ঢাকা,শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় সড়কের পাশে বিকিকিনি হচ্ছে জ্বালানী গ্যাস : দূর্ঘটনার আশংকা

Pic-Pekua-Emran-300x225নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া ::
পেকুয়ায় জনবহুল সড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে বিকিকিনি হচ্ছে জ্বালানী গ্যাস। ফলে, যেকোন সময় বড় দূর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলা সদরের পেকুয়া বাজার ও চৌমুহনী বাজারে প্রায় ডজনখানেক দোকানে কোনপ্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ব্যস্ততম বরইতলী-মগনামা সড়কের পাশ ঘেষে ফুটপাত দখল করে বিকিকিনি হচ্ছে এসব জ্বালানী গ্যাস সিলিন্ডার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যস্ততম এই সড়কে বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম ও জেলা শহর কক্সবাজারের সাথে দূরপাল্লার বাসসহ চলাচল করছে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন এবং মালবাহী গাড়ী। তারই পাশ ঘেষে ফুুটপাতে গ্যাস সিলিন্ডারের ফসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যার ফলে, সবসময় এ সড়ক ব্যবহারকারীদের চরম ঝুকির মধ্যে ব্যবহার করতে হচ্ছে সড়কের উক্ত অংশ। স্থানীয়রা এ ঝুকি থেকে পরিত্রাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয়রা আরো জানান, ব্যবসায়ীরা এসব গ্যাস সিলিন্ডার পরিবহন করছেন অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণভাবে। বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেলের পিছনের অংশে এক থেকে চারটি পর্যন্ত সিলিন্ডার দায়সারাভাবে বেধে চরম ঝুকিপূর্ণভাবে পৌছে দিচ্ছেন ক্রেতার কাছে। পরিবহনকারী গাড়ি গুলোর ছোট ধরণের দূর্ঘটনায়ও ঘটে যেতে পারে সিলিন্ডার সমূহের বিষ্ফোরন।
‘জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১৯৯১সালের প্রণীত গ্যাস সিলিন্ডার বিধিমালায় চতুর্থ পরিচ্ছেদে বলা আছে, (১) গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার কোন দ্বিচক্র যানে পরিবহন করা যাইবে না। (২) কোন যানে সিলিন্ডার পরিবহনের ক্ষেত্রে সিলিন্ডারের কোন অংশ উক্ত যানের বাহিরে থাকা চলিবে না। (৩) যানের যে অংশে সিলিন্ডার রাখা হয় সে অংশ কোন ধারাল বস্তু থাকিবে না। (৪) সিলিন্ডার যাহাতে যানের বাহিরে পড়িয়া না যায় বা যান চলাকালে সিলিন্ডার আঘাতপ্রাপ্ত হইয়া ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তদুদ্দেশ্যে সিলিন্ডারকে উক্ত যানে সর্তকতার সহিত স্থাপন ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহন করিতে হইবে।’
কিন্তু পেকুয়ায় সুষ্ঠু তদারকির অভাবে এসব আইন মানছেন না জ্বালানী গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স পেকুয়া স্টেশনের অপারেশন লিডার জিল্লুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে, তিনি পেকুয়ার ব্যবসায়ীদের আইন না মানার কথা স্বীকার করেন। এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ তাদের কাজ নয় জানিয়ে বিস্তারিত কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বলার পরামর্শ দেন।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কক্সবাজার জেলা স্টেশনের ওয়্যার হাউজ ইন্সেপেকটর মোঃ ইদ্রিস’এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিভাগীয় মহড়া সেরে কক্সবাজার ফিরছেন বলে ফোন সংযোগ বিচ্ছিন করে দেন।
এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুর রশীদ খান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং খুব শীঘ্রই বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: