পেকুয়া প্রতিনিধি ::
পেকুয়ায় সাইনবোর্ড পদদলিত করার ঘটনায় সেই পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটির সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সাধারন সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান বাদী হয়ে এ এজাহারটি গতকাল ৩১ জুলাই পেকুয়া থানায় দায়ের করে। ১ নং বিবাদী করা হয়েছে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম, বাহাদুর শাহ। মামলায় আসামী করা হয়েছে বিএনপির উপজেলা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ন কিছু নেতৃবৃন্দকে। এরা হলেন পেকুয়া সদর ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও বিএনপি নেতা এম,শাহনেওয়াজ আজাদ, বিএনপি নেতা হেনাউল ইসলাম চৌধুরী বাবুল, বিএনপি নেতা সদরের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহাবুল করিম এমইউপিসহ ৮ জনকে আসামী করা হয়। পেকুয়া থানার ওসি তদন্ত মনজুর কাদের মজুমদার এজাহার পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেয়া হয়েছে। পুলিশ আইনী প্রদক্ষেপ নিবে এ বিষয়ে। জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই বিকেলে পেকুয়া বাজারস্থ জঙ্গি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির দলীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ড তুলে ফেলান সদর ইউপি চেয়ারম্যান এম, বাহাদুর শাহসহ অভিযুক্তরা। ওই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ও বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন পেকুয়ার জঙ্গী ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটিসহ ক্ষমতাসীন দল। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র নিন্দা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত সাইনবোর্ডটি পদদলিত হওয়ার ঘটনায় পেকুয়ায় দেখা দেয় বিরুপ প্রতিক্রিয়া। ক্ষমতাসীন দল এর প্রতিবাদে ঘটনার একদিন পর পেকুয়ায় প্রতিবাদ সভা করে। এ সময় দলটির উপজেলা ও ইউনিয়নসহ তৃণমূল পর্যায়ের কয়েকশত নেতা-কর্মী প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়েছেন। ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃস্টান্তমুলক শাস্তিসহ গ্রেফতার দাবী করে তারা। দলীয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে মামলা করবে দায়ীদের বিরুদ্ধে। সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ওই দিন পেকুয়া থানায় এজাহার দায়ের হয়েছে বলে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম জানান, এ ঘটনা অত্যন্ত বর্বরোচিত। বঙ্গবন্ধু জাতির মহান নেতা। আমাদের রাজনৈতিক স্বত্তার সাথে বেয়াদবি। যা হৃদয়ে ও স্বকীয়তায় আঘাত করা হয়েছে। মামলার জন্য এজাহার দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসন কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন সেটি অনুধাবন করছি। না হয় বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা ঘরে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে কর্মসুচী দেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: