ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় বৃক্ষ নিধন, দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিলেন দুবৃর্ত্তরা

পেকুয়ায় বৃক্ষ নিধন, দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিলেন দুবৃর্ত্তরা

পেকুয়া  অফিস:pekua-dc-new

পেকুয়ায় জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে অর্ধশতাধিক বসতভিটার বৃক্ষ নিধন করেছে দুবৃর্ত্তরা। এ সময় ঘেরা বেড়া ভাংচুরসহ ব্যাপক তান্ডব ও লুটপাট চালায় তারা। উত্তেজিত লোকজন প্রতিপক্ষের ব্যবসা প্রতিস্টানে হানা দেয়। এ সময় লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে ভীতি ছড়িয়ে দুটি দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ভেলুয়ারপাড়া এলাকায়। এ বিষয়ে ধনিয়াকাটা বাজারের ব্যবসায়ী নুরুচ্ছফা সওদাগর পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ভেলুয়ারপাড়া এলাকার মৃত আবুল বাশারের ছেলে মনজুর আলম, তোফাইল আহমদ প্রকাশ মিয়া, ছাবের আহমদ সহ কয়েকজন দুর্বৃর্ত্ত দুপুর ১ টার দিকে প্রতিবেশী নুরুচ্ছফা সওদাগরের বসতভিটায় হানা দেয়। এ সময় ওই বসতভিটার উঠতি ও মাঝারি প্রায় অর্ধশতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ কেটে সাবাড় করে। এ সময় বসতবাড়ির ঘেরা বেড়া ভাংচুর চালায়। এ সময় নুরুচ্ছফা সওদাগরের স্ত্রী জেয়াসমিন আক্তার নিষেধ করেন। তারা ওই গৃহবধূকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ নির্যাতন চালায়। ওই ঘটনার জের ধরে মনজুর আলম ধনিয়াকাটা বাজারে নুরুচ্ছফা সওদাগরের মালিকানাধিন সেলুনে হানা দেয়। এসময় ভাংচুর সহ ব্যাপক লুটপাট চালায়। একপর্যায়ে সেলুনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে তার ভাতিজার মালিকানাধীন মেসার্স নুর মোহাম্মদ স্টোর এন্ড ফেস্টিসাইড নামের ব্যবসায়িক প্রতিস্টানে হানা দেয়। এ সময় ব্যবসায়ীদের ভীতি প্রদর্শন করেন ওই ব্যক্তিসহ দুবৃর্ত্তরা। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রতিবাদ করলে মনজুর আলম তরকারী ব্যবসায়ী মো.শরীফ ও আশরাফুজ্জামানের উপর হামলা চালায়। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী মিজান জানায়, মনজুর এখানে কাউকে মানে না। তার অত্যাচার ও নির্যাতনে আমরা ব্যবসায়ীরা অতিস্ট। নুরুচ্ছফা সওদাগর জানায়, ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে মনজুর আলম সহ দূর্বৃর্ত্তরা। চাদা জানাতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার দুটি ব্যবসায়িক প্রতিস্টানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। দুপুরে বসতভিটার অর্ধশতাধিক বৃক্ষ কেটে ফেলে। বর্তমানে তারা অধিক ক্ষিপ্ত হয়ে স্বশস্ত্র অবস্থায় চলাচল পথে অবস্থান নিয়েছেন। চলাফেরা রুদ্ধ করেছে তারা। ধনিয়াকাটা বাজারের সেক্রেটারী ও ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন জানায়, উত্তেজনা অবস্থায় এ সব হয়েছে। বিষয়টি মিটমাট করার চেস্টা চলছে। এদিকে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ধনিয়াকাটা বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

…………………………………

পেকুয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় ডিস ব্যবসায়ী আহত

পেকুয়া অফিস:

পেকুয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় ডিস ব্যবসায়ী নুরুল আমিন (৩৫) আহত হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, গতকাল মঙ্গলবার ১২টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাইছড়ি এলাকায়। আহত নুরুল আমিন ওই এলাকার আজগর আলীর পুত্র। নুরুল আমিন পেকুয়া সদর কলেজ গেইট  চৌমুহনীতে ডিস সংযোগ ব্যবসার সাথে জড়িত। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, ওই দিন ১২ টার দিকে নুরুল আমিন পশ্চিম সোনাইছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে পৌছেন। এ সময় পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা একই এলাকার মোহাম্মদ ফেরদৌসের ছেলে আবদুল খালেক সহ ২/৩ জনের দুবৃর্ত্তরা তাকে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। স্থানীয়রা জানায়, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও পশ্চিম সোনাইছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাষ্টার মিজানুল হকের ইন্ধনে নুরুল আমিনকে প্রাণনাশের চেষ্টা চালায় দুবৃর্ত্তরা। এ সময় তাকে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। তার আত্মচিৎকারে প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে। হামলাকারীরা দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করে। সোনাইছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এস,এম,সি কমিটির সদস্য ছৈয়দুল ও অভিভাবক ফজলুল কাদের সহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোনাইছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংষ্কার কাজ চলছে। কাজ নিন্মমান হওয়ায় আমিন স্থানীয়দের পক্ষে প্রতিবাদ করেছেন। এর সুত্রে ধরে ওই দিন মিজান মাষ্টারের অনুগতরা আমিনকে পিঠিয়ে আহত করে।

……………………………

পেকুয়ায় চোরাই সৌর প্যানেল ও ব্যাটারী উদ্ধার, আটক-২

পেকুয়া অফিস:

পেকুয়ায় চোরাই সৌর বিদ্যুতের প্যানেলসহ ব্যাটারী উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এ সময় চুরির সাথে জড়িত থাকায় দুই যুবককে হাতে নাতে ধরে ইউপি সদস্যের কাছে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে চোরাই এ সব উদ্ধার ও আটকের এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বাজার পাড়া এলাকায়। আটককৃত দুই যুবকের নাম নেজাম উদ্দিন(২৫) ও জিয়াউর রহমান(২৬)। তারা একই ইউনিয়নের বাইন্নাঘোনা ও বাজারপাড়া এলাকার আলী হোসেন ও সিরাজদৌল্লাহর পুত্র বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি বাজারপাড়া মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুর মোহাম্মদ মাদুর বাড়ি থেকে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল ও ব্যাটারী চুরি হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোয়া হয়ে যাওয়া ওই প্যানেল ব্যাটারী মগনামা জেটিঘাট সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানায়, জিয়াউর রহমান, নেজাম উদ্দিন সহ একটি চোর সিন্ডিকেট মাত্র আড়াই হাজার টাকা মূল্যে ওই ব্যক্তিকে বিক্রি করে। এ সময় চোরসহ এ সব মালামাল উদ্ধার করে। বাজারপাড়ার লোকজন জানায়, তারা চুরি করেছে তিনজন। কিন্তু ইউপি সদস্য ধরেছে দুইজনকে। সবচেয়ে বড় চোর তার আপন ভাইয়ের ছেলে সাদেকুর রহমান। তাকে না ধরায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ মাদু জানায়, এ সব মালামাল সহ তাদেরকে হাতেনাতে ধরেছি। কয়েকজন ছেলের কারনে চুরি-চামারি বেড়েছে এলাকায়।

…………………………..

পেকুয়ায় অধ্যক্ষ-শিক্ষকদের দ্বন্ধ, রশিদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত

নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া:

পেকুয়ায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে মগনামা শাহ রশিদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায়। অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্ধ প্রকট আকার ধারন করেছে। প্রকাশ্যে ও ¯œায়ু বিরোধের জের ধরে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ মাঝিরপাড়া আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। ইউএনও’র স্বাক্ষর, সীল জালিয়াত করে আরবী প্রভাষক সহ তিনটি পদে নিয়োগ দিয়েছেন অধ্যক্ষ। সভার কার্য বিবরনীতে সভ্যবৃন্দের কয়েকজনের স্বাক্ষরও জালিয়াত করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার গঠিত প্যানেলে যিনি নিয়োগ কর্তা তিনি আবার পরীক্ষার্থীও। চরম অনিয়ম ও দূনীর্তির মাধ্যমে তিনটি পদায়ন করা হয়। বর্তমান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুর পদায়ন হয়েছে নীতিমালা অনুসরন না করে। ওই মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক সহ তিনটি পদে নিয়োগ প্রাপ্ত তিন শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার  প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ১৯৯৬ সালে মোহাম্মদ নুর, ইউনুছ সোলতানী ও বদিউর রহমান ওই মাদ্রাসার এমপিও ভুক্ত হন। অভিযোগ উঠেছে, নিয়োগ বোর্ডের সদস্য তৎকালীন চকরিয়ার ইউএনও’র স্বাক্ষর জালিয়াত করেন তারা। মোহাম্মদ নুর প্রভাষক থেকে পদায়ন হয়েছেন এ প্রতিষ্টানের অধ্যক্ষ হিসেবে। কিন্তু তিনি পুর্বেও পদে আসীন দেখিয়ে ওই পদ থেকে প্রায় ১৮মাস বেতন ভাতা উত্তোলন সহ সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবক জানায়, মোহাম্মদ নুর একজন দূর্নীতিবাজ। তার দুর্নীতি ও স্বেচ্চাচারিতায় এ মাদ্রাসায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার অধপতন অবস্থা বিরাজ করছে। একাডেমিক ভবনের নামেও তিন লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন তিনি। গাইড বই শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে দুটি প্রকাশনী থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বুক লিষ্ট দেয়ার সময় এক প্রকাশনীর সাথে অপর প্রকাশনীর দুরত্ব তৈরি হয় তার। কমিশনের টাকা শিক্ষকদের না দেয়ায় তার সাথে সিনিয়র শিক্ষকদের দ্বন্ধ এখনো চলমান রয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি নিয়েও তার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন সচেতন অভিভাবক ও শিক্ষকরা। সভাপতি নিয়েও তার ডিগবাজি দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানায়, গোপনে সভাপতি পদ পাইয়ে দিতে পকেট কমিটি চুড়ান্ত করেছেন তিনি। তার অনুগত ব্যক্তিকে প্রতিষ্টানের সভাপতি করতে দৌড়ঝাপ করছেন অধ্যক্ষ। কমিটি গোপনে হয়েছে। বর্তমান যিনি সভাপতি তিনি নীতিমালা অনুযায়ী মনোনীত হননি। এনিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। শিক্ষকরা ওই জটিলতার আগুনে পুড়ছেন। বেতন ভাতা উত্তোলনে সভাপতির কার্যকর পদক্ষেপ অনেকটা নিস্ক্রয় হয়েছে। এতে করে শিক্ষকরা বিভক্তি হয়েছে একাধিক ভাগে। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুর এর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত: