কক্সবাজারের পেকুয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের শিশুসহ ৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। গতকাল ২৩ ফেব্রেুয়ারী সকাল ৯টার দিকে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের মাতবর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পার্শ্বের লবণ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হলেন ওই গ্রামের মৌলানা গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী মোবাশ্বেরা বেগম (৪৫), তার ছেলে আকবর ফারুক (২৮), নুরুল আমিনের স্ত্রী রোজিনা ইয়াসমিন (২৬), মৃত পেঠান আলীর পুত্র আলী আহমদ (৩২), আব্বাস উদ্দিনের শিশু কন্যা আফসানা সোলতানা (৫)।
আহতদের কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানায়, ঘটনার দিন স্থানীয় রাজা মিয়ার পুত্র কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে তার ভাই হারুন রশিদসহ একদল সন্ত্রাসী মৌলনা গিয়াস উদ্দিনের খরিদকৃত নিজস্ব লবণ মাঠ দেখা শুনা করার সময় তার ছেলে আকবর ফারুকের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন আকবর ফারুককে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে মৌলানা গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী ও তার পরিবারের অন্যান্য লোকজনের উপর বেপরোয়া হামলা চালায়।
আহত গৃহবধূ মোবাশ্বেরা বেগম অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা দীর্ঘদিন ধরে আমার ম্বামীর কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছিল। তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় ঘটনার দিন আমাদের খরিদা সম্পত্তি জবর দখলের জন্য আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা ঘটনার সময় আমার গলায় থাকা ১৮ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন, আমার ৩২শ টাকা দামের মোবাইল, আমার ছেলে ফারুকের পকেটে থাকা নগদ ৫২ শ টাকা ও ৩২ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তারা আমাদের কে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি-ধমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থকে চলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে।
এদিকে এ ঘটনায় মৌলনা গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে গতকাল ২৩ ফেব্রেুয়ারী পেকুয়া থানায় হামলাকারী কফিল উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করছেন।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুইয়া অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
####################
পেকুয়ার রাজাখালীতে লবণ মাঠে দূর্বৃত্তের তান্ডব
নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া :::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় রাজাখালী এরশাদ আলী ওয়াকফ স্টেটের লবণ চাষীদের ৩ কানি লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দিয়েছেন দূর্বূত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বামুল পাড়া গ্রামের লবণ চাষী আলী হোছাইন ও আবুল হোছাইনের লবণ মাঠে। তার দুইজনই বামুল পাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং এরশাদ আলী চৌধুরী ওয়াকফ স্টেটের কাছ থেকে লবণ চাষের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে আসছিল। এদিকে লবণ চাষের ভরা মৌসুমে মাঠের পলিথিন কেটে দেওয়ায় চরম হতাশায় ভূগছেন চাষীরা। এদিকে গতকাল সকালে সরেজমিনে গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগী লবণ চাষী আলী হোছাইন এবং আবুল হোছাইন অভিযোগ করেছেন, তাদের ২ জন চাষীর ৩ কানি লবণ মাঠের পলিথিন গতকাল বুধবার (২২ ফেব্রেুয়ারী) সন্ধ্যায় বামুলা পাড়া গ্রামের বদর আলমের পুত্র আলমগীরের নেতৃত্বে গোলাম শরীফের পুত্র আরিফ, মৃত বজল আহমদের পুত্র কাসিম আলী, বশিরুজ্জামানের পুত্র সুজাংগীর, জালালের পুত্র হারুন, শাহ আলমের পুত্র কালুসহ আরো কয়েকজন লোক অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে ভীতি ছড়িয়ে প্রকাশ্যে লবণ মাঠের পলিথিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলে।
লবণ চাষীরা জানান, তাদের ৩ কানি লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দেওয়া হয়েছে। কেটে দেওয়া পলিথিনের মূল্য ৫-৬০ হাজার টাকারও বেশি হবে তারা জানান। স্থানীয় লবণ চাষীরা আরো অভিযোগ করেছেন, বদর আলমের পুত্র আলমগীরের নেতৃত্বে একদল লোক প্রায় সময় রাজাখালী বামুলা পাড়া এলাকায় নিরীহ লবণ চাষীদের লবণ মাঠের চাষীদের হুমকিÑধমকি দিয়ে চাঁদা দাবী, প্রকাশ্যে পলিথিন কেটে দেওয়াসহ লুটতরাজের সাথে জড়িত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ লবণ চাষী আবুল হোছাইন ও আলী হোছাইন তাদের লবণ মাঠের পলিথিন কাটার সাথে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপারের নিকট হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে রাজাখালী এরশাদ আলী চৌধুরী ওয়াকফ স্টেটের পরিচালক হানিফ চৌধুরী জানিয়েছেন, লবণ চাষী আলী হোছাইন ও আবুল হোছাইনের লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজম উদ্দিনের নেতৃত্বে স্থানীয় এলাকাবাসী ও কয়েকজন সংবাদকর্মী সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্থ লবণ চাষীদের মাঠ পরিদর্শন করেছেন। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ লবণ চাষী আলী হোছাইন ও আবুল হোছাইন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এসময় কান্না জড়িত কন্ঠে চাষীরা বলেন ‘ আমরা গরীব মানুষ, আমাদের লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দিয়ে চরম অপরাধ করেছে দূর্বূতরা। তার এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চান এবং নিরীহ লবণ চাষীদের মাঠে পলিথিন কাটা বন্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আহবান জানিয়েছেন।
#############
পেকুয়ায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা নির্ভর সেবায় থানা পুলিশ-ও.সি’র ভুমিকায় খুশি সাধারণ মানুষ
নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া :::
কক্সবাজারের পেকুয়ায় মানুষকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নির্ভর সেবা দিচ্ছে থানা পুলিশ। ফলে, ও.সি’র ভুমিকায় সন্তুষ্ট সাধারণ মানূষ। ও.সি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়ার নেতৃত্বে থানা পুলিশের সার্বিক কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতার ভুয়সী প্রশংসায় পঞ্চমুখ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানূষ। অধিকাংশ লোকজনের মন্তব্য, বর্তমানে থানায় কোন টাউট, বাটপাড় বা দালালের দৌরাত্ম নেই। এধরনের প্রতারক লোকজনের সংস্পর্ষ ছাড়াই আইনী সহায়তা প্রত্যাশি মানূষ ও.সি’র সাথে সরাসরী দেখা করে নিজেদের কাজ বা সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন। আর অনেকে ও.সি’কে ভাগে ও থানা পুলিশকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির অপকর্মে ব্যবহারে ব্যর্থ হয়ে লাগামহীন মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রে মেতেছেন বলেও মন্তব্য করেন তারা। মন্তব্যকারীরা আরো জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রায় সকল ইউএনও ও.সি আর প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদস্থ্য অফিসার কর্মচারীদের জড়িয়ে লাগামহীন মিথ্যাচার অপবাদের তকমা লাগিয়ে বদলী করে দেওয়া একটি ফ্যাশন রুটিন ওয়ার্কে পরিণত বলে জানান। জানা যায়, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আকম সাহাবউদ্দিন ফরায়েজীর লাশ উদ্ধার ও মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারের উর্ধ্বতন মহল থানার তৎকালীন ও.সি মোঃ আবদুর রকিবকে বদলী করে তার স্থলে বর্তমান অফিসার ইনচার্জ(ও.সি) জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়াকে নিয়োগ দেন। ২০১৫সালের ৩রা নভেম্বর কর্মস্থলে যোগদান করেই নবাগত ও.সি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের জন্মগ্রাম ও বিএনপি-জামাতের দূর্বেধ্য দূর্গ হিসাবে পরিচিত পেকুয়ায় জনজিবনের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা অব্যাহতের পাশাপাশি থানা কম্পাউন্ডকে দালাল, টাউট, বাটপাড়, ফড়িয়া ও অপরাধীদের দৌরাত্ম মুক্ত রাখতে ব্যবস্থা গ্রহন করেন। একই সাথে উপজেলার ৭ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পাড়া-মহল্লায় পুলিশের অব্যাহত নজরদারী ও টহলাভিযান জোরদার করে সাধারণ মানূষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থা নেন। এছাড়া, যে কোন ধরনের ঘটনায় স্বয়ং নিজে সরোজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন তদন্ত সহ কমিউনিটিং পুলিশিং কার্যক্রম ও পাবলিক পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করে তৃণমূল জনগোষ্টির মাঝে থানা পুলিশ এবং আইনগত সেবা সূযোগ প্রাপ্তি নিশ্চিত করেন। এতে করে ও.সি বা থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ মানূষদের কতিথ নেতা ও টাউট, বাটপাড় দালালদের শোষন, হয়রানী, ধান্ধাবাজি বা স্বীয় স্বার্থলিপ্সা চরিতার্থের পাঁয়তারার পথ সংকুচিত করে দেন ও.সি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া। থানা প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান ও.সি কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত এলাকায়, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, রাহাজানী, ভুমিদূস্যতা, অপহরন, মুক্তিপণ আদায়, বনদূস্যতা, ইভটিজিং, বাল্য বিয়ে, নারী শিশু নির্যাতন, পাঁচার মাদকের আগ্রাসণ প্রতিরোধ, রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে শুরু করে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিমান মাদক, অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে সাফল্য দেখিয়েছেন। তার কর্তব্যকালীন সময়ে নাশকতা মামলায় সংশ্লিষ্ট উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মুন্সিমুরা এলাকার মৃত ওবায়দুল হাকিমের পুত্র যুবদল ক্যাডার নেছার উদ্দিন, মগনামা লালমিয়া পাড়া এলাকার ছৈয়দ আহমদের পুত্র বেলাল উদ্দিন(৪৮), মগনামা বাজার এলাকার আবদুল মজিদের পুত্র রিয়াজ উদ্দিন, সদরের সরকারীঘোনা এলাকার মৃত শাহ আলমের পুত্র নবীর হোসেন, দক্ষিণ মেহেরনামা এলাকার মৃত হাজ¦ী হোছন আলীর পুত্র নজরুল ইসলাম ভুট্ট্রো, সিকদার পাড়া এলাকার সামশুল আলমের পুত্র যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম বিটু, সরকারীঘোনা এলাকার মৃত খুইল্লে মিয়ার পুত্র শহিদুল ইসলাম, মিয়ারপাড়া এলাকার আকবর আহমদের পুত্র আবুল হোছন, সিকদার পাড়া এলাকার মৃত ইছহাকের পুত্র মোসলেহউদ্দিন, মৃত দেলোয়ার মিয়ার পুত্র শ্রমিকদল নেতা মুজিবুল হক চৌধুরী প্রকাশ ল্যাং মুজিব, বারবাকিয়ার পাহাড়িয়াখালী এলাকার নুরুজ্জামানের পুত্র মোঃ সেলিম ও সর্বশেষ তেলিয়াকাটা এলাকার মরহুম তোফায়েল আহমদের পুত্র বিএনপি নেতা মোঃ আবু তাহের প্রকাশ মনু মেম্বারকে গ্রেপ্তার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সৌপর্দ্দ করেন। একই সময়ে তিনি সি.আই.ডি’তে তদন্তাধীন পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ.ক.ম সাহাবউদ্দিন ফরায়েজী হত্যা মামলার এজাহার নামীয় একাধিক আসামীকে ঝুঁকি নিয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেন। থানা কর্তৃক প্রচারিত প্রতিবেদন সূত্রে আরো জানা গেছে যে, বর্তমান ও.সি’র দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি ডাকাত সর্দ্দার, দূধর্ষ সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার হয়ে হাজতে গেছেন। যাদের মধ্যে রয়েছে, রাজাখালীর আলোচিত দূধর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত মোঃ আরমান প্রকাশ আলিম্যা ডাকাত, টইটংয়ের সেলিম ডাকাত, শিলখালীর পাহাড়ি এলাকার বহুল আলোচিত বদাইয়া ডাকাত, ডাকাত নুরুজ্জামানসহ আরো প্রায় ডজনাধিক ডাকাত। এলাকার চিহ্নিত একাধিক ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার ও এলাকাছাড়া করে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলকে এ ও.সি করেছেন ছিনতাই মুক্ত জনপদ। উপজেলার মাদক আখড়াগুলো গুড়িয়ে দিয়ে তার সাথে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তার, দফায় দফায় বিপুল পরিমান মাদক দ্রব্য উদ্ধার সহ প্রায় ডজনাধিক মামলা রুজুর মাধ্যমে কর্ম এলাকার লোক সমাজকে এ ও.সি করেছেন মাদকের অভিশাপমুক্ত। পৃথক পৃথক অভিযানে উদ্ধার হয়েছে প্রায় হাফ ডজনেরও বেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। যেসব ঘটনায় মামলা রুজু ও তার সাথে সংশ্লিষ্টদেরও গ্রেপ্তার করে হাজতে প্রেরনের পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ও.সি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া। এছাড়া, বর্তমান ও.সি’র কর্মকালীন সময়ে প্রায় অর্ধ সহ¯্রাধিক জি.আর ও সি.আর মামলার ওয়ারেন্ট তামিল সহ শত শত নিয়মিত মামলার আসামী গ্রেপ্তার হয়ে হাজত বাসে গেছেন। বর্তমানে পেকুয়া থানাকে ঘুষের আখড়া বলে অপবাদ মিথ্যাচার করা হলেও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানূষের অভিমত তার উল্টো। এ প্রসঙ্গে, গত ১সপ্তাহ যাবত থানায় আগন্তুক আইনী সহায়তা প্রত্যাশি প্রায় অর্ধশত লোকজনের (কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় সবার নামোল্লেখ করা হলোনা) কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, অভিযোগ এজাহার দরখাস্ত জিডি নিয়ে থানায় গিয়ে ও.সি’র সাক্ষাতে তাদের আবেদনের সুরাহায় কোন ধরনের টাকা পয়সা বা সুযোগ সুবিধা নেয়নি ও.সি। উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়ন ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিগত সময়ে তাদের গ্রামে অপরাধ প্রবনতা বিদ্যমান থাকলেও পেকুয়া থানার বর্তমান ও.সি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া দায়িত্ব পালনকালে এলাকায় অপরাধ ঝুঁকি কমে গেছে। টইটং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার শত শত লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ইতিপূর্বে তাদের এলাকাটি সন্ত্রাসের জনপদ হিসাবে পরিচিতি পেলেও বর্তমান ও.সি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া পেকুয়া থানায় যোগদানের পর থেকে পরিবর্তন হয়েছে সে অবস্থার। বারবাকিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের লোকজন জানিয়েছেন, তাদের এলাকায় আগে অপরাধ প্রবণতা নিত্য হলেও বর্তমান ও.সি যোগদানের পর অভুতপূর্ব উন্নতি হয়েছে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির। শিলখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের শতশত লোকজন জানিয়েছেন, বর্তমান ও.সি যোগদানের আগে তাদের এলাকাটি ছিল সব চাইতে বেশি অপরাধ প্রবণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। হাজিরঘোনা, শিলখালী সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়, পেন্ডির ব্রিজ, এতিমখানা, মাঝেরঘোনাসহ বেশ কিছু চিহ্নিত পয়েন্টে ছিনতাইকারীদের উপদ্রব আর রাতের বেলায় পাহাড়ি লোকালয়ে অস্ত্রধারীদের দৌরাত্ম, জায়গা জমির দখল বেদখল, প্রতিপক্ষের লোকজনদের জড়িয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানী শোষনের ঘটনা থাকলেও বর্তমান ও.সি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া সেখানকার সর্বস্তরের লোকজনের দৌড়গোড়ায় গিয়ে মানূষকে আইনের প্রতি সচেতন ও দিন দিন অপরাধ বিমুখ করে তোলায় এখন পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। পেকুয়া সদরের বিভিন্ন পয়েন্টের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগে সালাহউদ্দিন ব্রীজ থেকে কাটাফাঁড়ি ব্রীজ পর্যন্ত এলাকায় ছিনতাই, যানজট, দখল বেদখল চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন ধরনের অসহনীয় অপরাধের ঘটনা সংঘঠিত হতে দেখা যেতো একই সাথে ও.সি বা থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে নিরহ লোকজনদের নানাভাবে শোষন নির্যাতন হয়রানীর মতো ঘটনা অহরহ দেখা গেলেও বর্তমান ও.সি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়ার কর্তব্য কালীন সময়ে খুব কমই মিলে সে চিত্রের দেখা। উজানটিয়া ও মগনামা এলাকার শত শত মানূষের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বিগত সময়ে তাদের এলাকার নিরহ লোকজনদের যে হারে থানা পুলিশে নিয়ে শোষন হয়রানী প্রতিষ্টা করায় বর্তমান ও.সি’ স্বার্থান্বেষী মহলের বিরাগভাজনে পরিণত হয়েছেন। ফলে, ও.সি ও থানা পুলিশকে ব্যবহার করে ধান্ধাবাজি ও ফাঁয়দা লিপ্সা চরিতার্থে জড়িতরা বর্তমান ও.সি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়াকে বিষপোঁড়া মনে করে লাগামহীন মিথ্যাচার ও বদলীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন মন্তব্য করে অধিকাংশ লোকজন জানিয়েছেন, বর্তমান ও.সি’র শাসনামলেই তারা মোটামুটি অনেক নিরাপদ ও ভাল আছেন। আর এতে তারা মহাখুশি। পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, পেকুয়া থানার বর্তমান ও.সি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া এখানকার কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে থানায় আগন্তুক দর্শনার্থী ও ভুক্তভুগীদের কোন নেতা বা দালালের সংস্পর্ষ না নিয়ে সরাসরী তার সাথে দেখা সাক্ষাতের মাধ্যমে তাদের যে কোন কাজ বা আইনী সহায়তা গ্রহনের পরামর্শ দেন। এছাড়া উর্ধ্বতন মহলের নির্দেশনা ও প্রযুক্তি অগ্রযাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে পেকুয়া থানা পুলিশের কার্যক্রমে নতুনত্ব ও সহজেই সরাসরী পুলিশের সেবা দেওয়ার প্রবনতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কিছু রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মন্তব্য গত ইউপি নির্বাচন ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে এলাকায় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নীতি নির্ধারক নেতৃস্থানীয়রা যখন প্রতিদ্বন্ধী প্রতিপক্ষের কাছে ম্যানেজ, বশ, বুক বেচাকেনা হয়ে ৭ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীদের চরম ভরাডুবি নিশ্চিতে সরবে নিরবে তৎপরতায় লিপ্ত হন তখন ও.সি’র কৌশলীক তৎপরতায় স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশের সক্রিয় ভুমিকায় নৌকা প্রতিক ও আওযামীলীগের প্রার্থীদের সন্তোষ ও সম্মানজনক ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়।
#############################
পেকুয়ায় ও.সি’র সাথে ইউনিয়ন আ’লীগ নেতাদের পৃথক সাক্ষাত
নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া :::
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ও.সি’র সাথে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের নেতৃস্থানীয়দের পৃথক সাক্ষাতের খবর পাওয়া গেছে। কাল ও পরশু বিভিন্ন সময়ে পেকুয়া থানার ও.সি’র কক্ষে গিয়ে পৃথক পৃথক ভাবে এ সাক্ষাত পর্ব অনুষ্টিত হয়। জানা যায়, উপজেলার ৭ইউনিয়নের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের প্রায় ২০/৩০জন আওয়ামীলীগ ও অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতৃস্থানীয়রা কাল ও পরশু পৃথক পৃথক ভাবে থানায় যান। তারা সবাই থানার অফিসার ইনচার্জ(প্রশাসন) ও.সি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়ার দপ্তরে প্রবেশ করে। পৃথক পৃথক করে প্রায় আধ ঘন্টারও বেশি সময় যাবত সাক্ষাতে অংশগ্রহনকারীরা থানার ও.সি’র সাথে দেখা করেন। তবে, সাক্ষাতে উভয়ের মধ্যে কি বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে কেউ কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ও.সি’র সাথে আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের পৃথক সাক্ষাত শলাপরামর্শের সত্যতা জানিয়ে বলেন, এলাকার ও.সি সাহেব সরকারের অংশ। তাছাড়া, বর্তমান সরকারের জংগীবাদ, সন্ত্রাস, নাশকতা, জামাত শিবিরের তৎপরতা ও সাধারণ মানূষকে থানা পুলিশের আইনী সাহায্য সহযোগিতার পাশাপাশি এলাকার মাটি এবং মানূষের জানমালের নিরাপত্তা জোরদারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ও.সি’র সাথে সরকারী দলের যে কোন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সৌজন্য সাক্ষাত, আলাপ আলোচনা শলা-পরামর্শ হতেই পারে। এনিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা বা ভিন্ন চোখে দেখা ভাবার কারণ থাকতে পারেনা। পেকুয়া থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ অফিসারদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে, উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতৃস্থানীয়দের সাথে থানার ও.সি’র মতবিরোধ ও টানাপোড়ন দূরত্ম দেখা দিয়েছে যে মুহুর্তে ঠিক সে সময়ে উপজেলা পর্যায়ের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামীলীগ এবং অংগ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃস্থানীয়দের দফায় দফায় সৌজন্য সাক্ষাত ও শলাপরামর্শের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শুধু আলোচনার ঝড়ই তুলেনি পাশাপাশি স্থানীয় ক্ষমতাসীনদলের নেতৃস্থানীয়দের মাঝে বিভক্তি ও আস্থাহীনতার আভাষ বলে মনে করছেন এলাকার রাজনৈতিক বোদ্ধারা।
পাঠকের মতামত: