ঢাকা,শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় রহস্যজনক অগ্নিকান্ডে দু’অসহায় পরিবারের বসতি ভষ্মিভুতঃলক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি

অগ্নিকান্ডস্টাফ রিপোর্টার, পেকুয়া:

কক্সবাজারের পেকুয়ায় রহস্যজনক অগ্নিকান্ডে দু’অসহায় পরিবারের বসতঘর ভষ্মিভুতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এতে আক্রান্তদের বসতঘর ও মালামাল সম্পূর্ণ রূপে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে ওই দুই পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিনাতিপাত করছে। ঘঠনাটি ঘঠেছে, গত শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জারুলবনিয়া গ্রামের সেগুন বাঁগিচা দরবার পাড়া নামক এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় মোঃ আবদুল করিমের পুত্র নাছির উদ্দিন ও আবুল কাসেমের পুত্র মোঃ আমির হোসেন প্রকাশ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার রিজার্ভ দখলীয় পাহাড়ি ঠিলায় বসতি গড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন। গত দু’দিন ধরে তারা নিকটাত্মীয়ের পারিবারিক অনুষ্টান নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তাদের বসতঘর ছিল পারিবারিক সদস্য শুন্য। ঘঠনার দিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিবেশি কুলসুমার মাধ্যম বসতঘরে আগুন লাগার খবর পেয়ে নাছির ও মিয়া দ্রুত ঘঠনাস্থলে ছুটে আসেন। কিন্তু ততক্ষনে তাদের দু’পরিবারের ছনের চালার বসতঘরটি সম্পূর্ণরূপে আগুনে পুড়ে ছাই অবস্থায় দেখতে পান। এসময় তারা ভষ্মিভুত বসতঘরের দরজার তালা ও শিকলের আংটা ভাংগা দেখতে পেলেও ঘরের ভিতর রক্ষিত নগদ ৬০-৭০হাজার টাকা, মূল্যবান আসবাব তৈজষপত্রের মালামালের পোড়া অংশের অবশিষ্টের দেখা পাননি। আক্রান্ত পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তাদের বসতির স্বত্ব মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মৃত আহমদ হোসাইনের পুত্র আবু ছৈয়দ, আহমদ ছবি ও জাফর আলমের বিরোধ চলে আসছিল। এতে ধারনা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই দু’পরিবারের লোকজনের অনুপস্থিতির সূযোগ নিয়ে প্রতিপক্ষ তাদের দু’পরিবারের বসতঘরটি অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে অসহায় দু’গরিব পরিবার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন বলে জনশ্রুতি পাওয়া গেছে। আক্রান্ত পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্যদের অবহিত করলে তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে। শিলখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ নুরুল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন সংবাদ পেয়ে গত শনিবার সকালে স্বয়ং নিজে সরোজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং আক্রান্ত দু’পরিবারের মাঝে গ্রাম পরিষদের সহায়তাদানের ব্যবস্থা করছেন বলে মন্তব্য করেন।

পাঠকের মতামত: