে কলেজের ইংরেজী বিষয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক মো. বশির ও ইংরেজী বিষয়ের শিক্ষক মো. আলম বেপরোয়া প্রাইভেট বানিজ্যে জড়িয়ে পড়ে। এ দুইজন শিক্ষক অনেকটা জোর করেই শিক্ষার্থীদের তাদের কাছ থেকে ইংরেজী বিষয়ে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। আর তাদের কাছ থেকে প্রাইভেট না পড়লে ইংরেজী বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
কলেজের শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করেছেন, ইংরেজী বিষয়ের শিক্ষক মো. আলমের কাছ থেকে যে সব শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়েন তাদেরকে কলেজের চুড়ান্ত পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় অপর ইংরেজী বিষয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক বশির। এভাবেই দুই শিক্ষকের মধ্যে প্রাইভেট বানিজ্যের আধিপাত্যকে কেন্দ্র করে চরম বিরোধ চলে আসছিল।

পেকুয়া জিয়া কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কলেজে প্রাইভেট বানিজ্য নিয়ে শিক্ষক মো. আলম ও বশিরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ দুই শিক্ষক এক জন অপরজনকে সহ্য করতে পারেনা। তাদের অনুগত শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়ে তারা দুইজনই কলেজে বারবার সহিংস ঘটনার সৃষ্টিতে ইন্দন যোগাচ্ছেন।

এদিকে গতকালের ঘটনায় তিন শিক্ষক আহত হওয়ার পর রোববার সন্ধ্যায় কলেজ অধ্যক্ষ বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারে যাদের আসামী করা হয়েছে, কলেজের এইচ এস,সি ২ য় বর্ষের ছাত্র সালাহ উদ্দিন, মিনার হোছাইন, ইব্রাহিম খলিল খোকা, রেজাউল করিম, খোরশেদ আলম, আরিফুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, জয়নাল আবেদীন, আবদুর রহমান জয়কে।

বহিস্কারের শিকার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, জিয়া কলেজে প্রাইভেট বানিজ্য নিয়ে ইংরেজী বিভাগের দুই শিক্ষকের মাঝে বিরোধ রয়েছে। তারাই ইন্দন দিয়ে কলেজে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের বেপরোয়া প্র্ইাভেট বানিজ্যের কারণেই কলেজে মূলত ওই অপ্রীতিকর ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে। আর দুই শিক্ষকের অর্ন্তকোন্দলের জেরে এখন বলির পাঠা হচ্ছেন নিরীহ ৯ জন ছাত্র। এসব অভিভাকরা কলেজ কর্তৃপক্ষের এহেন অবিবেচনাপ্রসূত বহিস্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানান।

এছাড়াও বহিস্কারের শিকার কয়েকজন শিক্ষার্থী এ প্রতিবেদককে জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতি চরম অন্যায় ও জুলুম করেছে। তারা কোন শিক্ষকের উপর হামলা করেনি। অন্যায়ভাবে তাদের বহিস্কার করা হয়েছে। তাদের বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণে সুযোগ না দিলে তারা অনেকেই আত্মহত্যারও হুমকি দিয়েছেন।

পেকুয়া থানার এস আই বিমল দেব জানান, পেকুয়া কলেজের তিন শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় ৯ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে কলেজ অধ্যক্ষ বাদী এজাহার দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে বলে জানালেও ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

……………………………………..

পেকুয়া বাজার কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সভা অনুষ্টিত

পেকুয়া প্রতিনিধি :::;

পেকুয়া বাজার কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি লি: এর এক সভা গতকাল ৭ নভেম্বর বিকালে পেকুয়া বাজারস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্টিত হয়েছে।

সমিতির সভাপতি মো. ফরিদুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারান সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন ফরাজী পরিচালনায় অনুষ্টিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ভূট্টো, সদস্য নুরু সওদাগর, মো. কাইছার,  জামাল মাঝি, মো. ফোরকান ও আনসারসহ সমিতির সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতি জানান, গত ১ নভেম্বর পেকুয়া বাজার কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি লি: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক (২২৩০) নিবন্ধন লাভ অর্জন করেছেন। -এমজিউপেপ্র

পাঠকের মতামত: