পেকুয়ায় ইয়াবা স¤্রাট উপজেলা শ্রমিক দল সাধারন সম্পাদক শাহিদ ইকবাল। পেকুয়া সদরের ভোলাইয়াঘোনা এলাকায় চলছে ইয়াবা বিকিকিনির রমরমা বাণিজ্য। ওই এলাকার নুরুল আলম প্রকাশ হাতকাটা নুরুর ছেলে শাহিদ ইকবাল মাদক ব্যবসার অন্যতম হোতা। পেকুয়া বাজারের পাশ্ববর্তী স্থানে তার বাড়ি হওয়ায় মাদক ব্যবসা জমছে তার বাড়িতে। থানা থেকে তার বাড়ি মাত্র এক কি.মিটারের কাছাকাছি।
পেকুয়ায় ইয়াবার ছড়াছড়ি হয়েছে। পুলিশ লোক দেখানো কিছু অভিযান জোরদার করে। তবে এসব দায় এড়ানো বলে পেকুয়ার সচেতন মহলের মত। এ পর্যন্ত পেকুয়া থানা পুলিশ কোন উল্লেখযোগ্য মাদক পাচারকারি কিংবা বিক্রেতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হননি। কিছু চুনোপুঁিটকে আটক করে। মুল হোতারা ধরা ছোয়ার বাইরে। পেকুয়ায় ভোলাইয়াঘোনা এলাকা মাদকের অন্যতম জনপদে পরিনত হয়েছে।
স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক শাহিদ ইকবাল মাদকের নতুন স¤্রাট। প্রতিদিন তার বাড়িতে চলছে মাদক ও ইয়াবা বিকিকিনি। সন্ধ্যা নামলেই রমরমা বাণিজ্যে মেতে উঠে ওই বাড়িটি। দিনেও চলে সেবন। উপজেলার প্রত্যন্ত প্রান্তে তার নিজস্ব সোর্স রয়েছে। এরা শাহিদ ইকবালের কাছ থেকে ইয়াবা নিয়ে বিভিন্ন মোকামে বিক্রি করে থাকে।
শাহিদ ইকবাল একাধিক মামলারও আসামি। মাঝ পথে তার চরম অর্থ সংকট দেখা দেয়। শাহিদ ইকবাল নিজেও মাদকাসক্ত। অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারনে তার তারুন্যতা দ্রুত পতন হয়। মুখ মন্ডল ভগ্ন হয়েছে। চেহেরায় মাদকাসক্তের ষ্পষ্ট চাপ পরিষ্ফুটিত। এক সময় শাহিদ ইকবালের বাড়িতে চোলাই বাংলা মদ সেবনের মহোৎসব ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানায় শাহিদ ইকবাল হঠাৎ লাখপতি হয়েছে। তার লাখপতি হওয়ার পিছনে কোন আলাদিনের চেরাগ পাননি তিনি। তবে ইয়াবায় তাকে আর্থিকভাবে হঠাৎ লাখপতি বানিয়েছে। ইয়াবার সাথে জড়িত যেসব রাঘব বোয়াল যেভাবে হঠাৎ প্রতিপত্তির মালিক হয়েছেন ঠিক সেভাবে শাহিদ ইকবালও মাত্র ৫-৬মাসের ব্যবধানে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। পেকুয়ায় তার নিজস্ব সিন্ডিকেট রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ইয়াবা পাচারে তার স্ত্রী শাহিদা আক্তারও জড়িত। তার বিকিকিনির হাটে সাধারন মানুষ সেবনকারী হিসেবে যায়। আবার কিছু কিছু পুলিশ সদস্যরাও সিবিল পোশাকে তার বাড়িতে গিয়ে ইয়াবা সেবন করে। তারা শাহিদ ইকবালের কাছ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে। গত ১২জুন রাতে পেকুয়া থানার দু’পুলিশ সদস্য শাহিদ ইকবালের বাড়িতে লাঞ্চিত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায় পুলিশ বাকিতে ইয়াবা নিয়ে আসার চেষ্টা করে। এ সময় শাহিদ ইকবাল, তার পার্টনার একই এলাকার আব্দু রশিদের ছেলে আশরাফসহ আরো কয়েকজন মিলে তাদেরকে মারধর করে। স্থানীয়রা জানায় মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় আশরাফ তার বৃদ্ধ পিতাকে পিটিয়ে আহত করে। আশরাফও শ্রমিক দলের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে সহিংসতা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। জেলও খাটেন কয়েকবার।
স্থানীয়রা জানায় শাহিদ ইকবাল মাদক ব্যবসায়ী হলেও তিনি অধারা। পুলিশ নিয়মিত তার কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে থাকেন। ওই ইয়াবা স¤্রাট থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বীরদর্পে। nupc
পাঠকের মতামত: