কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা চকরিয়ার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা জাহানের বিরুদ্ধে সরকারী দিবস পালন না করেই বরাদ্দের অর্থ লুটপাঠের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সরকারী বরাদ্দ থাকলেও গত ১৬ আগষ্ট পেকুয়া মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জাতীয় শোক দিবসও পালন না করেও সরকারী বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছে। জাতীয় শোক দিবসের দিন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী পালনের জন্য অধিদপ্তর থেকে ৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপনের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে পেকুয়া মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়কে সাড়ে আট হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ নিয়ে পেকুয়া মহিলা বিষয়ক কার্যালয় ৯ ডিসেম্বর পেকুয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নামমাত্র অনুষ্টানের আয়োজন করে। বরাদ্দ থেকে সমাজে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ৪ জন নারীকে নি¤œ মানের ৪টি ক্রেস্ট ও সনদ পত্র দেওয়া হয়। ব্যানার ও উপস্থিতিদের নামমাত্র নাস্তার প্যাকেট দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা খরচ করা হয়।
এছাড়া গত মাসের ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালনের জন্য পেকুয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়কে অধিদপ্তর থেকে ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের শুরু থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোন কর্মসূচী পালন করেনি পেকুয়া মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে গত ৭ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষ্যে মানববন্ধন করার জন্য নির্দেশনা দিলেও সেটিও পালন করেনি পেকুয়া মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা জাহান। অথচ, অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দের এসব অর্থ উত্তোলনও করে নিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
অভিযোগ রয়েছে, পেকুয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম ক্রেডিট সুপার ভাইজার মো. বেলায়েত হোছাইনের মাধ্যমে সরকারী ওই বরাদ্দে অর্থ ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে পেকুয়া মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম ক্রেডিট সুপার ভাইজার মো. বেলায়েত হোছাইন জানান, আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পেকুয়ায় এখনো পালন করা হয়নি। আপা কয়েক দিনের মধ্যেই চকরিয়া থেকে পেুকয়ায় এসে যে সব দিবস পালন করেনি সব পালন করবেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে ৯ ডিসেম্বর মুফোঠোনে পেকুয়ার অতিরিক্তে দায়িত্বে থাকা চকরিয়ার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা জাহানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার কার্যালয় সরকারী দিবসের নামে অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ আসা কোন অর্থ আত্মসাত করেনি। সরকারী বরাদ্দ থাকলেও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ কেন পালন করা জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা কোন ধরনের সদুত্তর দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে কক্সবাজার জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুভ্রত বিশ্বাস জানান, তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
পাঠকের মতামত: